শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

দেশের অগ্রযাত্রায় নারীরা সমান অংশীদার :দিলারা জামান

বাংলাদেশের নাট্যাঙ্গনের এক জনপ্রিয় নাম দিলারা জামান। অভিনয় জীবনকে মানবতার কল্যাণে নিবেদিত বলেই মনে করেন তিনি। তাই জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি অভিনয় করে যেতে চান। বঙ্গবন্ধুর ওপর নির্মিত বায়োপিকে বঙ্গবন্ধুর মা সাহেরা খাতুনের ভূমিকায় অভিনয় করতে পেরে তিনি গর্বিত। ইতিহাসের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছেন তিনি। দর্শকনন্দিত ও গুণী এই অভিনেত্রী ১৯৯৩ সালে শিল্পকলায় অবদানের জন্য একুশে পদকে ভূষিত হন। লাভ করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। তিনি একান্ত আলাপচারিতায় যায়যায়দিনের মুখোমুখি হন। কথপোকথনের বিস্তারিত তুলে ধরেছেন
আবদুর রহমান মলিস্নক
  ৩১ মে ২০২১, ০০:০০

যাযাদি : আপনার শৈশব নিয়ে যদি আমাদের কিছু বলেন?

দিলারা জামান : আমার জন্ম ১৯৪৩ সালের ১৯ জুন। আমার পিতার নাম রফিকউদ্দিন আহমেদ এবং মাতার নাম সিতারা বেগম। আমার জন্মের কিছুদিন পরে আমার পরিবার ভারতের আসানসোল জেলায় চলে যান। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর তারা যশোর জেলায় চলে আসেন। ঢাকার বাংলাবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছি। স্কুলে প্রথম মঞ্চ নাটকে অভিনয় করি। পরে ইডেন মহিলা কলেজে ভর্তি হই।

যাযাদি : আপনি যে সময়ে অভিনয় শুরু করেছেন তখন নারীদের কাজের ক্ষেত্রটা কেমন ছিল?

দিলারা জামান : তখন কালেভদ্রে নাটক হতো, তখন ছিল রেডিও পাকিস্তান, ৬৪-এর ডিসেম্বরে টেলিভিশন শুরু হয়েছে। তখন তো ডাইরেক্টই টেলিকাস্ট হতো। মঞ্চে তখন মুসলমান মেয়েরা খুবই কম এসেছে। পাকিস্তান আমলের কথা বলছি, সেই ষাট দশকের কথা। মঞ্চ নাটকের জোয়ার আসে স্বাধীনতা উত্তরকালে। ৭১-এর পরে। ৭১-এর পরে আমি চট্টগ্রামে গেছি, সেখানে আমি মঞ্চে কাজ করেছি। দলের নাম ছিল অরিন্দম। ৮০ সাল পর্যন্ত আমি সেখানে মঞ্চের সঙ্গে জড়িত ছিলাম। আমার স্বামী (ফখরুজ্জামান চৌধুরী, একুশে পদকপ্রাপ্ত কথাসাহিত্যিক) বদলি হয়ে ঢাকায় আসেন, বাচ্চারা তখন ছোট ছিল। তাদের সময় দেওয়ার জন্য মঞ্চে কাজ করতে পারিনি। একমাস দুই মাস রিহার্সেল আবার বাইরে শো করতে যাওয়া, আবার সেখানে শিক্ষকতা করতাম সেখান থেকে পারমিশনও পাওয়া যাবে না তাই আর মঞ্চে অভিনয় করতে পারিনি। টেলিভিশন নিয়েই ব্যস্ত থেকেছি।

যাযাদি : শিক্ষকতায় খ্যাতি অর্জন না করে অভিনেত্রী কেন হলেন?

দিলারা জামান : শিক্ষকতাই আমি প্রথম শুরু করি। কারণ জীবিকার জন্য, নাটক করে তো আর তখন পয়সা পাওয়া যেত না। রেডিওতে যে পয়সা পাওয়া যেত তাতে রিকশা ভাড়াও হতো না। তবুও অভিনয়কে ভালোবেসে কাজ করেছি। কারও কাছে যাতে জবাবদিহি করতে না হয় এবং অভিনয়ে পুরোপুরি সময় দেওয়ার জন্য শিক্ষকতা ছেড়ে দিই। শুধু প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করলেই যে বড় শিক্ষক তা কিন্তু নয়, আমার আশপাশের লোক থেকেও অনেক কিছু শিখেছি। আমার মা-বাবাও তো বড় শিক্ষক। আমার কাজের মেয়েটার কাছেও আমার অনেক কিছু শেখার আছে। অনেক জায়গা থেকে শিক্ষাটা নিতে পারি। সবাইকে আমি শিক্ষক মনে করি। শিক্ষকতা ও অভিনয় আমার দুটো চোখের মতো প্রিয়। দুটোই আমার জীবনের অঙ্গ।

যাযাদি : আপনি একজন সফল অভিনেত্রী। দর্শক-শ্রোতাদের শ্রদ্ধা ভালোবাসায় আপনি সিক্ত। আপনার সফলতার পেছনের কারণগুলো কী?

দিলারা জামান : সফল না ব্যর্থ সেটা সময় বিবেচনা করবে। সফলতার কারণ আমি জানি না। তবে এটা জানি আমি আমার কাজে একনিষ্ঠ। সততা এবং চেষ্টার ব্যাপারে কখনো ছাড় দিইনি। এতদূর এগিয়ে আসার কারণ, আমি একটা পেশাতেই লেগে আছি। অনেকে পাশাপাশি ব্যবসা করে, ঘর-বাড়ি বানায়। আমি অর্থবিত্তের পেছনে না ছুটে সংস্কৃতি আর অভিনয়কে ভালোবেসেছি এবং আশি বছর বয়স তো প্রায় হতে চলল আমার, এই জুন মাসে আশিতে পা দেব। আমি এই কাজটাই করছি, এই কাজটাই শিখেছি। মৃতু্যর আগ পর্যন্ত যাতে এভাবেই কাজ করে যেতে পারি।

যাযাদি : আপনি তো শিক্ষকতাও করেছেন।

দিলারা জামান : আমি শাহীন স্কুলসহ বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষকতা করেছি। তখন শুধু অভিনয় দিয়ে জীবন-জীবিকা পার করা যেত না। বিশেষ করে নাটকে, ছবিতে যারা কাজ করেছেন তাদের কথা আলাদা। ছবিতে আমি অতটা করিনি নাটকে-মঞ্চেই বেশি কাজ করেছি। যেহেতু আমি শিক্ষকতা করতাম আমার অনেক রেসটিকশন ছিল। যে সব প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছি সেখানেও অভিনয়ের জন্য বাধার ভেতর দিয়েই কাজ করতে হয়েছে। ৯৮ সালে শিক্ষকতা থেকে অবসর নিয়ে পুরোপুরি অভিনয়ে চলে আসি।

\হযাযাদি : একজন অভিনয় শিল্পী হিসেবে নিশ্চয়ই আপনি সমাজে একটা ইতিবাচক মূল্যবোধ সৃষ্টির চেষ্টা করেছেন। কতটুকু সফল হয়েছেন বলে মনে করেন?

দিলারা জামান : একটা সময় অনেক বাধা ধরা নিয়ম ছিল। এখন তো জানালা খুলে, দরজা খুলে দেওয়ার মতো। পুরো পৃথিবীকে দেখতে পাচ্ছি। একটা ছকের মধ্যে নাটককে অভিনয়কে ধরে রাখলে চলবে না। দৃষ্টিভঙ্গির প্রসারতা, আমাদের দর্শক সবকিছু চিন্তা করেই আমাদের কাজ করতে হবে এবং আগাতে হবে। আমরা ছোট বদ্ধ ঘরের মধ্যে তো আর নেই। সারা পৃথিবীটা এক আকাশের নিচে, আমরা আমাদের কাজকে আবার আরেক জনের সঙ্গে তুলনা করি। আমাদের সামাজিক অবস্থা, আমাদের সংস্কৃতি সবকিছুতে মিল রেখেই আমাদের প্রতিযোগিতায় এগিয়ে যেতে হবে। তা না হলে আমরা দর্শক হারাব। সবকিছু মাথায় রেখেই কাজ করতে হয়। এখন একটা আদর্শের জন্য ছকের মধ্যে কাজ করলে চলবে না। ছবি-নাটক দর্পণের মতো কাজ করে। এখান থেকে আমরা শিক্ষা নিয়ে মূল্যবোধের ধারক-বাহকের মতো কাজ করতে হবে। আমাদের মূল্যবোধ আমাদের সংস্কৃতিকে নতুন প্রজন্মের ভেতর গ্রথিত করার বিষয়টি আমাদের মাথায় রাখতে হবে। অপসংস্কৃতি এবং অন্যকিছুকে অনুসরণ না করে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সবকিছুকে খেয়াল রাখতে হবে। তা নাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে অপরাধী হয়ে থাকব, অনেক কিছু হারাব আমরা।

যাযাদি : আপনাদের অভিনয় আমরা মন্ত্রমুগ্ধের মতো দেখেছি কিন্তু নতুন প্রজন্ম নাটকের প্রতি ততটা আগ্রহী নয়। এর কারণ কী হতে পারে?

দিলারা জামান : তাদের কাছে আমরা এটা আশাও করতে পারি না। কারণ এন্টারটেইনমেন্ট বলতে আমরা তখন সিনেমা, বইপড়া টেলিভিশন, রেডিও, নাটক, গান এগুলোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু এন্টারটেইনমেন্ট এখন অনেক রকম, অনেক ধরনের হয়ে গেছে। ভালো লাগাটা এখন হাতের মুঠোয়। এক সময় তো বাবা-মা কাজের মানুষ, বাচ্চা একসঙ্গে বসে টেলিভিশন দেখত। রেডিওটা জোরে ছেড়ে দিয়ে নাটকটা শুনত। কিন্তু এখন তা নয়। যখন ভালো লাগবে দেখব যখন ভালো লাগবে না দেখব না। সময়ের কথাও চিন্তা করতে হবে। বিনোদনের ব্যাপারগুলো তো নানান পর্যায়ে চলে গেছে। সুতরাং আমরা যদি বলি আগের মতো নাটক দেখছে না বা নাটক হচ্ছে না সেটা বললেও কিন্তু ভুল হবে। বাংলাদেশ ভালো লাগছে না এক মুহূর্র্তের মধ্যে পৃথিবীর যে কোনো দেশে চলে যেতে পারি। কেউ বলে আপনাকে দেখিনা কেন? আমি তাদের মুখের ওপর বলে দিই আপনি ঢাকা দেখেন না তাই আমাকে দেখেন না। তরুণদের কাছে যে জিনিসটা অচেনা ছিল সে জিনিসটা পেয়ে তাদের কাছে এখন তা মনোমুগ্ধকর মনে হচ্ছে। আমার যাপিতজীবন, আমার শাড়ি পরা, আমার এই বুড়া মুখাবয়ব এখনো ওদের ভালো লাগে না (হাসি) আমি কি বলি না বলি। বিনোদন বলতে আমরা এখন অন্য সংজ্ঞায় চলে গেছি। সময়ে সবকিছু হবে, আবার সময়ে সবকিছু ঠিকও হয়ে যাবে।

যাযাদি : আমাদের বাংলা নাটকের অনেক সুনাম আছে কিন্তু সেই ধারাবাহিকতা কি অব্যাহত আছে?

দিলারা জামান : নদীও তো এক সময় বাঁক নেয়। নদী একবারে সোজা হয়ে চলে না। আমরা হয়তো একটা বাঁকে এসে পৌঁছেছি। স্বতঃস্ফূর্ততা ফিরে আসবে। একটা অস্থির সময় পার করছি, সংস্কৃতিতেও একটা অস্থিরতা বিরাজ করছে। আগের মতো হয়তো ভালো লাগছে না। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিরও পরিবর্তন এসেছে। আগের যারা তারা আগের দৃষ্টিভঙ্গি দিয়েই বিচার করে। এখনকার যারা তারা মনে করে এগুলো কোনো কাজে লাগে না। অন্যজগতের সেই সব আমরা গ্রহণ করব যা আমাদের বৈষয়িক কাজে লাগবে। বিনোদনও অনেকটা বাণিজ্যিক হয়ে গেছে, শৈল্পিক পরিমন্ডল থেকে অনেকখানি বের হয়ে গেছে।

যাযাদি : বর্তমান সময়ে নারীর অগ্রযাত্রাকে আপনি কীভাবে দেখছেন?

দিলারা জামান : নারীর অগ্রযাত্রা চলছে কিন্তু যেভাবে আমাদের আগানো দরকার সেভাবে আমরা পারছি না। ঢাকা কিংবা শহরকেন্দ্রিক যে অগ্রযাত্রা শুধু সেটা ধরলে চলবে না। সারা বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মেয়েদের যে সমস্যা তাতে তাদের অগ্রগতিটা আশাব্যঞ্জক নয়। এখনো ধর্মীয় মিথ্যা অনুশাসন যেগুলোর কোনো ভিত্তি নেই সেটা চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ক্ষমতাধররা মেয়েদের অধিকারকে খর্ব করছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের মেয়েদের অগ্রযাত্রা সেভাবে এগোয়নি। তবুও মেয়েরা অনেক সাহসী ভূমিকা নিয়েছে। আমরা চারপাশে যা দেখছি- সে সব পেশা যেটা ছেলেরাই শুধু করত সেটা এখন আর নেই। সে সব গন্ডি পার হয়ে একজন মা রাস্তার পাশে ইট ভেঙে পুরুষ শ্রমিকের মতোই কাজ করছে। সে কোনোভাবেই পিছপা হচ্ছে না। দেশের অগ্রযাত্রায় সমান অংশীদার। এই নারীদের আমি স্যালুট জানাই।

যাযাদি : নারীরা সমাজে এখনো সুরক্ষিত নয়, তারা সহিংসতার স্বীকার হচ্ছে। এর প্রতিকার কী হতে পারে বলে মনে করেন?

