যখন পাতায় পাতায় লাগলো দোলা
অবাধ্য হাওয়ায় কাঁপলো পুষ্প বাগান
ছাদের ভোগেন বিলাস বেলি জুঁই চামেলির পাপড়িগুল্ম
যখন কাঁপলো পার্কের শিমুল শিরিষের ডাল
করমচা গাছ কাঁঠাল চাপার শাখা
বুঝলাম হেমন্ত এসে গেছে কদমতলায়।
যখন কোকিল ডেকে উঠলো তার প্রেমিকার নাম ধরে
বংশীবাদক সুর দিলো বাঁশিতে, আহা হৃদয় পোড়ানো সুর
যখন মৌমাছিরা স্থান বদলের আয়োজনে ব্যস্ত আমারই মতো
আমিও হেমন্তের প্রাক্কালে ছুটেছিলাম পাটুরিয়া ঘাটে
খুঁজেছিলাম স্বপ্নের ঢেউ
দূর বহুদূরে চলে যাওয়া জাহাজের মাস্তুল
বুঝলাম হেমন্ত এসে গেছে নদীর জলে।
সকালের বারান্দায় রকিং চেয়ারে বসে
গেয়েছিলাম কৃষ্ণচূড়ার গান
কী যে সুখের সকাল
প্রাতঃকালের সূর্য আর হেমন্তের ভোর
উপভোগ করতে করতে মজেছিলাম তার ভেজা খোঁপায়
তখন একটি নিঃসঙ্গ দাঁড়কাক বসেছিলো জানালার গ্রিলে
সেও কা-কা করে উচ্চারণ করেছিলো সম্পর্কের গোপন স্বর
হয়তো বলেছিলো হেমন্তেই হউক খড়কুঁটো নিয়ে মধুর আয়োজন
বুঝলাম হেমন্ত এসে গেছে ঘরের শয্যায়।