তীব্র গরমে রাজধানীসহ সারাদেশের মানুষের নাজেহাল অবস্থা। এই গরমে মানুষ ঘর থেকে বের হতে সাহস পাচ্ছেন না। খুব জুরুরি প্রয়োজন ছাড়া অনেকে বাসা থেকে বের হচ্ছেন না। বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি গরম পড়ছে চুয়াডাঙ্গা জেলায়।

এদিকে রাজধানীতে ঢাকা সিটি উত্তর কৃত্রিম বৃষ্টির ব্যবস্থা করেছে। যেন মানুষ গরম থেকে স্বস্তি পায়। রাজধানীর উষ্ণ আবহাওয়া নিয়ন্ত্রণে নিয়োগপ্রাপ্ত চিফ হিট অফিসারের বিষয়ে ডিএনসিসি মেয়র মো.আতিকুল ইসলাম বলেছেন, বুশরা আফরিন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের কেউ না। একই সঙ্গে ডিএনসিসির অফিসে তার জন্য নির্ধারিত বসার কোনো স্থানও নেই। শনিবার রাজধানীর আগারগাঁও বাংলাদেশ বেতারের সামনের সড়কে ‘বায়ু দূষণ রোধ ও তীব্র তাপদাহে শহরকে ঠান্ডা রাখতে ডিএনসিসির ওয়াটার স্প্রে (পানি ছিটানো) কার্যক্রম’ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি কথা জানান।

এ সময় দেখা যায় বিশেষ ব্যবস্থায় পানি ছিটানো হচ্ছে আর অনেকে সেই পানিতে নাচানাচি করছেন।

আতিকুল ইসলাম বলেন, আমি দেখছি কয়েকদিন ধরে আমাদের চিফ হিট অফিসারকে নিয়ে অনেকে বলছেন সিটি করপোরেশন থেকে বেতন পাচ্ছেন। মেয়র বলেন, চিফ হিট অফিসার কিন্তু একজন। তিনি আমাদের সাজেশন দেবেন। কাজ কিন্তু আমাদের সবাইকে করতে হবে। হিট অফিসার কিন্তু কোনো কাজ করবেন না। বলে রাখা ভালো, হিট অফিসার নিয়োগ পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি কোম্পানি অ্যাড্রিয়েন আরশট-রকফেলার ফাউন্ডেশন রেসিলিয়েন্স সেন্টারের (আরশট-রক) মাধ্যমে। সারা বিশ্বে ৭ জন চিফ হিট অফিসার তারা নিয়োগ করেছে। চিফ হিট অফিসার আমাদের পরামর্শ দেবেন। তিনি কিন্তু কোনোদিন কাজ করবেন না।

উন্নয়ন পরিকল্পনা হতে হবে পরিবেশবান্ধব, ব্যয় সাশ্রয়ী: প্রধানমন্ত্রী

মেয়র বলেন, আমি আগেও বলেছি, সিটি করপোরেশনে তার (হিট অফিসার) কোনো বসার ব্যবস্থাও নেই। তার কোনো চেয়ারও কিন্তু নেই। এটা সম্পূর্ণ ইন্টারন্যাশনাল মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি যারা আছে তারা শুধু বাংলাদেশে না, তারা বিশ্বের ৭টি দেশে নারী হিট অফিসার নিয়োগ করেছে। আমি তাদের জিজ্ঞেস করেছিলাম, মহিলা কেন নিয়োগ করা হচ্ছে? তারা বলেছে, গরমে নারীদের অনুভবটা বেশি হয়। এ জন্যই তারা নারী হিট অফিসার নিয়োগ করেছে।

এর আগে, ডিএনসিসির দুটি স্প্রে ক্যানন এবং ১০টি ব্রাউজারের মাধ্যমে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত পানি ছিটানো হয়। প্রতিটি গাড়িতে ১৫ হাজার লিটার পানি ধরে এবং একটানা ৫ ঘণ্টা স্প্রে করা পরিদর্শন করেন মেয়র আতিকুল ইসলাম। এছাড়াও পথচারীদের পানি পান করার জন্য সড়কে নামানো হয়েছে ২৫০টি ভ্যানগাড়ি।

যাযাদি/ এস