বিটরুট সবজি বাজারেই পাওয়া যায়। এই সবজির অনেক গুণ। বিটরুটে রয়েছে আয়রন, ক্য়ালসিয়াম,ম্য়াগনেশিয়াম, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৬ ইত্য়াদি। এই সবজি শরীরকে সুস্থ ও সুন্দর রাখে।
বিটরুট নামের সবজিটি দৈনন্দিন স্বাস্থ্য়ের ক্ষেত্রে বিট একটি রত্ন। সালাড, বিটের জুস কিংবা রান্না করা হোক, বিটের মধ্য়ে লুকিয়ে আছে অসাধারণ গুণ। বিটরুট ভিটামিন ও খনিজ উপাদানে ভরপুর একটি সবজি । রয়েছে আয়রন, ক্য়ালসিয়াম,ম্য়াগনেশিয়াম, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৬ ইত্য়াদি।
তবে জেনে নিন এর উপকারিতা?
হাই ব্লাড প্রেশার কমায়। রক্তচাপের সমস্য়া থাকলে তা কমাতে দারুণ ভাবে সাহায্য় করে বিটের রস। আর রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকলে আপনার হৃদযন্ত্রও স্বাভাবিক রাখে। ফলে প্রতিদিন বিটের জুস বা খাবারে নিয়মিত এর ব্য়বহার আপনার রক্তচাপের সমস্য়া কিছুটা হলেও কমাতে পারে।
বাড়ায় এনার্জি এবং স্ট্য়ামিনা: বিটরুট শরীরে অক্সিজেনের প্রবাহ উন্নত করে। এটি এনার্জি এবং স্ট্য়ামিনা যোগান দেয় শরীরে।
লিভারেরও উপকারি: বিটরুট লিভারের হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এই সবজি বদহজমের সমস্য়া কমায়। শরীরের সমস্ত বিষাক্ত পদার্থ বের করে এবং বিপাকীয় কার্যকরিতা সুষ্ঠভাবে চালাতে সাহায্য় করে বিট।
ওজন কমাতেও সাহায্য় করে: যাঁরা বেশি ডায়েটে আছেন, তাঁদের জন্য় বিটের রস খুবই উপকার। এই বিট ওজন কমাতে সাহায্য় করে, ফলে প্রতিদিন ডায়েট চার্টে বিটের রস রাখুন। বিটের রসে রয়েছে স্বল্প পরিমাণে ক্য়ালোরি তবে ভরপুর নিউট্রিয়েন্টস।
ত্বকের উজ্জলতা বাড়ায়: বিটের রস শরীরে অক্সিজেনের প্রবাহ উন্নত করে এবং বডি ডিটক্সিফিকেশনেও সাহায্য় করে। ফলে শরীর যত পরিশ্রুত থাকবে এবং শরীরে শুদ্ধ অক্সিজেনের পরিমাণ বেশি থাকবে ত্বকের স্বাস্থ্য় তত উন্নত হবে।
বিটরুট শুধু শরীরকে সুস্থ রাখতে নয়, এই বিট দিয়ে সুস্বাদু কিছু রান্নাও করতে পারবেন। জেনে নিন কিছু সুস্বাদু রেসেপি-
বিটরুট থোরান: এটি একটি সাউথ ইন্ডিয়ান রেসেপি, যা নারকেল, সরিষা এবং কারিপাতা দিয়ে রান্না করা হয়।
বিটরুট পরোটা: বিটরুট পরোটা আপনার একঘেঁয়ে রুটিতে রঙ ও পুষ্টি যোগায়। বিটরুটের পিউরির সঙ্গে ময়দা, কিছু মশলা মিশিয়ে তাওয়ায় ভেজে তৈরি করুন সুস্বাদু বিটরুট পরোটা।
বিটরুট হালুয়া: বিটরুট দিয়ে ডেসার্টের ক্রেভিংসও মেটাতে পারবেন। নিন পরিমাণ মতো দুধ, সামান্য় এলাচ এবং ঘি। সব মিশিয়ে ধীরে ধীরে রান্না করলেই তৈরি হয়ে যাবে বিটরুট হালুয়া।
বিটরুট রায়তা: এটি একটি সাইড ডিশ যা আপনি যেকোনও খাবারের সঙ্গে খেতে পারেন। একটু বিট গ্রেট করুন সঙ্গে দই, ভাজা জিড়ে, নুন এবং লঙ্কা মেশালেই তৈরি বিটরুট রায়তা।
বিটরুট টিক্কি: বিটরুট টিক্কি চায়ের সঙ্গে খাওয়ার জন্য় অসাধারণ একটি প্রাতঃরাশ। কাঁচা বা সেদ্ধ বিটের সঙ্গে মিশিয়ে নিন সেদ্ধ আলু, ধনেপাতা, কিছু গরম মশলা এবং একটু ব্য়াসন বা ব্রেড ক্রাম্বস। মেখে ছোটো ছোটো বল করে, ভাজলেই রেডি টেস্টি বিটরুট টিক্কি।