আজকের যায়যায়দিন

ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গুজরাটের উপকূলে শনিবার রাসায়নিক পদার্থবাহী একটি কার্গো জাহাজে ইরান থেকে ড্রোন হামলা করা হয়েছে বলে আমেরিকা জানিয়েছে। 'চেম পস্নুটো' নামে ওই জাহাজটি ভারতের গুজরাট উপকূল থেকে প্রায় ৩৭০ কিলোমিটার দূরে ছিল। ড্রোন হামলার পর জাহাজটিতে আগুন ধরে গেলেও তা দ্রম্নত নিভিয়ে ফেলা হয়। আর এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। আমেরিকার এই অভিযোগের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি ইরান। সাম্প্রতিক সময়ে লোহিত সাগরে ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীদের দ্বারা একাধিক ড্রোন ও রকেট হামলার ঘটনা ঘটেছে। সংবাদসূত্র : বিবিসি

মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) আলাদা একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, শনিবার 'ইয়েমেনের হুতি নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল থেকে দক্ষিণ লোহিত সাগরের আন্তর্জাতিক জাহাজ চলাচলের এলাকায় দুটি জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। তবে কোনো জাহাজ তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কিনা, এখনো তা জানা যায়নি।'

আমেরিকা জানিয়েছে, মার্কিন জাহাজের দিকে হুতি এলাকা থেকে পাঠানো চারটি মানববিহীন ড্রোন ধ্বংস করে দিয়েছে ওই এলাকায় টহলরত মার্কিন যুদ্ধজাহাজ 'ইউএসএস ল্যাবন'। শনিবার ওই এলাকায় অপরিশোধিত তেলবাহী জাহাজে হুতি ড্রোন আঘাত করেছে বলে জানা যাচ্ছে।

ইয়েমেনের বেশিরভাগ এলাকার নিয়ন্ত্রণে থাকা হুতি বিদ্রোহী গোষ্ঠী দাবি করছে, গাজা যুদ্ধের কারণে ইসরাইলের সঙ্গে সম্পৃক্ত জাহাজে তারা হামলা করছে। আমেরিকা জানিয়েছে, ভারতের উপকূলে হামলার শিকার জাহাজটি লাইবেরিয়ায় রেজিস্ট্রিকৃত হলেও সেটার মালিক জাপান। তবে সেটি পরিচালনা করা হতো নেদারল্যান্ডস থেকে। সামুদ্রিক নিরাপত্তা সংস্থা 'অ্যামব্রে'র তথ্য অনুযায়ী, লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী রাসায়নিক পণ্যের ট্যাংকারটি ইসরাইলের সঙ্গে যুক্ত ছিল। এটি সৌদি আরব থেকে ভারতের দিকে যাচ্ছিল।

গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন / দ্বিতীয় সপ্তাহে গড়াল আমেরিকায় বিক্ষোভ

মার্কিন কর্মকর্তাদের মতে, ইয়েমেনের বেশিরভাগ নিয়ন্ত্রণকারী হুতি গোষ্ঠী এ পর্যন্ত ১০টি জাহাজে শতাধিক ড্রোন ও মিসাইল হামলা চালিয়েছে। লোহিত সাগরে হামলার ঝুঁকি বাড়ার কারণে অনেক বড় শিপিং গ্রম্নপ তাদের কার্যক্রম স্থগিত করেছে।