ইন্দোনেশিয়ার জলসীমা দিয়ে ‘অবৈধ জ্বালানি’ সরবরাহের অভিযোগে ইরানের পতাকাবাহী এমটি হর্স নামের একটি ট্যাংকার জব্দ করেছে দেশটির কোস্টগার্ড। এসময় পানামার পতাকাবাহী এমটি ফ্রেয়া নামের আরেকটি ট্যাংকারও জব্দ করা হয়। রবিবার ইন্দোনেশিয়ার কোস্টগার্ডের বিবৃতির বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
বিবৃতিতে ইন্দোনেশিয়ান কোস্টগার্ডের মুখপাত্র বিষ্ণু প্রামানদিতা জানিয়েছেন, কালিমান্তান প্রদেশের উপকূল থেকে ট্যাংকার দুটি জব্দ করা হয়। এর পর আরও তদন্তের জন্য এগুলোকে পাহারা দিয়ে রিয়াউ দ্বীপ প্রদেশের বাটাম দ্বীপে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে ৫টায় ট্যাংকার দুটি শনাক্ত হয়। জাতীয় পতাকা প্রদর্শন না করে, স্বয়ংক্রিয় শনাক্তকরণ পদ্ধতি বন্ধ রাখে। এমনকি রেডিও কলেও সাড়া না দিয়ে তারা তাদের পরিচয় গোপন করে রেখেছিল। এছাড়া এমটি ফ্রেয়ার চারপাশে তেল ছড়িয়ে পড়ছিল।”
জাহাজ জব্দের এই ঘটনা নিয়ে ইরান এখনও কোনো মন্তব্য করেনি। দেশটির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা তাদের বিক্রয় করা তেলের গন্তব্য গোপন করতে নিজেদের ট্যাংকারগুলোর ট্র্যাকিং সিস্টেম অকার্যকর করে রাখে, এতে তেহরান কী পরিমাণ অপরিশোধিত তেল রপ্তানি করছে তার হিসাব বের করা কঠিন হয়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রতিরোধ করতে গিয়েই দেশটি এমনটি করে বলে রয়টার্স জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৮ সালে ওয়াশিংটনকে ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে ইরানের ২০১৫ সালে হওয়া পারমাণবিক চুক্তি থেকে সরিয়ে নেন। এরপর ফের ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে তেহরানের তেল রপ্তানি শূন্যে নামিয়ে আনার লক্ষ্য নেন। এর মধ্যেও গত বছর এমটি হর্স জাহাজটিকে ২১ লাখ ব্যারেল তেলসহ ভেনেজুয়েলায় পাঠিয়েছিল ইরান।
যাযাদি/ এমএস
Copyright JaiJaiDin ©2021
Design and developed by Orangebd