আজকের যায়যায়দিন

ইসরাইলের সঙ্গে দীর্ঘ যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত রয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এমনকি তাদের ক্ষমতা শত্রম্নর চেয়েও বেশি বলে মন্তব্য করেছেন হামাসের রাজনৈতিক বু্যরোর প্রধান ইসমাইল হানিয়া। ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখন্ডে অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। টানা প্রায় দেড় মাস ধরে চালানো এই হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন সাড়ে ১১ হাজার ফিলিস্তিনি। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই প্রায় আট হাজার। সংবাদসূত্র : আনাদলু, পার্স টুডে

এই পরিস্থিতিতে ইসরাইলের সঙ্গে দীর্ঘ যুদ্ধের জন্য ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস প্রস্তুত রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসমাইল হানিয়া। তিনি বলেছেন, ইহুদিবাদী শত্রম্নদের ফিলিস্তিনি ভূমি থেকে পুরোপুরি বিতাড়ন করা হবে এবং তাদের জন্য পরাজয় ছাড়া আর কিছুই অপেক্ষা করছে না। তিনি আরও বলেন, 'ফিলিস্তিনি জাতি এখন বিশ্বের সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী বাহিনী, অর্থাৎ ইসরাইলি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে। এই লড়াই সম্মান ও মর্যাদার লড়াই। আলস্নাহর রহমতে আমরাই বিজয়ী হব।'

বৃহস্পতিবার রেকর্ডকৃত এক ভিডিও বক্তৃতায় ইসমাইল হানিয়া ফিলিস্তিনি জনগণের অবিচল মনোভাব এবং ইসরাইলি সেনাবাহিনীর সক্ষমতা দুর্বল করতে প্রতিরোধ দলগুলোর সমন্বয়ের প্রশংসাও করেন। ইসমাইল হানিয়া বলেন, 'যদি শত্রম্নপক্ষ দীর্ঘ যুদ্ধ করতে চায়, তবে আমাদের লড়াইয়ের ক্ষমতা আমাদের শত্রম্নর চেয়েও দীর্ঘ এবং আমাদের প্রতিরোধই চূড়ান্তভাবে জয়ী হবে।' তিনি ইঙ্গিত দেন, ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ দলগুলো ইহুদিবাদী শত্রম্নর বিরুদ্ধে কৌশলগত সংঘাতে লিপ্ত এবং শুধুমাত্র তারাই এতে বিজয়ী হবে।

তিনি 'গাজা উপত্যকার মাটিতে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের অর্জিত বিজয়গুলোর' দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, 'প্রতিরোধের বীর নায়করা গাজায় গৌরবের ইতিহাস লিখছেন। নিজেদের বীরত্ব, সাহস এবং সাহসিকতা প্রমাণ করে তারা শত্রম্নর সেনাবাহিনী এবং তাদের যানবাহনকে বেদনাদায়ক আঘাত দিচ্ছেন।'

ইউক্রেনে রুশ অভিযান / রাশিয়াকে ঠেকাতে নতুন মার্কিন প্যাকেজ

২০০৫ সালে গাজা থেকে ইসরাইলের বিচ্ছিন্নতার কথা উলেস্নখ করে ইসমাইল হানিয়া বলেন, 'আল-কাসাম ব্রিগেড ও প্রতিরোধ দলগুলো গাজায় ইসরাইলি দখলদারিত্বকে পরাজিত করবে, যেমনটি তারা ১৮ বছর আগে করেছিল। বিশ্ব এটাই প্রত্যক্ষ করবে।' তিনি মতে, 'তারা (ইসরাইল) আরও ব্যর্থতা, হতাশা এবং পরাজয় ছাড়া আর কিছুই পাবে না।' হানিয়া বলেন, 'ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচু্যতি বা জোরপূর্বক বন্দিদের পুনরুদ্ধারের বিষয়ে শত্রম্নদের যে লক্ষ্য ও পরিকল্পনা ছিল সেটিকে ব্যর্থ করে দিয়েছে গাজার বাসিন্দা এবং প্রতিরোধ যোদ্ধারা।'

এর আগে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ এই ভূখন্ডে ইসরাইলি এই আগ্রাসন নিয়ে বেশ কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছিলেন ইসমাইল হানিয়া। গত মাসের শেষের দিকে তিনি বলেন, গাজায় চলমান যুদ্ধ পুরো অঞ্চলকে নিয়ন্ত্রণের বাইরে নিয়ে যাবে।

উলেস্নখ্য, গাজার শাসক গোষ্ঠী হামাসকে ইসরাইল ও আমেরিকাসহ পশ্চিমা দেশগুলো সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছে। ৭ অক্টোবর ইসরাইলে তাদের আকস্মিক ও নজিরবিহীন হামলার জবাবে গাজায় বিমান হামলা ও স্থল অভিযান পরিচালনা করছে ইসরাইল।