বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

শরিফুলের দুর্দান্ত বোলিং ছাপিয়ে প্রথম জয় পেল সিলেট

যাযাদি ডেস্ক
  ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:১২
শরিফুলের দুর্দান্ত বোলিং ছাপিয়ে প্রথম জয় পেল সিলেট

সিলেটের মাঠে সিলেট স্ট্রাইকার্সের টানা তিন ম্যাচে হার। তবুও মুখ ফিরিয়ে নেয়নি স্থানীয় দর্শকরা। কুয়াশাচ্ছন্ন ছুটির দিকে মাশরাফি বিন মর্তুজাবিহীন সিলেটকে সমর্থন দিতে মাঠে দেখা যায় সিলেটি দর্শকদের মিছিল। দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে এবার তাদের আশাহত করেননি বিশেষ জার্সি পরে নামা মোহাম্মদ মিঠুনের দল।

পঞ্চম ম্যাচে হারের পর দিন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) থেকে বিরতি নেন মাশরাফি। আগের ম্যাচে বাদ পড়া সহ-অধিনায়ক মিঠুন পান নেতৃত্ব। ব্যাট হাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে দলকে কাক্সিক্ষত জয় এনে দেন। মাশরাফি বিন মর্তুজার কাছ থেকে মোহাম্মদ মিঠুনের হাতে নেতৃত্ব বদল হতেই আরাধ্য জয় পেল দলটি। মাশরাফিহীন ম্যাচে দুর্দান্ত ঢাকাকে ১৫ রানে হারিয়েছে তারা।

সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে শুক্রবার ১৪২ রানের জবাবে খেলতে নেমে নির্ধারিত ওভার শেষে ৯ উইকেটে ১২৭ রান করতে সমর্থ হয় ঢাকা। সিলেটের হয়ে ৩০ রান খরচায় ৪ উইকেট নেন রিচার্ড এনগারাভা। এ জয়ের ফলে পয়েন্ট টেবিলের তলানি থেকে একধাপ উপরে উঠে এসেছে তারা।

রান তাড়া করতে নেমে সাইম আয়ুব উড়ন্ত সূচনা এনে দিলেও উইকেট ধরে রাখতে পারেনি ঢাকা। প্রথম ওভারে ১৩ রান তোলার পর সাইম আয়ুবই সবার আগে ফিরে যান, তার উইকেট নেন রিচার্ড এনগারাভা। আরেক ওপেনার নাঈম শেখের উইকেটও নেন তিনি। ২ উইকেট চলে যাওয়ার পর সাইফ হাসান ও আলেক্স রস মিলে কিছুটা চাপ সামলান। দুজনের মধ্যে ৩১ রানের জুটি হওয়ার পর রানআউট হয়ে মাঠ ছাড়েন সাইফ।

স্কোর বোর্ডে আর ২ রান যোগ হওয়ার পর রেজাউর রহমান রাজার বলে সাজঘরে ফেরেন রস। ১৮ বলে ২০ রান করেন তিনি। এরপর আর সোজা হয়ে দাঁড়ানোর সুযোগ পায়নি ঢাকা। ইরফান শুক্কুর ৪ ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত আউট হন ১১ রান করে। ১২ রান করা গুলবাদিনকে ফেরান এনগারাভা। আরাফাত সানির উইকেটও নেন তিনি। শরিফুলের উইকেট নেন রাজা। শেষদিকে তাসকিন আহমেদ ১১ বলে অপরাজিত ২৭ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেললেও তা ঢাকার জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। সিলেটের হয়ে একাই ৪ উইকেট নেন এনগারাভা। এটি তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। এ ছাড়া ২ উইকেট নেন রেজাউর রহমান রাজা।

এর আগে মোহাম্মদ মিঠুনের একার ব্যাটে ভর করে ৮ উইকেটে ১৪২ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পায় সিলেট। টস হেরে ব্যাট করতে নামা সিলেট শিবিরে প্রথম ধাক্কাটাই দেন ঢাকার শরিফুল ইসলাম। পুণ্যভ‚মির দলটির বিপক্ষে প্রথম তিনটি উইকেটই নেন জাতীয় দলের এ পেসার। এর মধ্যে ওপেনার শামসুর রহমান ও চার নম্বরে নামা জাকির হাসানকে গোল্ডেন ডাকে আউট করেন তিনি। শান্ত ১২ বল খেলে করতে পারেন মাত্র ৩ রান। ৩ উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যাওয়া সিলেটকে টেনে তুলে ধরার চেষ্টা করেন অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন ও সামিত প্যাটেল। চাপ সামাল দিয়ে দুজনে জুটি বড় করতে থাকেন। ৫৭ রানের জুটির পর প্যাটেলকে ফিরিয়ে ঢাকাকে ব্রেকথ্রু এনে দেন আরফাত সানি। প্যাটেল ৩২ বলে করেন ৩২ রান। রায়ান বার্ল ১ রান করে ফিরেন উসমান কাদিরের ওভারে। এরপর মিঠুন একাই টানেন সিলেটকে। বেনি হাওয়েল ১১ রান করে আউট হলেও হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। আরিফুল তাকে দারুণ এক ক্যামিও ইনিংসে সঙ্গ দেন। ৯ বলে সিলেট অলরাউন্ডার করেন ২১ রান। শেষ ওভারে ৩টি ওয়াউড দেয়ার পর মিঠুনকে আউট করেন তাসকিন আহমেদ। ৪৬ বলে ৫৯ রান করে আউট হন মিঠুন। সিলেট অধিনায়কের ইনিংসে ছিল ৪টি চার ও ৩টি ছয়ের মার। নাঈম হাসান ৬ ও রেজাউর রহমান রাজা ১ রান করে অপরাজিত থাকেন। শরিফুল ১৯ রানের বিনিময়ে নেন ৪ উইকেট। সানি ২টি এবং তাসকিন ও কাদির প্রত্যেকে একটি করে উইকেট পান।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

সিলেট স্ট্রাইকার্স : ২০ ওভারে ১৪২/৮ (শান্ত ৩, শামসুর ০, সামিত ৩২, জাকির ০, মিঠুন ৫৯, বার্ল ১, হাওয়েল ১১, আরিফুল ২১, রেজাউর ১*, নাঈম ৬*; শরিফুল ৪/২৪, তাসকিন ১/১৯, গুলবাদিন ০/২৫, সানি ২/২৩, মোসাদ্দেক ০/১৪, কাদির ১/৩৬)।

দুর্দান্ত ঢাকা: ২০ ওভারে ১২৭/৯ (সাইম ১৩. নাঈম ২, সাইফ ১৭, রস ২০, গুলবাদিন ১২, ইরফান ৪, মোসাদ্দেক ১১, সানি ২, শরিফুল ৫, কাদির; আরিফুল ০/১৩, এনগারাভা ৪/৩০, নাঈম ১/১৯, হাওয়েল ১/১৬)।

ফল: সিলেট স্ট্রাইকার্স ১৫ রানে জয়ী। ম্যাচসেরা: রিচার্ড এনগারাভা।

যাযাদি/ এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
X
Nagad

উপরে