১৪ দলীয় জোটের একাধিক বৈঠকের পর অবশেষে সেই আসন ভাগাভাগির হিসাব দিয়েছেন জোটের সমন্বয়ক ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু।
জোটের শরিক দলগুলোর জন্য আওয়ামী লীগ যে কয়েকটি আসন ছেড়েছে তার মধ্যে তিনটি পেয়েছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, তিনটি পেয়েছে হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বাধীন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) এবং একটি আসন পেয়েছে জাতীয় পার্টি (জেপি)
একাদশে ওয়ার্কার্স পার্টি ১৪ দলীয় জোট থেকে পাঁচটি আসনে ছাড় পেলেও নির্বাচনে জিতে আসেন তিনজন রাশেদ খান মেনন, ফজলে হোসেন বাদশা ও মোস্তফা লুৎফুল্লাহ আহসান। বরিশাল-৩ আসনে টিপু সুলতান এবং ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে ইয়াসিন আলী ভোটে জয় পাননি।
জাসদ (ইনু)-কে এবার ছেড়ে দেওয়া তিনটি আসনের মধ্যে হাসানুল হক ইনু লড়বেন কুষ্টিয়া-২ আসন থেকে, মোশারফ হোসেন লড়বেন লক্ষ্মীপুর-৪ আসন থেকে এবং রেজাউল করিম তানসেন লড়বেন বগুড়া-৪ আসন থেকে।
২০১৮ সালের নির্বাচনের জাসদ (ইনু) তিনটি আসনে ছাড় পেয়েছিল। ওই বছর এবারের মতোই ইনু কুষ্টিয়া-২ ও তানসেন ভোট করেছিলেন বগুড়া-৪ আসন থেকে। আর ফেনী-১ আসনে জোটের প্রার্থী ছিলেন শিরিন আক্তার। এবারে শিরিন আক্তার জোটের প্রার্থী হতে পারেননি। আর গতবার মনোনয়ন না পাওয়া মোশারফ এবার লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে নির্বাচন করবেন ১৪ দলের প্রার্থী হিসেবে। সেবার ইনু ও শিরিন আক্তার ভোটে জিতলেও তানসেন হেরে যান বিএনপির মোশারফ হোসেনের কাছে।
এবার পিরোজপুর-২ আসনে ১৪ দলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। গত বছরও একই আসনে তিনি জোটের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছিলেন। মঞ্জু এই আসনে ছয়বারের সংসদ সদস্য।
যাযাদি/এস