সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

নারী অভিবাসী কর্মীর নিরাপত্তা

তাসনীম সিদ্দিকী
  ২৪ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০

বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর লক্ষাধিক নারী কাজের উদ্দেশ্যে উপসাগরীয় দেশ, অন্যান্য আরব দেশ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে অভিবাসন করে থাকেন। তাদের আয়ে চলে দেশে থাকা পরিবারগুলো। বিদেশে কাজ করে অনেক নারী বদলে ফেলেছেন তাদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থান। বাড়ি করেছেন, ফসলি জমি কিনেছেন, সন্তানদের উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করেছেন, পরিবারের সদস্যদের উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করেছেন। ব্যক্তিগতভাবে অনেক নারী শ্রমিক নিগ্রহমূলক বৈবাহিক সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে এসে নতুন জীবন গড়েছেন। নিজের অর্থনৈতিক মুক্তির পাশাপাশি আরও ১০ জন নারী, যাদের কর্মসংস্থান ও আয়ের সুযোগ প্রয়োজনে তাদের বিদেশ যাওয়ার পথ দেখিয়েছেন। দুঃখজনকভাবে এই চিত্রের পাশাপাশি নারী অভিবাসনের আর একটি অন্ধকার চিত্রও রয়েছে। উলেস্নখযোগ্য সংখ্যক নারী অভিবাসনের দেশে নিগ্রহের শিকার হচ্ছেন। নিম্নমানের কর্মপরিবেশ এবং বাসস্থান, চলাচলের ওপর নিয়ন্ত্রণ, দীর্ঘ কর্মঘণ্টা, অনিয়মিত বেতন, পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা ইত্যাদি ব্যাপারগুলো ভুক্তভোগী নারীদের মধ্যে মানসিক ভারসাম্য বৈকল্যও সৃষ্টি করছে। শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতনের কারণে লাশ হয়ে দেশে ফিরেছেন বেশ কিছু অভিবাসী নারী শ্রমিক। অভিবাসনের দেশে শুধু যে বাংলাদেশের নারী শ্রমিকদের এক অংশ নিগৃহীত হচ্ছেন তা নয়, অন্যান্য উৎস রাষ্ট্রের নারী অভিবাসীরাও একই ধরনের নিগ্রহের শিকার হচ্ছেন। বিএমইটির তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের স্বল্পদক্ষ নারী শ্রমিকরা মূলত কাজ করেন গৃহকর্মী হিসেবে এবং কিছু কর্মরত রয়েছেন সেবা খাতে। সামান্যই কর্মরত ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ২০১৭ সালের একটি গবেষণা তুলে ধরে যে উপসাগরীয় দেশগুলোতে শোষণ ও নির্যাতনমূলক কর্মক্ষেত্র বিভিন্ন দেশের অভিবাসী নারীদের এক অংশের ভেতরে যে মানসিক ক্ষত তৈরি করেছে তা দেশে ফিরে যাওয়ার পরও দীর্ঘ সময় ধরে তাদের অসুস্থ করে রাখে। কাতারের দোহায় অবস্থিত হামাদ হসপিটালের সাইকিয়াট্রিক ইউনিটের তথ্য মতে, প্রতিদিন ১২-১৫ জন গৃহকর্মীকে মানসিক চিকিৎসা গ্রহণের জন্য তাদের কাছে নিয়ে আসা হয়। এদের একটা বড় অংশই আত্মহত্যার প্রবণতা নিয়ে আসেন। স্বাস্থ্যবিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ভাইটাল সাইনের তথ্য অনুযায়ী ২০১৬ সাল থেকে পরবর্তী ৫ বছরে বিদেশে কর্মরত অবস্থায় নারী শ্রমিকের মৃতু্যর হার বেড়ে চলেছে। অর্ধেকের বেশি বাংলাদেশি নারী শ্রমিক কাজ করতে যান সৌদি আরবে। ফলে অভিবাসনের দেশে মৃতু্য ঘটেছে এমন বাংলাদেশি নারীকর্মীর সংখ্যাও সৌদি আরবেই বেশি। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে বাংলাদেশের মৃত নারী শ্রমিকদের গড় আয়ু ছিল মাত্র ৩৭ বছর। ওয়েজ আর্নার ওয়েলফেয়ার বোর্ডের কাছে হস্তান্তরিত অভিবাসনের দেশের ডেথ সার্টিফিকেটের রিপোর্ট অনুযায়ী ৩২ শতাংশ কেইস হচ্ছে অস্বাভাবিক মৃতু্য আর ৬৮ শতাংশ স্বাভাবিক মৃতু্য। যে ৬৮ শতাংশের মৃতু্যকে স্বাভাবিক মৃতু্য বলে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে সে ব্যাপারেও সন্দেহ রয়েছে। রামরক্ষা কর্তৃক পরিচালিত ১০০ মৃত নারী শ্রমিক পরিবারের খানাপ্রধানের সাক্ষাৎকার থেকে দেখা যায় যে, ৪৮ শতাংশ পরিবার সন্দেহ করেন, যদিও অভিবাসনের দেশ থেকে দেওয়া ডেথ সার্টিফিকেটে তাদের পরিবারের বিদেশে কর্মরত নারী শ্রমিকের মৃতু্যকে স্বাভাবিক মৃতু্য বলে ঘোষণা করা হয়েছে। তবে, মৃতদেহের ওপর ক্ষতচিহ্ন থেকে তারা মনে করেন যে, সেগুলো স্বাভাবিক মৃতু্য ছিল না। অস্বাভাবিক মৃতু্যর মধ্যে রয়েছে আঘাতজনিত মৃতু্য, অগ্নিদগ্ধতাজনিত মৃতু্য, বিদু্যৎস্পর্শজনিত মৃতু্য, খুন এবং আত্মহত্যা। কর্মক্ষেত্রে নির্যাতনের এই চিত্র কোনো অবস্থায়ই গ্রহণযোগ্য নয়। এসব ক্ষেত্রে শ্রমিক প্রেরণকারী রাষ্ট্রগুলো একটি অসহায় অবস্থার মধ্যে রয়েছে। কোনো প্রেরণকারী দেশের সরকার এবং জনগণের কাছে কাজ করতে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরে আসা গ্রহণযোগ্য নয়। যদি প্রমাণসহ নারীকর্মীর ওপর সহিংসতার বিষয়টি অভিবাসনের দেশের আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে নেওয়া যায় সেক্ষেত্রে কিন্তু ন্যায়বিচার পাওয়া সম্ভব। আবীরনের কেইসটি এক্ষেত্রে উলেস্নখযোগ্য। পত্রিকার খবরের ভিত্তিতে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করে এবং বিএমইটি ও দূতাবাসের মাধ্যমে কেইস লড়ে। এই বিচারে দোষী প্রমাণিত হয়ে শাস্তি পায় গৃহকর্ত্রী, গৃহকর্তা ও তাদের পুত্র। এতে করে আবীরন হয়তো ফিরে আসবে না; তবে অন্য নারীকর্মীদের আবীরনের পরিণতিতে নিয়ে যেতে চাকরিদাতা ও তার পরিবার ভয় পাবে। নারী অভিবাসীদের ওপর অগ্রহণযোগ্য নির্যাতনের কারণে ফিলিপাইন এবং ইন্দোনেশিয়া বিভিন্ন সময়ে মধ্যপ্রাচ্যের দেশে নারী শ্রমিক পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছিল। আইনি নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকলেও বাস্তবে দেখা গেল যে, এসব দেশ থেকে নারী অভিবাসন বন্ধ হয়নি বরং অনিয়মিত পথে নারী অভিবাসন অব্যাহত থেকেছে। অনিয়মিত অভিবাসন তাদের ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল। ফলে দুটো দেশই একপর্যায়ে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হয়। ২০০৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে স্বল্প দক্ষ ও অদক্ষ নারী শ্রমিকের কাজের উদ্দেশ্যে অভিবাসনের ওপরে কখনো সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা, আবার কখনো বা বিধিনিষেধ আরোপিত ছিল। নারীর বিষয়ে পিতৃতন্ত্রের যে প্রতিরক্ষামূলক চিন্তাভাবনা তা থেকেই এমন সিদ্ধান্ত উৎসারিত হয়েছিল। পুরুষ শ্রমিক কাজের জন্য দেশের বাইরে গিয়ে নিগৃহীত হলে পিতৃতন্ত্র মানবাধিকারের দৃষ্টিকোণ থেকে তার প্রতিবাদ করে কিন্তু কখনোই পুরুষ শ্রমিকের কাজের জন্য বিদেশে যাওয়া বন্ধ করে না। নারী শ্রমিকের ওপরে নির্যাতনের ভেতরে যৌন নিপীড়নের বিষয়টি যুক্ত থাকায় পিতৃতান্ত্রিক আদর্শে লালিত রাষ্ট্রব্যবস্থা একে জাতির সম্ভ্রমের ওপর আঘাত হিসেবে নেয়। নারী শ্রমিকের প্রতিরক্ষার প্রয়োজনে বিদেশে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে তার কাজের সুযোগই বন্ধ করে দেয়। ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশের নারী অভিবাসীদের কণ্ঠস্বর তুলে ধরে দুটো গবেষণালব্ধ গ্রন্থ প্রকাশ করে। একটি সংস্করণ বের হয় জেনেভা থেকে এবং আরেকটি বাংলাদেশ থেকে। গ্রন্থ দু'টির শিরোনাম একই- 'ট্রান্সেন্ডিং বাউন্ডারিজ: ফিমেল লেবার মাইগ্রেশন ফ্রম বাংলাদেশ'। এ বইটি প্রকাশের পর সরকারি নীতিনির্ধারকদের বোঝাতে সক্ষম হই যে, নারী শ্রমিকরা বিদেশে কর্মসংস্থান তৈরিতে উৎসাহী এবং তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপকে তারা অন্যায় হিসেবে দেখে এবং অনিয়মিত পথে বিদেশে যেতে চেষ্টা করে মানব পাচারের শিকার হচ্ছে। সুশীল সমাজের জোর দাবির মুখে ২০০৩ সালে সরকার স্বল্পদক্ষ নারী শ্রমিকের বিদেশে যাওয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর থেকে উলেস্নখযোগ্য সংখ্যক নারী স্বল্পমেয়াদি চুক্তিভিত্তিক কর্মী হিসেবে আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারে অংশগ্রহণ শুরু করেন। প্রতি বছরে নারী অভিবাসীর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়তে থাকে। ২০১৬ সাল নাগাদ বাংলাদেশ থেকে যাওয়া মোট শ্রম অভিবাসীর ১৬ শতাংশ হয়ে দাঁড়ায় নারীকর্মী। ২০১৬ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত কোভিডের বছরটি বাদ দিয়ে, প্রতি বছরে এক লাখের অধিক নারী কাজের জন্য বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন। ২০১৬ সালে ১,১৮,০৮৮ জন নারী, ২০১৭ সালে ১,২১,৯২৫ জন নারী, ২০১৮ সালে ১,০১,৬৯৫ জন নারী এবং ২০১৯ সালে ১,০৪,৭৮৬ জন নারী এবং কোভিডপরবর্তী ২০২২ সালে ১,০৫,৪৬৬ জন স্বল্পদক্ষ নারী শ্রমিক কাজ নিয়ে বিদেশে গেছেন। এদের অনেকেরই কিন্তু নিগৃহীত হওয়ার অভিজ্ঞতা নেই। এসব নারী শ্রমিক বলেন, মায়ের পেটের ভেতরে যতটা নিরাপদ ছিলাম ঠিক তেমনই নিরাপদ ছিলাম আমি আমার চাকরিস্থলে। একজন অভিবাসী নারী জানান, 'দেশে থেকে তো আমি কোরআনটাও পড়তে শিখি নেই। আমার গৃহকর্ত্রী আমাকে কোরআন পড়তে শিখিয়েছেন। আমি দেশে ফিরেছি আজ পাঁচ বছর। এখন আমি পাড়ার বাচ্চা মেয়েদের সিপারা-আমপারা পড়াই।' সুতরাং, নারী শ্রমিকের অভিবাসন ঠিক কী ভুল এ বিষয়ে সিদ্ধান্তে আসা অনেক জটিল। এ বিষয়ে সামাজিক লাভ-ক্ষতির হিসাব পরিবার প্রথম পর্যায়ে একটু কমই করতে চান, অর্থনৈতিক লাভটাকেই বড় করে দেখেন। এ অবস্থায় বাংলাদেশ সরকারের বড় দায় হচ্ছে সুরক্ষা নিশ্চিত করে নারী শ্রমিকের স্বাধীনভাবে দেশে-বিদেশে কর্মক্ষেত্র বেছে নেওয়ার অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। নারী অভিবাসনের অর্থনৈতিক তাৎপর্য ধরা পড়ে পুরুষ অভিবাসনের ফলাফলের সঙ্গে এর তুলনা করলে। ২০১৪, ২০১৭ এবং ২০২০ সালে দারিদ্র্যের ওপরে অভিবাসনের প্রভাব বিষয়ক ৬০০০ খানার ওপরে পরিচালিত রামরুর প্যানেল সার্ভে তুলে ধরে নারী অভিবাসনের তুলনায় পুরুষ অভিবাসনের খরচ চার গুণ বেশি। ২০১৭ সালের তুলনায় ২০২০ সালে পুরুষ অভিবাসীর প্রকৃত আয় মুদ্রাস্ফীতি যোগ করার পরে ২৩.৫ শতাংশ কমে গেছে। পক্ষান্তরে, নারী শ্রমিকের প্রকৃত আয় ২০১৭ সালের তুলনায় কমেনি বরং সামান্য বেড়েছে। আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হলো নারীর তুলনায় পুরুষ শ্রমিকের আয় মাত্র ১ দশমিক ৪ গুণ বেশি। ২০২০ সালে পুরুষ শ্রমিকরা মাথাপিছু এক লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা রেমিট্যান্স হিসেবে পাঠিয়েছিল- যা ২০১৭ সালের তুলনায় ২০ শতাংশ কম। অন্যদিকে, নারী শ্রমিক পাঠিয়েছে এক লাখ ছাব্বিশ হাজার পাঁচশ টাকা। ২০১৭ সালের তুলনায় নারীর রেমিট্যান্স ২০২০ সালে ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। নারী শ্রমিকের বিদেশে যেতে যে টাকা খরচ করে তা তার চার মাসের বেতনের সমপরিমাণ। অন্যদিকে, পুরুষের অভিবাসন ব্যয় তাদের আঠারো মাসের বেতনের সমপরিমাণ। অর্থাৎ আন্তর্জাতিক অভিবাসনের রিটার্ন পুরুষের তুলনায় নারীর ক্ষেত্রে বেশি। এই বাস্তবতা অনুধাবন করেই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় নারী অভিবাসনকে নিরাপদ করার জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। গেস্নাবাল ফোরাম অন মাইগ্রেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের অনুষ্ঠানগুলোতে আইএলও এবং আইওএমসহ জাতিসংঘের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নারী শ্রমিকের ওপর সহিংসতা কমানোর জন্য বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছে। তারা শ্রমগ্রহণকারী দেশগুলোতেও এ বিষয়ে কারিগরি সহযোগিতা দিচ্ছে। বেশ কিছু নারী শ্রমিক গ্রহণকারী দেশ এ বিষয়ে আইনি পরিবর্তনও এনেছে। বাংলাদেশ সরকারও এ বিষয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আরও বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে, বিদেশে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সব শ্রম অভিবাসীর আইনি অধিকার নিশ্চিত করতে দূতাবাসগুলোতে লিগ্যাল সাপোর্ট সেল, পর্যাপ্ত দোভাষী এবং ওই দেশের ল'ফার্মগুলো থেকে প্যানেল আইনজীবী নিয়োগ করা। আইএলও কর্তৃক গৃহকর্মী কনভেনশন-২০১১ (নং ১৮৯) সহিংসতা এবং হয়রানি কনভেনশন-২০১৯ (নং ১৯০) অনুসমর্থন করা, আন্তর্জাতিক ট্রেড ইউনিয়ন কনফেডারেশন, সুশীল সমাজের সঙ্গে একত্রে আইএলও কনভেনশন অনুস্বাক্ষর করার জন্য বিভিন্ন বহুপক্ষীয় ফোরামে যুক্তিনির্ভর আলোচনার সূত্রপাত ঘটানো। নির্যাতিত ও কর্মচু্যত নারী অভিবাসীদের নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য সেই দেশে নারী অভিবাসীর সংখ্যানুপাতে সেইফ হোমের সৃষ্টি ও সংখ্যা বাড়ানোর জন্য বাজেটে বরাদ্দ রাখা। নির্যাতিত, মানসিক ভারসাম্য হারানো অথবা অবাঞ্ছিত মাতৃত্বের শিকার হয়ে ফিরে আসা নারীদের জন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে স্বল্পকালীন সেইফ হোম প্রতিষ্ঠা করা। বিএমইটি এবং বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশি দূতাবাসগুলোর যৌথ পরিচালনায় অভিবাসী কর্মীদের তথ্য সংরক্ষণ করা এবং তা প্রতি বছর হালনাগাদ করা। অভিবাসনের দেশে বাংলাদেশি দীর্ঘমেয়াদি অভিবাসীদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে একটি ওয়েলফেয়ার কার্যক্রম চালু করা। সামাজিক কাজে ইচ্ছুক ডায়াস্পোরা সদস্যদের নিয়ে এলাকাভিত্তিক 'অভিবাসী সেবা' অ্যাসোসিয়েশন গড়ে তোলা। দূতাবাসের ডেটাবেইজের ভিত্তিতে 'অভিবাসী সেবা' অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের মাধ্যমে নিয়মিতভাবে ফোনে নারী অভিবাসীদের খবরাখবর রাখা। কোনো নারী অভিবাসী অসুবিধা বোধ করলে দূতাবাসকে জানানো এবং প্রয়োজনে দূতাবাসের মাধ্যমে তাদের সেইফ হোমে স্থানান্তর করা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে