বিতর্কিত কাউকে দলে স্থান দেয়া যাবে না বলে দলীয় নেতাকর্মীদের সতর্ক করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে রোববার সকালে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় উপস্থিত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপির ৭৩ নেতা বহিষ্কার

কাদের বলেন, ‘সামনের নির্বাচনে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হলে দলের মধ্যে সুদৃঢ় ঐক্য ফিরিয়ে আনতে হবে। কর্মীরা কোণঠাসা হয়ে গেলে আওয়ামীলীগ কোণঠাসা হয়ে যাবে। নিজেদের অবস্থান ভারী করার জন্য পকেট কমিটি করা যাবে না এবং বিতর্কিত কাউকে দলে ঠাঁই দেয়া যাবে না।’

ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ পর্যায়ের এই নেতা বলেন, ‘১২ বছর আগের ঋণগ্রস্ত বাংলাদেশ এখন ঋণ সহায়তার এক অভূতপূর্ব সাফল্যের দেশ। বিশ্ব আজ অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে বদলে যাওয়া বাংলাদেশের দিকে। নানান প্রতিকূলতা পেরিয়ে শেখ হাসিনার বাংলাদেশ আজ এক প্রত্যয়ী এবং সম্ভাবনাময় দীপ্যমান বাংলাদেশ। অর্থনীতির প্রতিটি সূচকে এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশ আজ মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে। প্রবাসী আয় প্রাপ্তিতে বাংলাদেশ একধাপ এগিয়ে এখন সপ্তম স্থানে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রায় ৪৫ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। চলমান মেগা প্রকল্পগুলোর কাজ শেষ হলে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধারা আরও বাড়বে, বাড়বে সমৃদ্ধি।’

বিএনপির সমালোচনা করে কাদের জানান, এদেশে লুটপাট তন্ত্র চালু করেছিল বিএনপি। দলটি বাংলাদেশকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের নামে ‘বহুদলীয় তামাশায়’ পরিণত করতে চেয়েছিল।

‘বিএনপির শাসনামলে দুর্নীতির কারণে তাদের কোনো নেতাকে শাস্তির আওতায় আনা হয়নি, অন্যদিকে শেখ হাসিনা দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে চলে। বিএনপি মানুষের ভাগ্য উন্নয়ন চায় না, তারা নিজেদের ভাগ্য উন্নয়ন করতে চায়।’

জিয়াউর রহমানের প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্যেরও সমালোচনা করেন ওবায়দুল কাদের। বলেন, নিজ কর্মেই জিয়াউর রহমান ইতিহাসের খলনায়কে পরিণত হয়েছেন। বিএনপি এদেশের জন্য কী করেছে যার জন্য জনগণ তাদের আন্দোলনে সাড়া নেবে?

‘প্রকৃতপক্ষে আওয়ামী লীগ নয়, জিয়া নিজ কর্মের কারণেই ইতিহাসের কাঠগড়ায় খলনায়ক হিসেবে চিহ্নিত। ইতিহাস বিকৃতির জন্য জণগণ জিয়াউর রহমানকে কোনোদিন ক্ষমা করবে না। জিয়া ইতিহাসের বিচারে অভিযুক্ত। ইতিহাসের ফুটনোটকে বিএনপি মহানায়ক বানানোর অপচেষ্টা করে যাচ্ছে।’

যাযাদি/এসআই