ছাত্রদলের নারীনেত্রীসহ নেতা-কর্মীদের ওপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় যে হামলা হয়েছে, তা আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ পর্যায়ের নির্দেশে হয়েছে বলে মনে করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা। তারা বলছেন, ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা হলে পাল্টা হামলা ছাড়া বিকল্প কোনো পথ খোলা নেই।

শনিবার (২৮ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী যুবদলের সদ্যঘোষিত কমিটির প্রথম সমাবেশে বিএনপি নেতারা এসব কথা বলেন।

যুবদলের নতুন সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সভাপতিত্বে “বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কটূক্তি ও প্রচ্ছন্ন হত্যার হুমকি এবং ছাত্রলীগের অব্যাহত সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদ” শিরোনামে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এই সমাবেশে দেওয়া কেন্দ্রীয় নেতাদের বক্তব্য নিয়ে একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।

এর আগে শুক্রবার সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকে সভাপতি ও মোনায়েম মুন্নাকে সাধারণ সম্পাদক করে জাতীয়তাবাদী যুবদলের আট সদস্যের আশিংক কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়।

বিএনপির ৭৩ নেতা বহিষ্কার

দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, “এই সরকার দুর্বল হয়েছে। এই সরকারকে একটা ধাক্কা দিতে হবে। ছাত্রদল সেই সূচনা করেছে। সরকার পতন, নিরপেক্ষ সরকার, সংসদ বাতিল-এসব ইস্যুতে চলমান আন্দোলনে রাজপথে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে”

যুবদলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক জ্যেষ্ঠ সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, “আক্রমণের পাল্টা আক্রমণ ছাড়া বিকল্প পথ খোলা থাকে না। মার খাওয়া একমাত্র কাজ নয়। রক্ত দিয়ে ত্যাগীদের খাতায় নাম লেখালেই চলবে না। রক্ত দিতে হবে, আবার প্রয়োজনে যারা জনগণের বিপক্ষে কথা বলে, আক্রমণ করে তাদের রক্ত নিতেও হবে। একটি মাত্র কথা, বাধা আসলে পাল্টা বাধা দিতে হবে, আক্রমণ হলে পাল্টা আক্রমণ করতে হবে-এভাবেই আক্রমণকারীদের মোকাবিলা করতে হবে।”

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান বলেন, “ছাত্রদলের বোনদের ওপর যেভাবে ছাত্রলীগ হামলা করেছে, এটা প্রধানমন্ত্রী দেখেছেন। তিনিও তো একজন নারী। এই বোনগুলো যদি তার মেয়ে হতো তাহলে কি করতেন? ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের ওপর চাপাতি, রামদা, লাঠিসোটা ও আগ্নেয় অস্ত্র সহকারে হামলা করা হলো, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ভূমিকা কোথায়? অবিলম্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সহাবস্থান নিশ্চিত করুন।”

যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, “আমাদের নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে হত্যা হুমকি দেওয়া হয়েছে, এরপর আমরা ঘরে বসে থাকতে পারি না। যেভাবে আমাদের ছাত্রদলের ভাই-বোনদের শরীর থেকে রক্ত ঝড়ানো হয়েছে, আমরা প্রতি ফোটা রক্তের বদলা নেবো। হয় শহীদ হবো, না হয় এই সরকারের পতন ঘটাবো।”

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী, সাইফুল আলম নিরব, আমিনুল হক, রফিকুল আলম মজনু, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজসহ যুবদল নেতারা।

যাযাদি/ এম