শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

৪৪ রানে পিছিয়ে থেকে দিন শেষ করল নিউজিল্যান্ড

যাযাদি ডেস্ক
  ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১৭:৪৩
৪৪ রানে পিছিয়ে থেকে দিন শেষ করল নিউজিল্যান্ড

সিলেট টেস্টের দ্বিতীয় দিন বাংলাদেশের বড় মাথাব্যথার কারণ ছিলেন কেইন উইলিয়ামসন। উইকেট আগলে রেখে দিনের তৃতীয় সেশনে সেঞ্চুরির দেখাও পেয়ে যান কিউই তারকা। তবে, এরপর পারলেন উইকেট ধরে রাখতে। তাকে ফিরিয়ে দ্বিতীয় দিন শেষেও স্বস্তিতে আছে বাংলাদেশ।

টেস্টর দ্বিতীয় দিন ব্যাট করতে নেমে আজ বুধবার (২৯ নভেম্বর) ৮৪ ওভারে আট উইকেটে ২৬৬ রান তোলে কিউইরা। বাংলাদেশের চেয়ে এখনও পিছিয়ে আছে ৪৪ রান। ইনিংসে সেঞ্চুরি করেছেন কেন উইলিয়ামসন। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) কিউইদের হয়ে ব্যাট হাতে মাঠে নামবেন কাইল জেমিসন ও টিম সাউদি।

প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ৩১০ রানের জবাবে উদ্বোধনী জুটিতে ৩৬ রান তোলেন নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনার টম ল্যাথাম ও ডেভন কনওয়ে। তবে কিউইদের ৮ রানের ব্যবধানে এই দুই ওপেনারকে ফেরান তাইজুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান মিরাজ। তৃতীয় উইকেটে বড় জুটির আভাস দিচ্ছিলেন কেন উইলিয়ামসন ও হেনরি নিকোলস। তারা ৯৪ বলে ৫৪ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। অবশেষে নিকোলসকে উইকেটরক্ষক নুরুল হাসানের ক্যাচে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন পেসার শরিফুল ইসলাম। ৪২ বলে ১৯ রান করেন বাঁহাতি ব্যাটার নিকোলস।

চতুর্থ উইকেটে কেন উইলিয়ামসনের সঙ্গে অর্ধশত রানের জুটি গড়েন ড্যারেল মিচেল। তবে জুটি ভেঙে বাংলাদেশ শিবিরে স্বস্তি এনে দেন তাইজুল ইসলাম। দলীয় ১৬৪ রানের মাথায় তার বলে এগিয়ে এসে খেলতে চেয়েছিলেন মিচেল, কিন্তু বল বাঁক খেয়ে উইকেটরক্ষক নুরুল হাসানের কাছে গেলে সহজেই স্টাম্পিং হন। এই ব্যাটার ৫৪ বলে ৪১ রান করেন। বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি টম ব্লান্ডেলও। তবে ষষ্ঠ উইকেটে গ্লেন ফিলিপসকে নিয়ে দারুণ প্রতিরোধ গড়ে তোলেন উইলিয়ামসন। এই জুটি থেকে আসে ৭৮ রান। এরই মধ্যে সেঞ্চুরি তুলে নেন উইলিয়ামসন (১০৪)। ২৫৩ রানে ফিলিপসের বিদায়ের ১১ রানের মধ্যেই ফেরেন উইলিয়ামসন ও ইশ সোধি। শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেট হারিয়ে ২৬৬ রান তুলে দিন শেষ করে কিউইরা।

বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে দারুণ উজ্জ্বল ছিলেন তাইজুল ইসলাম। ৮৯ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট তুলে নিয়েছেন তিনি। একটি করে উইকেট তুলে নিয়েছেন শরিফুল ইসলাম, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাইম হাসান ও মুমিনুল হক।

এর আগে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম দিন ৯ উইকেট হারিয়ে ৩১০ রান করেছিল বাংলাদেশ। তাইজুল ইসলাম ৮ ও শরিফুল ইসলাম ১৩ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছেড়েছিলেন। তবে দ্বিতীয় দিন টিম সাউদির প্রথম বলেই শরিফুল এলবি হন। ফলে সেই ৩১০ রানেই প্রথম ইনিংস থামে স্বাগতিকদের।

গতকাল মঙ্গলবার মাহমুদুল হাসান জয়ের ব্যাটে ভালো সম্ভাবনা দেখা দিলেও অন্যদের ব্যর্থতায় ছোট স্কোরের শঙ্কা জাগে। অবশেষে টেলএন্ডারদের দৃঢ়তায় দলীয় তিনশ রান পার করে টাইগাররা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৬ রান করেন জয়। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৭ রান আসে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও সাবেক অধিনায়ক মুমিনুল হকের ব্যাটে।

কিউই বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট পান গ্লেন ফিলিপস। এছাড়া ২টি করে উইকেট দখল করেন কাইল জেমিসন ও এজাজ প্যাটেল।

যাযাদি/ এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে