বাংলাদেশি নাগরিকদের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা ছিল দীর্ঘ পাঁচ মাস পর তা সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করেছে ইতালির সরকার। একইসঙ্গে অন্য দেশের নাগরিকদের ওপর নিষেধাজ্ঞাও প্রত্যাহার করেছে দেশটির সরকার।
ইতালি কর্তৃপক্ষ শুক্রবার থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছে। বড়দিন সামনে রেখে চলমান লকডাউন কিছুটা শিথিল করতে নতুন অধ্যাদেশ অনুমোদনও দেওয়া হযেছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার একদিনে দেশটিতে রেকর্ড সংখ্যক সর্বোচ্চ ৯৯৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে করোনার প্রথম ধাপে গত ২৭ মার্চ একদিনে ৯৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল। বৃহস্পতিবারের আগে এটাই ছিল ইতালিতে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড।
করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় গত ৭ জুলাই থেকে ইতালি ১৩টি দেশের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেয়। পরবর্তীতে এর সাথে আরও তিনটি দেশ অন্তর্ভুক্ত করে ১৬টি দেশের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখে।
নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশ থেকে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা শর্ত সাপেক্ষে শিথিল করে ইতালি। এতে বাংলাদেশে আটকে পড়া কয়েক হাজার প্রবাসীর অধিকাংশই ইতালি ফেরার সুযোগ পান। শুধুমাত্র পারিবারিক ভিসাপ্রাপ্তরা নিষেধাজ্ঞার আওতায় ইতালি ফিরতে পারছিলেন না। তবে শুক্রবার থেকে প্রবাসীদের দেশটিতে ফিরতে আর কোনও বাধা নেই।
বৃহস্পতিবার ইতালির প্রধানমন্ত্রী জুসেপ্পে কন্তে ঘোষিত নতুন অধ্যাদেশে যা রয়েছে, তা হলো- আগামী ২১ ডিসেম্বর থেকে ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত ইতালির এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চল বা প্রভিন্সে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে৷ তবে নিজের বাড়ি, রেসিডেন্ট এবং আবাসস্থলে ফিরতে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা থাকবে না৷ ২১ ডিসেম্বর থেকে ৬ জানুয়ারির মধ্যে ঘুরতে আসা ট্যুরিস্টদের ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
আগামী ২৫ ও ২৬ ডিসেম্বর এবং ১ জানুয়ারি এই তিন দিন কেউ নিজ এলাকা বা কমিউনিটির বাইরে যেতে পারবেন না৷ কারফিউ আগের মতোই রাত ১০টা থেকে সকাল ৫টা পর্যন্ত কার্যকর থাকবে৷ তবে বড়দিন ও ইংরেজি নববর্ষে সকাল ৭টা পর্যন্ত কারফিউ থাকবে। সুপার মার্কেট এবং খাবার মুদি দোকান রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ২১ ডিসেম্বর থেকে ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বন্ধ থাকবে, খুলবে ৭ জানুয়ারি থেকে।
যাযাদি/এমডি/৭:৫০পিএম
Copyright JaiJaiDin ©2021
Design and developed by Orangebd