বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) 'ব্রহ্মপুত্র নদে মাইক্রোপস্নাস্টিক দূষণ : মাছ ও জলজ খাদ্য শৃঙ্খলে বিপর্যয়ের আশঙ্কা' শীর্ষক গবেষণা প্রকল্পের ওপর একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অফিসের সম্মেলন কক্ষে ২৭ ফেব্রম্নয়ারি এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
ব্রহ্মপুত্র নদে মাছ ও জলজ খাদ্য শৃঙ্খলে আন্তঃসীমান্ত মাইক্রোপস্নাস্টিক দূষণ বিশ্লেষণ করার লক্ষ্যে গবেষণাটি পরিচালিত হয়। প্রথম বছরে ভুটান, ভারত ও বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মাছ, নদীর পানি ও পলির নমুনা সংগ্রহ করা হয় এবং স্থানীয় জনগণের খাদ্যাভ্যাস ও এক্সপোজার ঝুঁঁকি মূল্যায়ন করা হয়েছে। দ্বিতীয় বছরে জলজ খাদ্য শৃঙ্খলে মাইক্রো-পস্নাস্টিকের প্রভাব ও শারীরবৃত্তীয় প্রতিক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। এতে ব্রহ্মপুত্র নদ ও এর আশপাশের জলজ খাদ্য শৃঙ্খলে মাইক্রোপস্নাস্টিক দূষণের প্রভাব এবং এর প্রতিকারের উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
কর্মশালায় মাৎস্য বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরদারের সভাপতিত্বে এবং প্রকল্পের প্রধান গবেষক অধ্যাপক ড. হারুনুর রশীদের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া।
কর্মশালায় তিনটি দেশের গবেষকরা সরাসরি ও ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন। অনলাইন জুম পস্ন্যাটফর্মে বক্তব্য প্রদান করেন প্রকল্পের সহযোগী গবেষক ভারতের রাজদীপ দত্ত এবং ভুটানের গবেষক গীতা দাহল।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা কমিটির কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক ড. মো. সামছুল আলম, প্রধান পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. জোয়ার্দার ফারুক আহমেদ, অধ্যাপক ড. মো. আলী রেজা ফারুক, অধ্যাপক ড. মো. ইসমাইল হোসেন, সহযোগী অধ্যাপক ড. কাইজার আহমেদ সুমনসহ শিক্ষক-কর্মকর্তা, গবেষকরা এবং ছাত্র-ছাত্রীরা, নীতি-নির্ধারক, পরিবেশবিদ, সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা এবং মৎস্য খাতের বিভিন্ন পর্যায়ের স্টেকহোল্ডাররা।