শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

'আমার ভাষা' সফটওয়্যার ব্যবহার করে অনূদিত হচ্ছে রায়

আইন ও বিচার ডেস্ক
  ১৮ মে ২০২১, ০০:০০

'আমার ভাষা' সফটওয়্যার ব্যবহার করে সুপ্রিম কোর্টের ৫টি মামলার রায় বাংলায় অনুবাদ করা হয়েছে। এ রায়গুলো আদালত ইংরেজিতে ঘোষণা করছিলেন।

অনূদিত ৫টি মামলার রায়ের মধ্যে ৪টি আপিল বিভাগের এবং ১টি হাইকোর্ট বিভাগের। আপিল বিভাগের অনূদিত রায়গুলো হলো : সিভিল রিভিউ পিটিশন নং ৩১৫/২০১৭ বাংলাদেশ রাবার ইন্ডাস্ট্রিজ বনাম দিনে আরা বেগম অন্যান্য; সিভিল পিটিশন ফর লিভ টু আপিল নং ১৯৭৭/২০১৭ গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড বনাম মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ; সিভিল পিটিশন ফর লিভ টু আপিল নং ১১৮৭/২০১৮ বাংলাদেশ সরকার এবং অন্যান্য বনাম শাহ জামাল মোলস্না এবং অন্যান্য; এবং সিভিল আপিল নং ২৩/২০১০ বাংলাদেশ সরকার বনাম জান্নাতুল ফেরদৌস এবং অন্যান্য।

হাইকোর্ট বিভাগের অনূদিত রায়টি হলো ফৌজদারি বিবিধ মামলা নং ২৫৬১৫/২০১৯ মো. নাজমুল হুদা বনাম রাষ্ট্র এবং অন্যান্য।

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইট ভিজিট করে দেখা যায়, সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে বাংলায় অনূদিত রায় (যঃঃঢ়://িি৩.ংঁঢ়ৎবসবপড়ঁৎঃ.মড়া.নফ/বিন/?ঢ়ধমব=লঁফমসবহঃথংঁন.ঢ়যঢ়্‌সবহঁ=১১) নামে একটি বিভাগ খোলা হয়েছে। সেখানে আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগ নামে আলাদা দুটি সাব-বিভাগ খোলা হয়েছে। এখনো পর্যন্ত আপিল বিভাগের ৪টি মামলা এবং হাইকোর্ট বিভাগের ১টি মামলা আমার ভাষা সফটওয়্যার ব্যবহার করে অনুবাদ করে আপলোড করা হয়েছে। ইংরেজিতে প্রদত্ত মূল রায়ের পাশাপাশি বাংলায় অনূদিত রায় পিডিএফ ফরমেট পাওয়া যাচ্ছে।

তবে অনুবাদকৃত প্রতিটি রায়ের শেষাংশে দায়বর্জন বিবৃতি (উওঝঈখঅওগঊজ) দেওয়া আছে। ডিসক্লেইমারে উলেস্নখ আছে, "শুধুমাত্র মামলার দুই পক্ষের এবং জনসাধারণের বোঝার সুবিধার্থে 'আমার ভাষা' সফটওয়্যার ব্যবহার করে বাংলায় এই রায়টি অনুবাদ করা হয়েছে। বাংলায় অনূদিত এ রায়কে অন্য কোনো উদ্দেশ্য ব্যবহার করা যাবে না। ব্যবহারিক ও সরকারি কাজে শুধুমাত্র মাননীয় আদালতের প্রকাশিত ইংরেজি রায়টিকে যথার্থ বলে গণ্য করা হবে এবং রায় বাস্তবায়নের জন্য ইংরেজি ভাষায় প্রদত্ত রায়টিকেই অনুসরণ করতে হবে।"

প্রসঙ্গত, ঔপনিবেশিক আমল থেকে আদালতগুলোর কার্যক্রম ইংরেজি ভাষাতে পরিচালিত হয়েছে। আদালতগুলোয় এ কারণেই ইংরেজি ভাষায় রায় ও আদেশ প্রদানে অভ্যস্ততা তৈরি হয়েছে। তা ছাড়া আইন বিষয়ে এখন পর্যন্ত পর্যাপ্ত বাংলা পরিভাষা ও পরিকাঠামো তৈরি হয়নি। ফলে উচ্চ আদালতে শতভাগ বাংলা ভাষার প্রচলন করার বাস্তবসম্মত অসুবিধা এখনো রয়েছে। এই সমস্যা-সমাধানের ক্ষেত্রে গত ১৮ ফেব্রম্নয়ারি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে ভারতের সহযোগিতায় ইংরেজি থেকে বাংলা ভাষায় অনুবাদ সংক্রান্ত 'আমার ভাষা' নামের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সফটওয়্যারটি প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন উদ্বোধন করেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে