বুধবার সকালে একটি স্কুলবাসে ভয়াবহ বিস্ফোরণে তিন শিশু ও দুই প্রাপ্তবয়স্ক নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী।
বেলুচিস্তানের খুজদার জেলায় এই ভয়াবহ ঘটনাটি ঘটে। এ তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসএপিআর)।
তাদের এক বিবৃতিতে জানানো হয় ‘ভারতীয় সন্ত্রাসী রাষ্ট্রের পরিকল্পনা ও এর দোসরদের মাধ্যমে পরিচালিত আরেকটি কাপুরুষোচিত ও নৃশংস হামলায় খুজদারে স্কুলগামী শিশুদের বাস লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে।
প্রাথমিক তথ্যে বলা হয়েছে, ‘তিন নিষ্পাপ শিশু ও দুই প্রাপ্তবয়স্ক শহীদ হয়েছে এবং বহু শিশু আহত হয়েছে।’
আইএসএপিআর আরো জানায়, ‘যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়ে ভারতের মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীরা বেলুচিস্তান ও খাইবার পাখতুনখোয়ায় অস্থিরতা ও আতঙ্ক ছড়াতে এ ধরনের ঘৃণ্য হামলা চালাচ্ছে।
ভারতের রাজনৈতিক সরকার রাষ্ট্রীয় নীতির অংশ হিসেবে নিরীহ শিশু ও বেসামরিকদের মতো সহজ লক্ষ্যবস্তুকে টার্গেট করছে, যা অমানবিক ও নৈতিকতা-বহির্ভূত।’
‘বেলুচিস্তানে এ ভারতীয় মদদপুষ্ট কাপুরুষোচিত হামলার পরিকল্পনাকারী, সহযোগী ও বাস্তবায়নকারীদের খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় আনা হবে’ বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী।
এর আগে খুজদারের ডেপুটি কমিশনার ইয়াসির ইকবাল দাশতি বলেন, বিস্ফোরণটি ঘটে যখন বাসটি খুজদার জিরো পয়েন্ট অতিক্রম করছিল।
নিহতদের মরদেহ ও আহতদের খুজদার সিএমএইচ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। যাদের অবস্থা গুরুতর, তাদের কোয়েটা ও করাচিতে স্থানান্তর করা হবে বলে জানান তিনি।
এ ঘটনায় পুলিশের পাশাপাশি ফ্রন্টিয়ার কোর (এফসি) ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে এবং তদন্ত শুরু করেছে।
প্রাথমিক তদন্তে এটি আত্মঘাতী বিস্ফোরণ বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহসিন নকভি বিস্ফোরণের ঘটনাকে ‘নৃশংসতা’ আখ্যা দিয়ে নিন্দা জানিয়েছেন। এক বিবৃতিতে তিনি চার শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
তিনি বলেন, ‘নিরীহ শিশুদের যারা টার্গেট করে, তাদের প্রতি কোনো সহানুভূতির সুযোগ নেই।