বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১

জৈব -অজৈব নমুনার অনুসন্ধানে ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপ

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক
  ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
জৈব -অজৈব নমুনার অনুসন্ধানে ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপ

গরপৎড়ংপড়ঢ়ব শব্দটি গ্রিক শব্দ 'মিক্রিস' অর্থ 'ছোট' এবং 'স্কোপেন' অর্থ 'দেখতে' বা 'দেখুন'। গরপৎড়ংপড়ঢ়ব-এর বাংলা অর্থ হলো অণুবীক্ষণ যন্ত্র। এটি এমন একটি উপকরণ, যা খালি চোখে দেখা যায় না বা দেখতে খুব ছোট কোনো বস্তুকে ব্যবহার করতে হয়। মূলত এর অর্থ হলো চোখে অদৃশ্য হওয়া কোনো বস্তুকে দেখতে সহায়তা করা। বিভিন্ন ধরনের মাইক্রোস্কোপ রয়েছে। তার মধ্যে একটি হলো অপটিক্যাল মাইক্রোস্কোপ, যা কোনো চিত্র তৈরীর জন্য একটি নমুনার মধ্যে দিয়ে আলো যেতে ব্যবহার করে। অন্য বড় ধরনের মাইক্রোস্কোপগুলো হলো ফ্লুরোসেন্স মাইক্রোস্কোপ, ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপ এবং বিভিন্ন ধরনের স্ক্যানিং প্রোফ মাইক্রোস্কোপ।

১৫৯০-এর দিকে ডাচ লেন্স প্রস্তুতকারক হ্যান্স মার্টিনস এবং তার পুত্র জ্যাকারিয়াস জনসেন এক জোড়া উত্তল লেন্স ব্যবহার করে একটি যৌগিক অণুবীক্ষণ যন্ত্র তৈরি করেন। ১৬৬৫-এর দিকে রবার্ট হুকের নকশা অনুসারে তৈরি হয় উন্নতমানের অণুবীক্ষণ যন্ত্র। এই যন্ত্রটি তৈরি করেছিলেন ইংল্যান্ডের ক্রিস্টেফার কক। রবার্ট হুক এই যন্ত্রের সাহায্যে একটি কর্কের ভেতরের অংশ পরীক্ষা করে প্রথম জীবকোষ সম্পর্কে ধারণা দিতে সক্ষম হয়।

অণুবীক্ষণ যন্ত্রের প্রকারভেদ :

আধুনিককালে অণুবীক্ষণ যন্ত্রের গঠন প্রকৃতির ওপর নির্ভর করে দু'টি ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-র. আলোক অণুবীক্ষণ যন্ত্র ও রর. বৈদু্যতিক অণুবীক্ষণ যন্ত্র।

আলোক অণুবীক্ষণ যন্ত্র :

সবচেয়ে সাধারণ অণুবীক্ষণ যন্ত্র হলো আলোক অণুবীক্ষণ যন্ত্র, যা হালকা অণুবীক্ষণ যন্ত্র হিসেবে পরিচিত। এই অণুবীক্ষণ যন্ত্রটিতে চোখের ওপর আলোকপাত করতে বা অন্য একটি হালকা ডিটেক্টরের দিকে আলোকপাত করতে মাঝে মাঝে রিফ্লেক্টিভ গস্নাস থাকে। এটি এমন এক ধরনের যন্ত্র, যা সাধারণত দৃশ্যমান আলো এবং লেন্সগুলোর একটি সিস্টেম ব্যবহার করে ছোট ছোট বস্তুর বর্ধিত চিত্র তৈরি করে। আলোক অণুবীক্ষণ যন্ত্রের বিকল্প অণুবীক্ষণ যন্ত্রসমূহ হলো স্ক্যানিং অণুবীক্ষণ যন্ত্র এবং সংক্রমণ অণুবীক্ষণ যন্ত্র- যা দৃশ্যমান আলো ব্যবহার করে না।

ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপ :

১৯৩৩ সালে ঊৎহংঃ জঁংশধ দ্বারা বৈদু্যতিক মাইক্রোস্কোপ নির্মিত হয়। ঊৎহংঃ জঁংশধ একজন জার্মান পদার্থবিদ। তিনি তড়িৎ প্রকৌশলী ম্যাক্সনোনের সঙ্গে প্রথম প্রোটোটাইপ বৈদু্যতিক মাইক্রোস্কোপ তৈরি করেন। এটি একটি সংক্রমণ বৈদু্যতিক মাইক্রোস্কোপ ছিল। বৈদু্যতিক মাইক্রোস্কোপ অনেকটা অপটিক্যাল মাইক্রোস্কোপের মতো কাজ করে। অজৈব নমুনার বিস্তৃত জীবাণু, কোষ, বৃহৎ অণু, বায়োপসি নমুনা, ধাতু এবং স্ফটিকসহ বিভিন্ন জৈব এবং অজৈব নমুনার অনুসন্ধানে ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপ ব্যবহৃত হয়।

গঠন বৈশিষ্ট্য বিচারে ইলেকট্রনিক অণুবীক্ষণ যন্ত্রকে দু'ভাগে ভাগ করা যায়। একটি সংক্রমণ ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপ ও অন্যটি স্ক্যানিং ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপ।

মাইক্রোস্কোপের ব্যবহার :

টিসু্য বিশ্লেষণ : মাইক্রোস্কোপ ব্যবহার করে টিসু্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে কোনো রোগ আছে কি না বা কী ধরনের রোগ আছে তা শনাক্ত করা যায়।

ফরেনসিক প্রমাণ পরীক্ষার ক্ষেত্রে : কোনো সংঘর্ষে বা অপরাধমূলক কাজে ব্যবহৃত প্রমাণসমূহ, যা খালি চোখে দেখা যায় না তা নির্ণয়ের ক্ষেত্রে মাইক্রোস্কোপ ব্যবহার করে সঠিক তথ্য পাওয়া সম্ভব হয়।

ইকোসিস্টেমের মাধ্যমে স্বাস্থ্য নির্ণয় : জীববিজ্ঞানীরা কোনো একটি অঞ্চলের জীবের সংখ্যা ও বৈচিত্র্য নির্ণয়ের ক্ষেত্রে মাইক্রোস্কোপ ব্যবহার করে বাস্তুতন্ত্রের স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ করে।

পারমাণবিক কাঠামো জানা : বিজ্ঞানীরা পরমাণুর পৃষ্ঠতল সম্পর্কে সম্যক ধারণা পাওয়ার লক্ষ্যে মাইক্রোস্কোপ ব্যবহার করে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে