বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১

ওয়ালটনের মুনাফা বেড়েছে ১২৯ শতাংশ

যাযাদি ডেস্ক
  ২৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:০৮
ওয়ালটনের মুনাফা বেড়েছে ১২৯ শতাংশ

ইলেকট্রনিক ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স উৎপাদক প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির চলতি ২০২৩-২৪ হিসাব বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ১৩৮ কোটি ২৮ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরের একই প্রান্তিকে যা ছিল ৬০ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। সে হিসাবে আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটির নিট মুনাফা বেড়েছে ১২৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি হিসাব বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ৫৬ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ২ টাকা। গত ৩১ ডিসেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩৪৫ টাকা ৭৫ পয়সায় (পুনর্মূল্যায়িত), পুনর্মূল্যায়ন ছাড়া যা ২৪৪ টাকা ২৬ পয়সা।

আলোচ্য হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ২০২ কোটি ৭ লাখ টাকা। আগের হিসাব বছরের একই প্রান্তিকে ৪৬ কোটি ১০ লাখ টাকা লোকসান হয়েছিল। আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৬ টাকা ৬৭ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছিল ১ টাকা ৫২ পয়সা। গত ৩০ সেপ্টেম্বর শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৩৫০ টাকা ৪০ পয়সায় (পুনর্মূল্যায়িত), পুনর্মূল্যায়ন ছাড়া যা ২৪৮ টাকা ৮৮ পয়সা।

চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ৩৪০ কোটি ৩৫ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১৪ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। প্রথমার্ধে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১১ টাকা ২৪ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৪৭ পয়সা।

সর্বশেষ ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরের জন্য সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ৩০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের পর্ষদ। পাশাপাশি কোম্পানিটির উদ্যোক্তা পরিচালকদের জন্য ৯০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা রয়েছে। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২৫ টাকা ৮৪ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৪০ টাকা ১৬ পয়সা। এ সময় শেষে কোম্পানির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ৩৪৩ টাকা ৭৩ পয়সায় (পুনর্মূল্যায়িত), পুনর্মূল্যায়ন ছাড়া যা ২৪২ টাকা ১৮ পয়সা।

২০২২ হিসাব বছরের জন্য উদ্যোক্তা পরিচালকদের জন্য ১৫০ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ২৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ। ২০২১ হিসাব বছরের জন্য উদ্যোক্তা পরিচালকদের ১৭০ শতাংশ নগদ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ২৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি। ২০২০ হিসাব বছরের জন্য সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ২০০ শতাংশ নগদ ও উদ্যোক্তা পরিচালকদের ৭৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়া হয়েছিল।

ওয়ালটনের সার্ভিলেন্স রেটিং দীর্ঘমেয়াদে ‘ট্রিপল এ’ ও স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-ওয়ান’। সমাপ্ত ২০২০-২৩ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, চলতি ২০২৪ হিসাব বছরের অনিরীক্ষিত প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) আর্থিক প্রতিবেদন ও রেটিং ঘোষণার দিন পর্যন্ত প্রাসঙ্গিক অন্যান্য তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এ প্রত্যয়ন করেছে ইমার্জিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড (ইসিআরএল)।

দেশের পুঁজিবাজারে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের লেনদেন শুরু হয় ২০২০ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ৬০০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ৩০২ কোটি ৯২ লাখ ৮০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৯ হাজার ৭৪২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ৩০ কোটি ২৯ লাখ ২৮ হাজার ৩৪৩। এর মধ্যে ৯৮ দশমিক ৯৯ শতাংশ শেয়ারই রয়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে দশমিক ৩৮, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছে দশমিক ১০ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে দশমিক ৫৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

ডিএসইতে গতকাল ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ারের সর্বশেষ ও সমাপনী দর ছিল ৮৪০ টাকা ৬০ পয়সা। গত এক বছর ধরে শেয়ারটির দর ৮৪০ টাকা ৬০ থেকে ১ হাজার ৪৭ টাকা ৭০ পয়সায় ওঠানামা করেছে।

যাযাদি/ এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে