মানুষের বসবাসের জন্য চাঁদে স্থায়ীভাবে একটি বেস তৈরি করার পরিকল্পনা করছে নাসা। ২০২৪ সালে এক নারী ও এক পুরুষ নভোচারীকে চাঁদে পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। প্রাথমিকভাবে এ মিশনের জন্য ১৮ জনকে বেছে নিয়েছে নাসা।

এমনকি সেখানকার একটি ছবিও শেয়ার করেছে নাসা। এর ফলে নাসার এ মিশনে যাওয়ার গুরুত্ব বেড়েছে। ছবিতে দেখানো হয়েছে, চাঁদে নভোচারীরা ঠিক কী কী দেখবেন, পৃথিবীকেই বা সেখান থেকে কেমন দেখাবে? এ মিশনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য হলো চাঁদে বসতি স্থাপন এবং পৃথিবীর ইঞ্জিনিয়ারদের চাঁদের খনিজ, মাটি, ভূ-ত্বক ব্যবহার করতে শেখানো।

এর আগে মহাকাশচারীরা চাঁদের যে এলাকাগুলোতে এত দিন সঠিকভাবে পৌঁছতে পারেনি বা যা এখনো কিছুটা অনাবিষ্কৃত অবস্থায় আছে, সেই অঞ্চলগুলোও পরিদর্শন করা হবে। এ ছাড়া এ মিশনে চাঁদের মাটিতে মানুষের বসতি স্থাপনের জন্য একটি বেস তৈরির চিন্তা-ভাবনা করেছে নাসা।

নাসার একটি রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ২০৩০ সালের প্রথম দিকে নাসা একজন পুরুষ ও নারী মহাকাশচারীকে মঙ্গলগ্রহে পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে। সেক্ষেত্রে চাঁদের এ অভিযানকে তার আগে অন্যতম বড় পরীক্ষা বলে মনে করা যেতে পারে।

ভাসমান পানির কণা থেকে বিদু্যৎ

বিজ্ঞানীরা মনে করেন প্রাথমিকভাবে চাঁদে একটি বেস বানানো গেলেও নভোচারীদের প্রথম কয়েক বছর খুব চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে। তবে কয়েক বছর পর সেই প্রতিকূল পরিবেশ কেটে যাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।