শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

একসঙ্গে ৬ সন্তানের মৃত্যু

যাযাদি ডেস্ক
  ১১ এপ্রিল ২০২৪, ২১:৩৬
প্রসূতি সুমনা আক্তার | ছবি: সংগৃহীত

ঈদের দিন, চারদিকে উৎসবের আমেজ। সেই আমেজের হাওয়া লাগে হাসপাতালেও। বিয়ের সাত বছর পর অন্তঃসত্ত্বা হলেন সুমনা। সেই সন্তানের জন্মের দিন ছিল আজ। তাই পরিবারে ছিলো অন্যরকম এক আনন্দ। কিন্ত সেই আনন্দ বিষাদে রূপ নিলো ক্ষণিকের মধ্যে।

জানা যায়, একসাথে ছয় সন্তানের জন্ম দিলেন সুমনা (২২) নামে এক গৃহবধূ। তিনি টাঙ্গাইল জেলার সখিপুর উপজেলার কালমেঘা সলঙ্গা গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে সিঙ্গাপুর প্রবাসী ফরহাদ মিয়ার স্ত্রী। টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে কুমুদিনী হাসপাতালে পর পর ৬ সন্তান প্রসব করেন তিনি। ছয় সন্তানের মধ্যে চারজন মেয়ে ও দুজন ছেলে। জন্মের ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই তারা মারা যায়।

আজ বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) ঈদের দিন দুপুর ১২টার দিকে কুমুদিনী হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে—এই ৬ সন্তানের জন্ম হয়। একসঙ্গে ৬ সন্তান জন্মদানের বিরল ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। প্রসূতি সুমনা আক্তার সখীপুর উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়নের কালমেঘা কড়ইতলা সলঙ্গা গ্রামের ফরহাদ মিয়ার স্ত্রী।

কুমুদিনী হাসপাতালের এজিএম (অপারেশন) অনিমেশ ভৌমিক লিটনের দাবি, নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে ৬ সন্তান হয়েছিল। অপরিপক্ক থাকায় মাতৃগর্ভেই তাদের মৃত্যু হয়। তবে প্রসূতি মা এখন পুরোপুরি সুস্থ।

মির্জাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফরিদুল ইসলাম বলেন, জেনেটিক্যাল সমস্যাজনিত কারণে এ ধরণের ঘটনা ঘটে। এসব ক্ষেত্রে সন্তানরা অপরিপক্ক থাকায় মাতৃগর্ভে কিংবা জন্মগ্রহণের পরপরই মারা যায়। এই নারীর ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি মনে করেন।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে