শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আফগানিস্তানে ব্রিটিশ বাহিনীর 'হত্যাকান্ডের' তদন্ত শুরু

যাযাদি ডেস্ক
  ২৪ মার্চ ২০২৩, ০০:০০

আফগানিস্তানে ব্রিটিশ বাহিনীর 'বেআইনি হত্যাকান্ডের' অভিযোগের বিষয়ে 'স্বাধীন' ও 'নিরপেক্ষ' তদন্ত শুরু করেছে যুক্তরাজ্য। বুধবার থেকে এই তদন্তের কাজ শুরু হয়। তদন্ত কমিটির প্রধান লর্ড জাস্টিস হ্যাডন-কেভ এ বিষয়ে প্রাসঙ্গিক তথ্যসহ এগিয়ে আসার জন্য জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। সংবাদসূত্র : আল-জাজিরা, বিবিসি

এর আগে ২০১০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তানে অবস্থানকালে এসব হত্যাকান্ড চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে ব্রিটিশ সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে। আর গত বছরের ডিসেম্বরে এ সংক্রান্ত তদন্তের ঘোষণা দেওয়া হয়। তার পাশাপাশি তদন্ত কার্যক্রম সুষ্ঠু বা পর্যাপ্ত হচ্ছে কি-না, তাও দেখা হবে বলে জানানো হয়। তদন্ত কমিটির প্রধান লর্ড জাস্টিস হ্যাডন-কেভ বলেন, ব্রিটিশ সামরিক বাহিনী ও দেশের সুনাম রক্ষার জন্য এ তদন্ত খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া অভিযোগগুলোকে 'অত্যন্ত গুরুতর'।

২০১০ সালের মাঝামাঝি থেকে ২০১৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে আফগানিস্তানে ব্রিটিশ স্পেশাল ফোর্সেস (কমান্ডো) বাহিনী মোতায়েন করা হয়। এই তদন্তে ওই বাহিনীর পরিচালিত নৈশ অভিযানগুলো নিয়ে অনুসন্ধান চালানো হবে। তাছাড়া আইনবহির্ভূত হত্যা ও পরবর্তী সময়ে সেগুলো ধামাচাপা দেওয়া- দুটি অভিযোগই খতিয়ে দেখবে তদন্ত কমিটি। কমিটির প্রধান লর্ড জাস্টিস হ্যাডন-কেভ আরও বলেন, যে বা যারা আইন ভঙ্গ করেছে তদন্তের জন্য তাদের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। এর পাশাপাশি যারা নির্দোষ, তাদের ওপর থেকেও সন্দেহের কালো মেঘ দূর করতে হবে।

আফগানিস্তানে ছয় মাস দায়িত্ব পালনকালে ব্রিটিশ কমান্ডো বাহিনীর একটি স্কোয়াড্রনের হাতে কমপক্ষে ৫৪ জন আফগান নিহত হয়েছেন। তদন্ত কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ব্রিটিশ কমান্ডো বাহিনীর ডেলিবারেট ডিটেনশন অপারেশন বা ডিডিও নামে পরিচিত নৈশ অভিযানের বিষয়টি বিশেষভাবে খতিয়ে দেখা হবে।

হ্যাডন-কেভ জানান, তদন্তের অনেক শুনানির প্রকৃতি 'অত্যন্ত সংবেদনশীল' হওয়ায় শুনানির গোপনীয়তা বজায় রাখা হবে। তাছাড়া ডিডিওতে ব্রিটিশ বাহিনীর হাতে নিহত দুই পরিবারের আইনি চ্যালেঞ্জও তদন্তে খতিয়ে দেখা হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে