বর্তমান প্রযুক্তি নির্ভর সমাজে দেখা দিয়েছে নানান ধরণের অসঙ্গতি। স্বামী-স্ত্রী দুজন একসঙ্গে বসে আছেন কিন্তু দুইজনের ব্যস্ত হাতের মোবাইল ফোন নিয়ে। এই অবস্থা অন্যদের। তাই জেনে নিন শারীরিক-মানসিক-আত্মিক ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে আপনার করণীয় কি?
ছুটির দিনে প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটানো মধুর হোক। যদিও আমরা আমাদের অবস্থান নিয়ে অনেক সময় সুখি হতে পারি না। একটি প্রশ্ন আমাদেরকে অনেক বেশি তাড়িয়ে বেড়ায়। প্রশ্নটি হচ্ছে, আমি কী আমার স্বপ্নের মানুষকে পেয়েছি?
এই প্রশ্নটি নিজেকে করলে হয়রান হতে পারেন। বিশেষজ্ঞরা বলেন, আধুনিক মানুষ এ ভাবনা নিয়ে হয়রান হয়। তারা সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগে। প্রায়ই ভাবে, কীভাবে জানবো আমি যাকে খুঁজছি তাকে পেয়েছি কিনা ।
সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা বলেন, সত্যি কথা হচ্ছে যে, আসলে এটা জানা অসম্ভব। আমাদের মনে রাখতে হবে স্বপ্নের সেই 'এক এবং অদ্বিতীয়' বলে কেউ নেই। আছে একজনই - যাকে আপনি বেছে নিয়েছেন সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য। তার সাথে কেমন সম্পর্ক আপনি গড়ে তুলতে পারলেন – এটাই মূল কথা হওয়া উচিত।
বরং নিজেকে দুইটি প্রশ্ন করুন আপনি সঙ্গী হিসেবে যাকে পেয়েছেন, তার সঙ্গে কী মানিয়ে চলতে পারছেন? আপনি কী সম্পর্কটি রক্ষা এবং বিকাশের জন্য কাজ করছেন?
এসব প্রশ্নের উত্তর না হলে, আপনার উচিত সম্পর্ক উন্নয়নে করণীয় ঠিক করা। আপনি যদি আপনার দুর্বলতা, ভয়, দুশ্চিন্তাগুলো সঙ্গীকে জানতে দেন, তার সহায়তা চান, - তাহলে সেও তাই করবে।
গবেষকরা জানিয়েছেন, হাজার হাজার লোকের সাক্ষাতকার নিয়ে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে - পরস্পরের দুর্বলতাগুলো বিনিময় না করলে কখনো শারীরিক-মানসিক-আত্মিক ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয় না।
সুতরাং সঙ্গীর কাছে নিজের দুর্বলতাগুলো শেয়ার করুন। এতে সম্পর্ক দৃঢ় হবে। দুশ্চিন্তামুক্ত থাকতে পারবেন। তথ্যসূত্র: বিবিসি
যাযাদি/ এস