দিলারা জামান : প্রতিকার আমি জানি না। আমি সমাজ সংস্কারক নই, আমি ক্ষুদ্র মানুষ। আমি আমার কাজের মধ্যদিয়েই প্রতিবাদ করার চেষ্টা করি। বেরিয়ে আসার জন্য মেয়েদের অনুপ্রাণিত করি। আমি যখন কাজ শুরু করেছি তখন অনেক কটু কথা শুনতে হয়েছে। মন্দ কথা শুনতে হয়েছে। অনেক বাধা-বিধি নিষেধ ছিল। একটা রক্ষণশীল পর্দানশীল পরিবার থেকেই তো আমি বের হয়ে এসেছি। নোয়াখালী আমার পৈতৃক বাড়ি, সেখান থেকে এতদূর চলে এসেছি। আমিও একজন যোদ্ধা, যুদ্ধ করেছি। যেখানে কাজ করেছি সেখানে সংঘাত হয়েছে। পারিবারিক জীবনেও সংঘাত হয়েছে। একটা মেয়ে স্বামী সংসার ফেলে নাটক করতে দূরে ঢাকার বাইরে চলে যাই সেগুলোতেও অনেক মন্দভাবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। আমি মনে করেছি আমি কোনো অন্যায় করছি না। আমি যে কাজ করছি তা মানুষের কল্যাণের জন্য। মানুষের চিত্ত যাতে আরও প্রসারিত হয়। সেভাবেই কাজ করে যাচ্ছি এখনো। যারা সমাজ সংস্কারক আছেন নারীদের নিয়ে কাজ করেন, তারা কাজ করবেন। তাদের প্রতি আমি অনেক আশাবাদী এবং আস্থা রাখি। তারা কাজ করছেন, আরও করবেন।

যাযাদি : আপনার বয়স আশি ছুঁই ছুঁই দীর্ঘজীবনে আপনি অনেক কাজ করেছেন। ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে আপনি কী পরিতৃপ্ত?

দিলারা জামান : আমি মনে করছি আমি ইতিহাসের অংশ হতে যাচ্ছি বঙ্গবন্ধুর একটা বায়োপিকে সেখানে বঙ্গবন্ধুর মায়ের ভূমিকায় কাজ করেছি। সেখানেও আমি মনে করি আমার সেটা একটা বড় অর্জন। জীবনের শেষপ্রান্তে এসে যে কাজটি করার সুযোগ পেলাম সেটা ইতিহাস হয়ে থাকবে। আমার উপস্থিতি খুব সামান্য; কিন্তু আমি এতে গর্বিত এবং নিজেকে ধন্য মনে করি। একজন শিল্পী পরিতৃপ্ত হয়ে গেলে তার সবই শেষ হয়ে গেল। হয়তো জীবনের শ্রেষ্ঠ কাজ এখনো করিনি। আমি যা করেছি সেটা সময় আর আমার দর্শক বিচার করবে। আমি মনে করি আরও ভালো কিছু করার ছিল।

যাযাদি : তরুণ প্রজন্ম বিশেষ করে নারীদের প্রতি আপনার বার্তা বা মেসেজ কী?

দিলারা জামান : আমি এত বিখ্যাত কেউ নই যে বার্তা দিতে পারব। আমি আমার কথা বলি, আমার চলার পথে আমি সব সময় সৎ থাকার চেষ্টা করেছি। একনিষ্ঠ থাকার চেষ্টা করেছি আমার কাজে। সর্বশক্তি দিয়ে কাজ করি। নাটকের ছোট্ট একটা চরিত্রেও একনিষ্ঠ হয়ে কাজ করার চেষ্টা করি। পুরো নাটকে যদি একটা মাত্র সংলাপও থাকে কিংবা একটা মাত্র দৃশ্যে যদি থাকি, আমি আমার সমস্ত চেষ্টা-মেধা দিয়ে নিয়োজিত করি যাতে দর্শক আমাকে ওইটুকু সময়ের জন্য বিচার করতে পারেন, মনে রাখতে পারেন। আমি সবাইকে বলি জীবনে অনেক বাধা আসে বিপত্তি আসে, জীবন তো বহতা নদীর মতো, নদী যেমন পথ খুঁজে নিয়ে আগাতে থাকে। আমরা থেমে না গিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য এগিয়ে যেতে হবে।

যাযাদি : সময় দেওয়ার জন্য যায়যায়দিনের পক্ষ থেকে আপনাকে ধন্যবাদ।

দিলারা জামান : যায়যায়দিন এবং আপনাকেও ধন্যবাদ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে