শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

অবশেষে খোঁজ পাওয়া গেল হিন্দ রজবের

যাযাদি ডেস্ক
  ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:৩৯
ফিলিস্তিনি শিশু হিন্দ রজব-ফাইল ছবি

গত মাসের শেষ দিকে যুদ্ধ বিধ্বস্ত গাজা শহরে হারিয়ে যাওয়া ছয় বছরের শিশু হিন্দ রজবের মৃতদেহ খুঁজে পাওয়া গেছে। এ সময় পাওয়া গেছে তার আরও কয়েকজন আত্মীয়সহ ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্টের দুই প্যারামেডিকের মরদেহ। ওই দুই প্যারামেডিক জরুরি সাহায্যের ফোন পেয়ে হিন্দ রজবকে উদ্ধারের জন্য গিয়েছিলেন। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

ইসরায়েলি হামলার মুখে জীবন বাঁচাতে হিন্দ রজব তার চাচা-চাচী ও চাচাতো ভাইবোনদের সঙ্গে শহর ছেড়ে পালাচ্ছিল। হিন্দ ও জরুরি বিভাগের কল অপারেটরদের তথ্য অনুযায়ী ছয় বছরের এই বাচ্চা মেয়েটিই ছিল তাদের গাড়িতে একমাত্র জীবিত লোক। এ সময় ইসরায়েলি হামলা থেকে বাঁচতে সে তার আত্মীয়দের মরদেহের ভিড়ে নিজেকে লুকিয়ে রেখেছিল। জরুরি বিভাগের কাছে তাকে বাঁচানোর আকুতি জানিয়ে ফোন কলটি কেটে যাওয়ার মহূর্তেও সে সাহায্যের আশা করছিল।

গতকাল শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্টের প্যারামেডিকরা ওই ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে সক্ষম হয়। প্রচণ্ড যুদ্ধের কারণে শহরের এই জায়গাটি সাধারণ মানুষের যাতায়াত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।

রেড ক্রিসেন্ট সদস্যরা হিন্দ রজব যে গাড়িটিতে করে শহর ছাড়ছিল তা খুঁজে পায়। এটি ছিল একটি কালো রঙের কিয়া মডেলের গাড়ি। গাড়িটির উইন্ডস্ক্রিন আর ড্যাশবোর্ড পাওয়া গিয়েছিল টুকরো টুকরো অবস্থায়। গাড়িটির সারা গায়ে ছিল বুলেটের ক্ষত।

একজন প্যারামেডিক জানান, গাড়ির ভেতরে ছিল হিন্দসহ ছয়জনের মরদেহ। যাদের গায়ে ছিল গুলি আর গোলার কারণে তৈরি হওয়া আঘাতের চিহ্ন। আর এর কয়েক গজ দূরে ছিল আরেকটি পুড়ে যাওয়া গাড়ি, যেটির ইঞ্জিন রাস্তায় পড়ে ছিল। রেড ক্রিসেন্ট সদস্যরা জানান এই গাড়িটিই ছিল হিন্দকে খুঁজতে আসা অ্যাম্বুলেন্স। তারা বলেন, ইসরায়েলের বোমা হামলায় রেডক্রিসেন্টের ওই দুই সদস্য নিহত হন।

এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি জানায়, ২৯ জানুয়ারি যখন অ্যাম্বুলেন্সটি ঘটনাস্থলে আসে তখন ইসরায়েলিরা ইচ্ছে করে বোমা মেরে গাড়িটি উড়িয়ে দেয়।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
X
Nagad

উপরে