শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

অধিনায়কের আক্ষেপ শেষ ৫-৬ ওভারের বোলিং

যাযাদি ডেস্ক
  ৩১ জুলাই ২০২২, ১০:২৭

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ব্যাটিং নিয়েই বাংলাদেশের বরাবরের আক্ষেপ, বোলিংকে মনে করা হয় দলের শক্তির জায়গা। কিন্তু এবার বোলিংই গড়ে দিল হারের মঞ্চ। বিশেষ করে, শেষ কয়েক ওভারের বোলিং। শেষ সময়ের তাণ্ডবে জিম্বাবুয়ের রান চলে যায় একরকম বাংলাদেশের ধরাছোঁয়ার বাইরে। ম্যাচ শেষে অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানও বললেন, ওখানেই ম্যাচ ফসকে গেছে।

তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে শনিবার শুরুটা ভালোই করেছিল বাংলাদেশের বোলাররা। ব্যাটিং সহায়ক উইকেটেও জিম্বাবুয়ের রান প্রথম ১০ ওভারে ছিল ৭৪। কিন্তু সেই ধারা পরে আর ধরে রাখতে পারেননি বোলাররা। শেষ ১০ ওভারে জিম্বাবুয়ে তোলে ১৩১ রান।

তরুণ অলরাউন্ডার ওয়েসলি মাধেভেরে করেন ৪৪ বলে ৬৭। তবে বাংলাদেশের মূল সর্বনাশ করেন সিকান্দার রাজা। তার ২৬ বলে ৬৫ রানের বিধ্বংসী ইনিংস গড়ে দেয় মূল পার্থক্য। ২০৬ রান তাড়ায় বাংলাদেশ হারে ১৭ রানে।

১৪ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের রান ছিল ১১৪, বাংলাদেশের ১২৪। রাজার হ্যারিকেন ব্যাটিংয়ে শেষ ৬ ওভারে জিম্বাবুয়ে তোলে ৯১ রান। এখানেও পেরে ওঠেনি বাংলাদেশ। রাজা ও মাধেভেরে দারুণ বাট করেছেন বটে। তবে বাংলাদেশের পেসারদের আলগা বোলিং প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানের কাজটা সহজ করে দেয় অনেক। বিশেষ করে দুই অভিজ্ঞ পেসার তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমানের বোলিং ছিল বেশি হতাশাজনক। এলোমেলো বোলিং করে গেছেন তারা, একের পর এক ডেলিভারি দেন লেগ স্টাম্পে কিংবা শট খেলার মতো লেংথে।

ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়কের কণ্ঠে আফসোস ওই সময়টুকু নিয়ে।

“দারুণ খেলা হয়েছে। কিন্তু আমার কাছে মনে হয় ডেথ ওভারে, শেষ ৫-৬ ওভারে ভালো জায়গায় বোলিং করতে পারিনি আমরা। ব্যাটাররা ভালো ব্যাটিং করেছে। আমার মনে হয়, কিছু জায়গা আছে যেখানে আমরা উন্নতি করে পরের ম্যাচে নামতে পারি।

“(হারের কারণ হিসেবে) কোনো কিছুকেই কারণ হিসেবে দেখতে চাই না। ব্যাটিং বলুন বা ফিল্ডিং, বোলিং বলেন সব আমরাই। যেটাই করি, আমাদেরই ভালো করতে হবে। যেটা বললাম শেষ ৫/৬ ওভার আমরা আজকে ভালো বোলিং করতে পারিনি। পরের ম্যাচে আমাদের এই জায়গায় উন্নতি করতে হবে!”

দুইশর বেশি রান তাড়া করা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এখন বিরল কিছু নয়। সোহান বললেন, ম্যাচের মাঝবিরতিতে রান তাড়া করে জয়ের বিশ্বাস ছিল দলের ভেতর।

“২০০ রান চেজ করা সবসময় একটা কঠিন ব্যাপার। আমরা যখন ড্রেসিংরুমে ফিরেছিলাম, তখন আমরা সবাই আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। উইকেট খুবই ভালো, তাড়া করতে পারব ইনশাআল্লাহ। আমি যেটা বললাম, বোলিংয়ে শেষ ৫-৬ ওভারে উন্নতি করার জায়গা আছে, সেই জায়গায় আমরা উন্নতি করে পরবর্তী ম্যাচ খেলব।”

“উইকেট ব্যাটিং করার জন্য ভালো ছিল। আমরা ১৫ রান কম দিলে ম্যাচটা অন্যরকম হতো। আশা করি, পরের ম্যাচে আমরা কিছু জিনিস উন্নতি করে নামতে পারব।”

পরের ম্যাচের আগে নিজেদের গুছিয়ে নেওয়ার সময় খুব বেশি পাবেন না সোহানরা। রোববারই সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ।

যাযাদি/ এসএইচ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে