শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

যুক্তরাষ্ট্রের হুশিয়ারি, যেকোনো সময় ইরানের হামলা

যাযাদি ডেস্ক
  ১২ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:২০
ছবি সংগৃহিত

তীব্র উত্তেজনার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে ইরান যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের মধ্যে সম্পর্ক। যে কোনো সময় ইরান ইসরাইলে হামলা চালাতে পারে। এদিকে ইরানের আকাশে সব ধরণের বিমান চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এতে ধারণা করা হচ্ছে ইরান হামলার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। ওদিকে ইসরাইলের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী হুমকি দিচ্ছে বার বার যেন ইরান হামলা করে। তাতে আঞ্চলিক যুদ্ধ শুরু হয়ে যেতে পারে।

জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রসহ ইসরায়েলের পশ্চিমা মিত্র দেশগুলো মনে করছে, ইসরায়েলে বড় ধরনের ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র বা ড্রোন হামলা যেকোনো সময়ে হতে পারে। এক্ষেত্রে ইরান, ইসরায়েলের সরকারি ও সামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু করতে পারে। বিভিন্ন গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এরপরই ইসরায়েলের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। একটি সূত্র ইসরায়েলি ও মার্কিন গোয়েন্দা মূল্যায়নের ভিত্তিতে জানিয়েছে, ইরান সম্ভাব্য হামলার ক্ষেত্রে উচ্চ নির্ভুল লক্ষ্যমাত্রার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করতে পারে। এবং আগামী কয়েক দিনের মধ্যে এই হামলা সংঘটিত হতে পারে।

সম্প্রতি সিরিয়ায় ইরানি কনস্যুলেটে ইসরায়েলি হামলায় দেশটির বিপ্লবী গার্ডবাহিনীর (আইআরজিসি) দুই শীর্ষ জেনারেল নিহত হন। সেই ঘটনার পর ইরান ইসরায়েলের ওপর প্রতিশোধ দেওয়ার প্রতিজ্ঞা করে। তারপর থেকেই অঞ্চলটিতে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে।

অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, ইসরায়েলের পশ্চিমা মিত্ররা দেশটির সরকারকে জানিয়েছে— ইরান ইসরায়েলের সামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু করলেও বেসামরিক স্থাপনায় হামলা চালাবে না বলেই মনে হয়। এ ব্যাপারে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ইসরায়েলকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করছে।

সূত্রটি আরও জানিয়েছে, ইসরায়েল তার মিত্র দেশগুলোকে জানিয়েছে—গাজায় আরও একটি বড় ধরনে অভিযান শুরু আগে তারা ইরানি হামলার অপেক্ষা করছে। তবে ইরানি হামলা বা গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর স্থল অভিযান কবে শুরু হবে সে বিষয়ে কোনো তথ্য জানা যায়নি।

ইসরায়েলের মিত্র দেশগুলোর গোয়েন্দারা জানিয়েছে, ইসরায়েলে সরাসরি ইরান থেকেই হামলা করা হবে এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই। বরং লেবাননে থাকা ইরানের প্রক্সি গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ এই হামলা চালাতে পারে। একটি সূত্র জানিয়েছে, ইসরায়েলি কর্মকর্তারা মিত্র দেশগুলোর গোয়েন্দা মূল্যায়নকে আমলে নিয়েছে।

এদিকে, ইরানি প্রতিশোধের ভয়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা ইসরায়েলি দূতাবাসগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এমনকি কয়েকটি দূতাবাসের কার্যক্রম স্থগিতও করা হয়েছে। তবে কোন কোন দেশের দূতাবাস বন্ধ করা হয়েছে সে বিষয়ে কোনো তথ্য দেয়নি ব্লুমবার্গ।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বুধবার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টকে বলেছেন যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরান এবং তার প্রক্সিদের যেকোনো হুমকির বিরুদ্ধে ইসরায়েলের পাশে দাঁড়াবে।'

জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সাথে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বাইডেন বলেন, 'ইসরায়েলের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য আমরা যথাসাধ্য করতে যাচ্ছি।'

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে