গাজায় চরম জ্বালানি সংকটের ফলে স্বাস্থ্যসেবা, খাদ্য ও পানীয় জলের মতো মৌলিক পরিষেবাগুলো মুখ থুবড়ে পড়েছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত এই ভূখণ্ডে দ্রুত জ্বালানি সরবরাহ করা না হলে সেখানকার হাসপাতালের জেনারেটর, অ্যাম্বুলেন্স, বেকারি এবং পানি সরবরাহ পাম্প পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে। এতে চরম মানবিক বিপর্যয় ঘটবে।
জাতিসংঘ এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে সতর্ক করে বলা হয়েছে, যদি অবিলম্বে পর্যাপ্ত পরিমাণে জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত না করা হয়, তবে গাজাবাসীকে মারাত্মক মানবিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হতে হবে। এই অবস্থাকে ‘সামষ্টিক শাস্তি’ হিসেবে আখ্যায়িত করছেন অনেকেই।
জাতিসংঘের সহায়তায়, বিশেষ করে UNRWA-এর মাধ্যমে, জ্বালানি প্রবেশের জন্য মানবিক করিডোর খুলে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। মানবিক সহায়তা কর্মীরা বলছেন, জ্বালানি ছাড়া হাসপাতালগুলোতে জরুরি সেবা বন্ধ হয়ে যাবে, রোগী মারা যাবে, পানি সংকটে মানুষ তৃষ্ণায় কষ্ট পাবে, এবং খাদ্য উৎপাদন ও বিতরণ একেবারে স্তব্ধ হয়ে পড়বে।
‘জ্বালানি গাজার জীবনরক্ষাকারী শিরা। এটি বন্ধ মানেই জীবন বন্ধ।’ - বলেছেন স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীরা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে #Fuel For Gaza হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে বিশ্বজুড়ে মানুষ গাজার জন্য জ্বালানি সরবরাহের দাবি জানাচ্ছে।