বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১

অবশেষে সব নাবিকসহ বাংলাদেশী জাহাজ মুক্ত

যাযাদি ডেস্ক
  ১৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৪৭
এমভি আবদুল্লাহ মুক্ত

দীর্ঘ একমাস পর অবশেষে মুক্ত বাংলাদেশী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। জাহাজে থাকা ২৩ নাবিকের সবাই সুস্থ্য আছেন। তারা শিগগির বিমানে করে ঢাকায় ফিরবেন বলে আসা করা হচ্ছে। ঈদের দিন সোমালিয়ার জলদস্যুরা নাবিক ও জাহাজ ছেড়ে দেবার ইঙ্গিত দেয়। সেদিন তারা নাবিকদের সঙ্গে ঈদের নামাজ পড়ে এবং মিষ্টি জাতীয় খাবার পরিবেশেন করে।

জানা যায়, সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবল থেকে ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ মুক্ত হয়েছে। বাংলাদেশে সময় শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে এ খবর নিশ্চিত করেছে জাহাজটির মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপ। জাহাজটিতে থাকা ২৩ নাবিকের সবাই সুস্থ রয়েছেন বলে জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, হেলিকপ্টার থেকে ডলার ফেলার পরই নাবিকদের মুক্তি দেয়া হয়েছে। তবে কত ডলার মুক্তিপণ দেয়া হয়েছে, তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগর থেকে ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশী জাহাজটি ছিনতাই করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। এরপর তারা জাহাজটি সোমালিয়া উপকূলে নিয়ে যায়।

নিজ দেশের উপকূলে নেয়ার নয় দিনের মাথায় দস্যুরা মুক্তিপণের জন্য জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপের সাথে যোগাযোগ করে। নানা পর্যায়ে দর-কষাকষির পর দস্যুদের সাথে সমঝোতা আলোচনা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছছিল বলে ঈদের আগেই আভাস দিয়েছিল জাহাজটির মালিকপক্ষ।

সব নাবিকসহ জাহাজটি মুক্তি পাওয়ার কথা জানিয়ে কেএসআরএম গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান রাহাত সংবাদমাধ্যকে বলেছেন, জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশে রওনা হয়েছে। আর গ্রুপের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে বলে বলা হয়েছে।

জাহাজটি মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে দস্যুদের কবলে পড়েছিল।

জানা গেছে, জলদস্যুদের দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণ নিয়ে একটি বিমান বাংলাদেশ সময় শনিবার বিকেলে আটক জাহাজের ওপর চক্কর দেয়। এসময় জাহাজের ওপরে ২৩ নাবিক অক্ষত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। এরপর বিমান থেকে ডলারভর্তি তিনটি ব্যাগ সাগরে ফেলা হয়। স্পিডবোট দিয়ে এসব ব্যাগ জলদস্যুরা কুড়িয়ে নেয়। জাহাজে উঠে দাবি অনুয়ায়ী মুক্তিপণ গুণে নেয় জলদস্যুরা। তবে চুক্তি অনুযায়ী জাহাজটি যথাসময়ে ছেড়ে দেয়নি দস্যুরা। পরবর্তীতে আশপাশে কেউ আটক করছে কি না, সেটি নিশ্চিত হয়ে জাহাজ থেকে দস্যুরা নেমে যায়।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে