মাদক মামলায় গাজীপুরে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের এক কারারক্ষী ও এক কয়েদীর কারান্ডের রায় প্রদান করেছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে গাজীপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত-৩ এর বিচারক মোসাম্মাৎ রেহেনা আক্তার এ রায় প্রদান করেন। আদালত তাদের অর্থদন্ডও প্রদান করেনে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি ফরিদা ইয়াসমিন জানান, কাশিমপুর কারাগারের কারারক্ষী আসামী আজিজার রহমানকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদন্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ২ বছরের বিনাশ্রম করাদন্ড এবং একই মামলায় অপর ধারায় তাকে ৬মাসের সশ্রম কারাদন্ড এবং ৫শ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১০দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়। তিনি বগুড়ার শিবগঞ্জ থানার পোড়ানগরী ছয়ঘরিয়া এলাকার নবাব আলীর ছেলে। রায় ঘোষণার সময় আসামী আজিজার রহমান আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার অপর আসামি কয়েদি শহিদুল ইসলামকে এক বছরের সশ্রম কারাদন্ড এবং দুই হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়। তিনি ঢাকার আশুলিয়া থানার গণকপাড়া এলাকার সুরত আলীর ছেলে। তিনি কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর কয়েদি।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি ফরিদা ইয়াসমিন জানান, ২০১৭ সালে ২১ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ তে কয়েদী শহিদুল ইসলামকে সন্দেহ হলে তার কোমড় থেকে ১শ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে কারারক্ষীরা। পরে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান কারারক্ষী আজিজার রহমানের কাছ থেকে তিনি ওই ইয়াবা নিয়েছেন। পরবর্তীতে কারাগারের ভেতরেই কারারক্ষী আজিজার রহমানকে আটক করে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে কারা কমপ্লেক্সে আজিজার রহমানের সরকারি বাসায় তল্লাশি চালিয়ে ওই ঘর থেকে আরো ৬শ পিচ ইয়াবা এবং ১শ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় কাশিমপুর কারাগারের তৎকালীন কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর জেলার দেওয়ান মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম বাদী হয়ে জয়দেবপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা করেন।
কাশিমপুর কারাগার-২এর সিনিয়র জেল সুপার মো. আমিরুল ইসলাম জানান, মাদক উদ্ধার ও মামলা দায়েরর পর কারারক্ষীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং বরখাস্ত করা হন। এছাড়া কারারক্ষী ও কয়েদী উভয়েই ওই মাদক মামলায় গ্রেপ্তার ও কারাবরণ করতে হয়।
যাযাদি/ এস