শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

ইমরান খানের দলের নির্বাচনী প্রতীক ফিরিয়ে দিলো সুপ্রিম কোর্ট

যাযাদি ডেস্ক
  ১২ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:১৩
ইমরান খানের দলের নির্বাচনী প্রতীক ফিরিয়ে দিলো সুপ্রিম কোর্ট

ভোট নিয়ে অনিশ্চয়তার আবহেই আদালতের লড়াইয়ে বড় জয় পেল পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)।

দলের নির্বাচনী প্রতীক ‘ব্যাট’ কেড়ে নেয়ার বিষয়ে ‘ইলেকশন কমিশন অব পাকিস্তান’ (ইসিপি) যে পদক্ষেপ করেছিল, বৃহস্পতিবার পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্ট তা খারিজ করে দিয়েছে। এ বিষয়ে পেশোয়ার হাই কোর্টের রায়ও বাতিল করা হয়েছে।

শীর্ষ আদালতের এই রায়ের ফলে পাকিস্তানি পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ‘ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি’ এবং প্রাদেশিক আইনসভাগুলোর আসন্ন নির্বাচনে ‘ব্যাট’ প্রতীকেই লড়তে পারবেন পিটিআই প্রার্থীরা।

এর আগে গত অগস্টে ইসলামাবাদের বিশেষ আদালত তোশাখানা মামলায় তিন বছরের জেলের সাজা ঘোষণার পরই ইমরানের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। এরপর ইসলামাবাদ হাই কোর্ট সেই সাজায় স্থগিতাদেশ দিয়ে ইমরানের জামিন মঞ্জুর করেছিল। কিন্তু রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য ফাঁসের অভিযোগে ‘অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট’ (ওএসএ)-এ মামলা চলায় তিনি মুক্তি পাননি।

এই পরিস্থিতিতে নির্বাচনী প্রতীক ‘ব্যাট’ বজায় রাখতে গত নভেম্বরে পিটিআইয়ের সাংগঠনিক নির্বাচন সেরে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিল পাকিস্তানি নির্বাচন কমিশন। এরপর ডিসেম্বরের গোড়ায় পিটিআই-এর নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন ইমরান ঘনিষ্ঠ নেতা গোহর আলি খান। পাশাপাশি পিটিআইয়ের সাংগঠনিক বৈঠকে সেক্রেটারি জেনারেল হিসাবে নির্বাচিত হন ওমর আয়ুব খান। ১৯৯৬ সালে পিটিআই তৈরির পর এই প্রথমবার ইমরানের পরিবর্তে অন্য কাউকে নির্বাচিত করা হয় দলীয় চেয়ারম্যান হিসেবে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন জানায়, পিটিআইয়ের সাংগঠনিক বিধি মেনে ইমরানের উত্তরসূরি নির্বাচন হয়নি। ফলে প্রতীক কেড়ে নেয়া হবে।

কমিশনের ওই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে পেশোয়ার হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পিটিআই নেতৃত্ব। ২৬ ডিসেম্বর কমিশনের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিলেও ৩ জানুয়ারি তা প্রত্যাহার করেছে হাই কোর্ট। এরপর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন পিটিআই নেতৃত্ব।

আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানি পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ‘ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি’ এবং প্রাদেশিক আইনসভাগুলোর নির্বাচন। শেষ হয়েছে মনোনয়ন পর্বও। কিন্তু গত ৫ জানুয়ারি পাক পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটে ‘প্রবল শৈত্যপ্রবাহ এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি’র কারণে ভোট পিছিয়ে দেয়ার বিষয়ে সর্বসম্মত প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। ফলে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। সূত্র : আনন্দবাজার

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
X
Nagad

উপরে