বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১
সাক্ষাৎকার

বঙ্গবন্ধুর বায়োপিকে অভিনয় করা চ্যালেঞ্জিং

একাধিকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা ফেরদৌস আহমেদ। দেশীয় চলচ্চিত্রের পাশাপাশি কলকাতার ছবিতেও সাফল্যের সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি। পেয়েছেন যথেষ্ট দর্শকপ্রিয়তা, হয়েছেন নির্মাতাদের আস্থাভাজন।
আর. রহমান
  ২৬ নভেম্বর ২০২০, ০০:০০
ফেরদৌস আহমেদ

অনেক কিছু নির্ভর করছে...

করোনার মধ্যে দীর্ঘদিন ঘরবন্দি থেকে সম্প্রতি 'গাঙচিল' সিনেমার শুটিং দিয়ে কাজে ফিরেছি। কাজটা ভালোই এগিয়েছে। সত্যি বলতে অনেক দিনই কাজের বাইরে ছিলাম। এখন কাজে ফিরে কিছুটা ভালো লাগছে। তাছাড়া আমাদের কাজের উপর অনেক কিছু নির্ভর করে।

বেশকিছু উপলবব্ধি হয়েছে...

করোনার এই সময়ে বেশ কিছু উপলবব্ধি হয়েছে। এমন ভয়াবহ দুযোর্গের মুখোমুখি আগে কখনো হতে হয়নি। পুরো সময়টায় আমার দুই মেয়ে ও স্ত্রীকে সময় দিয়েছি। ওদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে গল্প থেকে শুরু করে খেলাধুলাও করেছি। সেভাবে বলতে গেলে, সময়টা মন্দ কাটেনি। তবে এরমধ্যেই চেষ্টা করেছি স্বল্প আয়ের শিল্পীদের জন্য কিছু করতে। আমার পক্ষে যতটুকুই সম্ভব ততটুকুই করেছি। আর এখন তো অনেক কিছুই স্বাভাবিক হয়ে গেছে। মোটামুটি শুটিংও শুরু হয়েছে।

কাজটি শুরু হতে যাচ্ছে...

বঙ্গবন্ধুর বায়োপিকে অভিনয় করা সত্যিকার অর্থেই চ্যালেঞ্জের কাজ। করোনাভাইসের প্রাদুর্ভাব দেখা না দিলে এতদিনে কাজের বেশ অগ্রগতি হতো। তবে শিগগিরই কাজটি শুরু হতে যাচ্ছে। ছবিটিতে আমি বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের চরিত্রের অভিনয় করছি। এ ধরনের ঐতিহাসিক চরিত্রে আগে কখনো অভিনয় করার সুযোগ হয়নি। আমার চিন্তা হচ্ছে, কিভাবে করব? আদৌ ঠিকঠাক করতে পারব কিনা? কারণ এমন একটি চরিত্রের জন্য আমাকে নির্বাচিত করা হয়েছে, যেখানে কোনো ত্রম্নটি রাখা যাবে না। তাই আমাকে পড়াশোনাও করতে হচ্ছে।

রয়েছে মুক্তির অপেক্ষায়...

আমার বেশ কয়েকটি ছবির কাজ শেষ হয়েছে। এরমধ্যে গত বছর লন্ডনে জি এম ফারুকের 'যদি আরেকটু সময় পেতাম' সিনেমার কাজ শেষ করেছি। মাহমুদ দিদারের 'বিউটি সার্কাস' সিনেমা ও অরণ্য পলাশের 'গন্তব্য' সিনেমা রয়েছে মুক্তির অপেক্ষায়। তাছাড়া 'গাঙচিল' ও 'জ্যাম' ছবি দুটোও রয়েছে এই সিরিয়ালে।পাশাপাশি বিজ্ঞাপন ও উপস্থাপনার কাজও আছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে