আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। সেই ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

বিএনপির ৭৩ নেতা বহিষ্কার

বৃহস্পতিবার (১৯ মে) গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন। সেতুমন্ত্রী তার ঢাকার বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, 'শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র চলছে তা মোকাবেলা করে আগামী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিজয়ের বন্দরে পৌঁছাবে।'

আগামী জাতীয় নির্বাচন ও সম্মেলনকে সামনে রেখে দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, ‘দলের ভেতরের সকল অভ্যন্তরীণ কোন্দল মিটিয়ে যার যার অবস্থান থেকে আওয়ামী লীগকে আরও সুসংগঠিত করতে হবে।'

৭৫ এ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ৬ বছর নির্বাসনে থেকে অনেক প্রতিবন্ধকতার মধ্যে দেশের মাটিতে পা রেখেই কোন্দলে জর্জরিত আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ করার শপথ নিয়ে শেখ হাসিনা সারা বাংলায় ঘুরে ঘুরে দেশের অবরুদ্ধ গণতন্ত্রকে শৃঙ্খল মুক্ত করেছিলেন বলে মন্তব্য করেন কাদের।

সেতুমন্ত্রী বলেন, 'বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা প্রত্যাবর্তন করেছিলেন বলেই বঙ্গবন্ধু হত্যা ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে গোটা জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করেছেন।'

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'শেখ হাসিনা প্রত্যাবর্তন করেছিলেন বলেই বাংলাদেশ আজ উন্নয়ন ও অর্জনে বিশ্বের বিস্ময়। তিনি প্রত্যাবর্তন করেছিলেন বলেই সকল ষড়যন্ত্র ও রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ হয়েছে।

আগামী মাসেই পদ্মাসেতুর উদ্বোধন করা হবে জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধনের তারিখ চূড়ান্ত করা সাপেক্ষে শিগগিরই সংবাদ সম্মেলন করে জাতিকে জানিয়ে দেওয়া হবে।'

পদ্মাসেতুর ব্যয় নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের বক্তব্য প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'প্রমত্তা পদ্মা নদীতে প্রবল খরস্রোতা থাকায় নদীর এপার-ওপার ভাঙ্গা গড়ার খেলায় অনেক কষ্টে এই ভাঙ্গনের মধ্যে কাজ করতে হয়েছে।'

প্রায় ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চ্যালেঞ্জ করে বলেন, 'শতভাগ সততার সঙ্গে এই প্রকল্পে কাজ শেষ করা হয়েছে।'

সফলভাবে পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ায় মির্জা ফখরুলসহ বিএনপি নেতাদের গাত্রদাহের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলেও মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।

গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এবং গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগ ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।

যাযাদি/এস