শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাত, ৬ জনের মৃত্যু

বিশেষ প্রতিনিধি
  ২৭ মে ২০২৪, ০৯:৩৬
আপডেট  : ২৭ মে ২০২৪, ১১:০৬
ছবি-যায়যায়দিন

প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল মধ্যরাতে দক্ষিণ উপকূলে আঘাত হেনেছে। প্রায় ১৩০ কিলোমিটার গতিতে উপকূলে আছড়ে পড়ে রেমাল। দীর্ঘসময় তাণ্ডব চালায় দক্ষিণ উপকূলে। এতে উপকূলের অনেক এলাকা তছনছ হয়ে গেছে। ১২ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়েছে উপকূলের ১৬ জেলা।

জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়েছে সুন্দরবন। এতে উপকূলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে দেশের বিভিন্ন জেলায় হালকা থেকে ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সঙ্গে চলছে তীব্র ঝড়ো বা দমকা হাওয়া। উপকূলের বিভিন্ন এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে জলোচ্ছ্বাস। ফলে বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে ঢুকেছে জোয়ারের পানি। এছাড়া ঝড়ের দাপটে ভেঙে পড়ছে কাঁচা ঘরবাড়ি ও গাছপালা। এরইমধ্যে পটুয়াখালী, ভোলা, সাতক্ষীরা, চট্টগ্রাম বরিশালে অন্তত ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (২৬ মে) থেকে সোমবার (২৭ মে) সকাল পর্যন্ত এসব মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে ভয়ংকর উত্তাল হয়ে ওঠে সাগর। তীব্র জোয়ারের ধাক্কায় বিভিন্ন জায়গায় উপকূল রক্ষা বাঁধ ভেঙে পড়ে। হুহু করে লোকালয়ে প্রবেশ করে সাগরের পানি। প্লাবিত হয় বিস্তীর্ণ এলাকা। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন ও ইকোট্যুরিজম কেন্দ্রসহ বনের অভ্যন্তরে তিন থেকে চার ফুট পানি বৃদ্ধি পায়। স্বাভাবিক জোয়ারের তুলনায় কয়েক ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়েছে সুন্দরবন। বান্দারবনে ভূমি ভেসে যায় কমপক্ষে পাঁচ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসে। ডুবে যায় হিরণ পয়েন্টের বিশ্ব ঐতিহ্যের স্মৃতিফলক। বনের ১৬টি স্টেশন প্লাবিত হয়েছে বলে বনবিভাগ জানিয়েছে। সাতক্ষীরা উপকূলে প্রবল ঢেউ আছড়ে পড়ে বেড়িবাঁধের ওপর। বাঁধের কিছু অংশ ধসে পানি ঢুকছে আশপাশের গ্রামগুলোয়।

রোববার সন্ধ্যায় ঘূর্ণিঝড় রেমালের অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮ থেকে ১২ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়। এ সময় পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেতে নামিয়ে তার পরিবর্তে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়।

এর আগে সন্ধ্যায় ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র প্রথম আঘাত করে পটুয়াখালীর খেপুপাড়া ও পশ্চিমবঙ্গের সাগর আইল্যান্ডে। মধ্যরাতে উপকূল পার হয় ঝড়ের পেছনের অংশ। ঘূর্ণিঝড়ে কেন্দ্রেই থাকে প্রচণ্ড শক্তি। তখন এর গতিবেগ ছিল ১২০ কিলোমিটার।

সন্ধ্যার আগেই ঘূর্ণিঝড় রেমালের কেন্দ্রে ‘চোখ’ ফোটে। এটি প্রবল শক্তি নিয়ে উপকূলে আঘাত হানে। তারপর ব্যাপক তাণ্ডব চালায়। রেমালের মেঘগুলো ঘুরে ঘুরে মাঝখানে একটা চোখের মতো অবয়ব তৈরি করে। এটি মূলত একটি শক্তিশালী সাইক্লোনের লক্ষণ।

আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান খান জানান, সাধারণত যেসব ঘূর্ণিঝড়ে এমন চোখের দেখা পাওয়া যায় সেগুলো শক্তিশালী হয়। ঘূর্ণিঝড় রেমালও প্রচণ্ড শক্তি নিয়ে দেশের দক্ষিণ উপকূলে আঘাত করেছে।

ঘূর্ণিঝড় রেমাল পটুয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ রাঙ্গাবালী উপজেলার প্রায় ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীর দক্ষিণ চরমোন্তাজ গ্রামের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ ভেঙে পানি ঢুকেছে লোকালয়ে৷ রাঙ্গাবালীর চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নের চারটি গ্রামে জোয়ারের পানি ঢুকে প্লাবিত হয়েছে। প্রবল জলোচ্ছ্বাসের তোড়ে কলাপাড়ায় চাকামইয়া ইউনিয়নের বটতলা এলাকার বেড়িবাঁধ পানির তোড়ে ভেঙে গেছে। পানি ঢুকছে পাঁচ গ্রামে। জোয়ারের তোড়ে ধসে পড়েছে চর বালিয়াতলী বেড়িবাঁধ। ঝালকাঠিতে ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে নদীর পানি বেড়ে আবাসিক এলাকায় প্রবেশ করে। এ অবস্থায় নদী তীরবর্তী মানুষগুলো মূল্যবান জিনিসপত্র ও গবাদিপশু নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেন।

শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ, রামপাল, মোংলা, বাগেরহাট সদর ও কচুয়া উপজেলার শতাধিক গ্রামের নিম্নাঞ্চলে পাঁচ থেকে ছয় ফুট পানিতে কয়েক হাজার ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে। মোরেলগঞ্জের পানগুছি ও মোংলা নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে পন্টুন ডুবে যাওয়ায় সড়ক বিভাগ দুটি নদীতে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয়। সকাল থেকেই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে শরণখোলা ও মোরেলগঞ্জ উপজেলা। শরণখোলার বলেশ্বর নদের তীব্র ঢেউয়ের আঘাতে সাউথখালী ইউনিয়নের বগী, গাবতলা, বাবলাতলা, দক্ষিণ সাউথখালী এলাকার বেড়িবাঁধের প্রায় এক কিলোমিটারের সিসি ব্লক ধসে গেছে। এর ফলে মূল বাঁধ ঝুঁকির মুখে পড়েছে। ওই এলাকার বাঁধের বাইরের অনেক বসতঘর ঝড়ো হাওয়ায় বিধ্বস্ত হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’র প্রভাবে নোয়াখালীর উপকূলীয় এলাকায় বেড়ি বাঁধের বাইরের নিঝুমদ্বীপ, ঘাসিয়ার চর, ঢাল চরসহ বেশ কয়েকটি বিচ্ছিন্ন চরে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যায়। এতে দ্বীপের ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। সেই সঙ্গে ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যায় নিঝুমদ্বীপের কয়েক হাজার চিত্রা হরিণ। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার সঙ্গে সারাদেশের নৌ যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। সাতক্ষীরার শ্যামনগরের ১৩টি বসতবাড়ি পানিতে ভেসে গেছে। উপজেলার কলবাড়ি জেলেপাড়া তলিয়ে যায় বলে গণমাধ্যমকে জানান স্থানীয় বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান হাজী নজরুল ইসলাম।

ঘূর্ণিঝড় রেমালের ঝুঁকির কথা মাথায় রেখে চার হাজার আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয় এবং সন্ধ্যার আগেই ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার ৮ লাখের বেশি মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়া হয়। ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতি এড়াতে পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত অব্যাহত থাকে। উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় রাখা হয়। কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত বহাল থাকে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকে।

খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার নদী বন্দরকে ৪ (চার) নম্বর নৌ মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়। ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’ এর প্রভাবে নৌপথ উত্তাল হওয়ায় যাত্রীসাধারণের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে ঢাকা নদীবন্দর থেকে অভ্যন্তরীণ নৌপথের সব লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব মোকাবিলায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়। স্বশস্ত্র বাহিনীসহ অন্য বাহিনীগুলোও প্রস্তুত রাখা হয়। কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, যশোর ও কলকতায় ফ্লাইট বাতিল করা হয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা বাতিল ঘোষণা করা হয়। ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে রোববার সন্ধ্যা থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু টানেল বন্ধ রাখা হয়। বন্ধ করা হয় অভ্যন্তরীণ নৌযান চলাচল। ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে পুরো সুন্দরবন বিভাগের কর্মকর্তা ও বনরক্ষকীদের ছুটি বাতিল করা হয়। বন বিভাগের ঝুঁকিপূর্ণ ক্যাম্পগুলোতে থাকা বনরক্ষীদের নিরাপদ সরিয়ে নেওয়া হয়।

ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় সব আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের প্রস্তুত রাখা হয় বলে জানান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি জানান, আমাদের প্রতিটি নিরাপত্তা বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে। কোস্টগার্ড গত তিনদিন ধরে উপকূলের ৫৭টি স্থানে মাইকিং করছে। একই সঙ্গে সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ বোটের সঙ্গে কিছু রিলিফও তারা জোগাড় করে রেখেছে। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তীতে এই রিলিফ তাদের প্রয়োজন হতে পারে। বিজিবি ও র‌্যাব আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রস্তুত রয়েছে। সুন্দরবন এলাকায় বিজিবির ছোট ছোট বিওপি সুরক্ষার জন্যও ব্যবস্থা নিয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের পরে যদি সেখানে কিছু ধ্বংস হয় সেটা এবং রিলিফ কার্যক্রমের জন্য র‌্যাব সেখানে প্রস্তুত রয়েছে। যারা আশ্রয়কেন্দ্রে চলে এসেছেন তাদের নিরাপত্তার জন্য এখনই পুলিশ এবং র‌্যাব সেসব জায়গায় অবস্থান নিয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় সার্বিকভাবে প্রস্তুত রাখা হয় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। ঘূর্ণিঝড়-পরবর্তী সব কাজ সমন্বয় করার জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে সদর দপ্তর ঢাকায় খোলা হয়েছে মনিটরিং সেল।

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হয়। অতি ভারী বর্ষণে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এদিকে উপকূলের বহু এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। মানুষের জীবন রক্ষায় উপকূলের বেশিরভাগ এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়। সম্ভাব্য ঝড়ে আক্রান্ত জেলাগুলোর বিদ্যুৎকর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়। ঘূর্ণিঝড় চলে যাওয়ার পর দ্রুত যাতে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা যায়, সে লক্ষ্যে সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় রেমালের পূর্ব ও পরবর্তী সময় স্থানীয় জনসাধারণের জানমালের নিরাপত্তার যে ঝুঁকি তৈরি হবে, তা মোকাবিলায় উপকূলীয় ১২ জেলায় ১০ হাজার আনসার-ভিডিপি সদস্যকে চার দিনের জন্য মোতায়েন করেছে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট উপকূলীয় রেঞ্জ কমান্ডার, জেলা কমান্ড্যান্ট ও আনসার ব্যাটালিয়ন অধিনায়কদের যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার আদেশ দেওয়া হয়েছে। বাহিনীর সদর দপ্তর থেকে এক বার্তার মাধ্যমে এসব কার্যক্রম গ্রহণের নির্দেশাবলী জারি করা হয়। ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিলপূর্বক স্টেশনে অবধারিতভাবে উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবকদের ও তৃণমূল পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট কর্মীদের সরকারি-বেসরকারি সব সংস্থার সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সমন্বিতভাবে কাজ করতে নির্দেশ দিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান। তিনি বলেন, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় দেশের ৪৯টি মন্ত্রণালয় একযোগে কাজ করছে।

এ সময় বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এম ইউ কবীর চৌধুরী বলেন, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলা ও জরুরি সহায়তায় সরকারের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি। উপকূলীয় অঞ্চলের জনমানুষের জানমালের নিরাপত্তায় উপকূলীয় অঞ্চলজুড়ে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) ৮০ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের সঙ্গে কাজ করতে মাঠে আছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির দুই হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবক। দুর্যোগ পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে দাঁড়ানো এলাকাভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবকদের অবদানও রয়েছে। বাংলাদেশ সরকার বিশাল এই স্বেচ্ছাসেবক দল তৈরি করেছে, যারা যে কোনো দুর্যোগে সরকারের ঢাল হিসেবে আবির্ভূত হয়।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে