মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

বদলা নিতে যুবককে ৪৫ কোপ দিয়ে পুকুরে ফেলে দেয়া হয়

যাযাদি ডেস্ক
  ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ২২:৫৭
গ্রেপ্তারকৃত ৫ ঘাতক

২ বন্ধুর মধ্যে ২০২৩ সাথে একটি ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনার জেরে এবার ঘটানো হয় নির্মম হত্যাকাণ্ড। পাভেল-হাবিব দুই বন্ধু। তাদের মধ্যে সামান্য একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারামরি হয়। সেই দ্বন্দ্বের প্রতিশোধ নিতে হাবিব ও তার সঙ্গীরা মিলে পাভেলকে ৪৫টি কোপ দিয়ে পুকুরে ফেলে দেয়।

জানা যায়, রাজধানীর পল্লবীতে পাভেল নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, পাভেলের সাথে বাড্ডার হাবিবের পূর্ব শত্রুতা ছিল। সেই শত্রুতায় পাভেল হাবিবের হাতে কোপ দিয়েছিল। সেই কোপানোর বদলা নিতে পাভেলকে পল্লবীতে ডাকা হয়। এরপর দলবল মিলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ৪৫টি কোপে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে পুকুরে ফেলে দেয় হত্যাকারীরা। এরপর তারা পালিয়ে যায়।

গ্রেফতাররা হলেন, পরিকল্পনাকারী হাবিব (২৮), হানিফ (২৬), আনিছন (২২)। এই হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা হাবিব। পাভেল হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী হাবিব বাড্ডা সুবাস্তু টাওয়ারে চাকরি করেন।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) পল্লবী থানা পুলিশের একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

পল্লবী থানা পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম জানান, বাড্ডায় পাভেল ও হাবিবের দ্বন্দ্ব ছিল। তার জেরে গেল বছরে তাদের মধ্যে মারামারি হয়। পাভেল হাবিবের হাতে কোপ দিয়ে তাকে কুপিয়ে আহত করে। এই ঘটনায় ২০২৩ সালে ২৮ ডিসেম্বর বাড্ডা থানায় মামলা হয়। পাভেল গ্রেফতার হন, কিন্তু আবার জামিনে বেরিয়ে আসেন। হাবিবকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ খুঁজতে থাকেন তিনি। তাকেও কোপানোর পরিকল্পনা করেন হাবিব। বাড্ডায় থাকা এলাকার বন্ধু তানজীবের সহায়তায় পল্লবী স্বপ্ন নগর আবাসিক এলাকার পেছনে ডেকে নিয়ে যান হাবিব।

তিনি জানান, সেখানে তারা মাদক সেবন করেন। এরপর হাবিবসহ অন্যরা উপস্থিত হওয়ার পর চাকু আর ছুরি দিয়ে ৪৫টি স্টেপ দেওয়া হয় পাভেলকে। পরে গুরুতর আহত করে পাভেলকে গণপূর্তের পুকুরের পানিতে ফেলে দেন তারা। পরে সেখানে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে পাভেলের মৃত্যু হয়।

পুলিশ বলছে, পাভেলও মাদক সেবন ও কারবারে জড়িত ছিলেন। যারা গ্রেফতার হয়েছেন তাদের সবার নামে একাধিক মামলা হয়েছে।

এর আগে সোমবার এ ঘটনায় নিহতের মা পারুল বাদী হয়ে পল্লবী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

মামলায় হাবিব (২৮), হানিফ (২৬), আনিছ (২২), রায়হান নানু (২২), মিলন (৩৭), ও জনি (২৬) ছাড়া আরও ৫/৬ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।

পাভেলের বাড়ি নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা উপজেলায়। বাবার নাম শায়েস্তা খান। পাভেল থাকতেন বাড্ডার পাঁচতলাবাজার এলাকায়। পাভেল বাসচালকের সহকারী হিসেবে কাজ করতেন, মায়ের ভাষ্যমতে, ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালাতো পাভেল।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে