নীলফামারীতে দুই মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড ও দুজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। বৃহস্পতিবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এই দুই মামলার রায় দেন।
দণ্ডিতরা হলেন, নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার নাউতারা ইউনিয়নের সাতজান এলাকার ইয়াসিন আলীর ছেলে মকবুল হোসেন ও মতিয়ার রহমানের ছেলে হালিমুর রহমান এবং সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ি ইউনিয়নের সোনাখুলি গ্রামের বড়বাড়ি এলাকার জসর উদ্দিনের ছেলে আজগর আলী।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, মকবুল হোসেনের মৃত্যুদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা এবং যাবজ্জীবন প্রাপ্ত হালিমুর রহমান ও আজগর আলীর ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয়মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর স্পেশাল পিপি আল মাসুদ আলাল জানান, ২০১৩ সালের ২৯ আগস্ট রাতে আব্দুল গনির শিশুকন্যা নিখোঁজ হয়। পরদিন সকালে বুড়ি তিস্তা নদীর বালুচরে তার মরদেহ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে শিশুটির বাবা আব্দুল গণী বাদী হয়ে স্থানীয় থানায় ধর্ষণ ও হত্যা মামলা করলে চার আসামির মধ্যে মকবুল হোসেনের মৃত্যুদণ্ড ও হালিমুর রহমান যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ছোবদুল ও মোমিনুর রহমানকে খালাস দেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিজ্ঞ বিচারক মাহাবুবুর রহমান।
এদিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর স্পেশাল পিপি রমেন্দ্র বর্ধণ বাপ্পী জানান, ধর্ষণের অভিযোগে ২০০৫ সালের ১৩ অক্টোবর শ্বশুর আজগর আলীর বিরুদ্ধে মামলা করেন ছেলে মোকছেদুল ইসলামের স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা।
মামলায় সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে শ্বশুরের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিজ্ঞ বিচারক আহসান তারেক। দণ্ডিত ব্যক্তি জামিনের পর থেকে পলাতক রয়েছেন বলে জানান তিনি।
যাযাদি/এস
Copyright JaiJaiDin ©2021
Design and developed by Orangebd