বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১

আসুন সবার জন্য স্বাস্থ্যকর জীবন নিশ্চিত করি

করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে শতভাগ কার্যকরী এখনো কোনো প্রতিষেধক নেই। আক্রান্তদের কীভাবে চিকিৎসা হবে, তারও কোনো নির্ভরযোগ্য, সর্বজনগ্রাহ্য পদ্ধতি বলতে গেলে নেই। আতঙ্কিত মানুষ সুস্থ থাকার উপায় খুঁজে বেড়াচ্ছেন। এই খোঁজ থেকেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে কাঁচা হলুদ, কাঁচা রসুন, লবঙ্গ, দারুচিনি, তুলসীপাতা, পাতিলেবু, আমলকী বা টক জাতীয় ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ খাবারসমূহ। বাজারে হঠাৎই বেড়ে গেছে শাক-সবজিরও চাহিদা- যা কিনা প্রাকৃতিকভাবে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। অনেকে সুস্থও আছেন এসব ভেষজ প্রাকৃতিক উপাদান গ্রহণ করে।
ডা. সমীর কুমার সাহা
  ২২ এপ্রিল ২০২১, ০০:০০
আসুন সবার জন্য স্বাস্থ্যকর জীবন নিশ্চিত করি

প্রতি বছর ৭ এপ্রিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য স্থানে 'বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস' হিসেবে পালিত হয়। ১৯৫০ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যবিষয়ক সচেতনতা সৃষ্টির জন্য এই দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। এ বছর এই দিবসটি এমন এক সময়ে পালিত হয়েছে যখন সারাবিশ্বে করোনাভাইরাস মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। সমস্ত বিশ্ব এখন এই মহামারির বিরুদ্ধে যুদ্ধেরত রয়েছে। করোনা মহামারির কারণে স্বাস্থ্যসহ অন্যান্য খাত হুমকির মধ্যে পড়েছে। করোনা পরিস্থিতি বুঝিয়ে দিয়েছে স্বাস্থ্য খাতে আমাদের এখনো অনেক দূর যেতে হবে। প্রত্যেকের স্বাস্থ্য অধিকার রয়েছে। আমাদের দেশে স্বাস্থ্য খাতে এখনো নানা সমস্যা বিরাজমান, যেমন দেশব্যাপী পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যসেবার অভাব, চিকিৎসক স্বল্পতা এবং ব্যয়বহুল চিকিৎসা ব্যবস্থা। যাদের আর্থিক স্বচ্ছলতা আছে তারা বিদেশে চিকিৎসা গ্রহণের সুযোগ পেলেও ব্যাপকসংখ্যক গরিব মানুষের চিকিৎসা সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে দুঃসহ জীবনযাপন করছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, স্বাস্থ্য খাতে পর্যাপ্ত বিনিয়োগ করা হলে একটি দেশ আর্থিকভাবে উপকৃত হয়ে থাকে। তাই এই সংস্থাটি এই খাতে ব্যাপক আর্থিক বিনিয়োগ করার জন্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

এই পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, আমাদের স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে প্রাকৃতিক চিকিৎসা পদ্ধতি (আয়ুর্বেদ ও ইউনানী) একটি বিশেষ ভূমিকা পালন করতে পারে। করোনা দুর্যোগ মোকাবিলার ক্ষেত্রেও প্রাকৃতিক চিকিৎসা পদ্ধতি বিশেষ সহায়ক ভূমিকা পালন করছে এবং করতে পারে। দুর্যোগ প্রতিরোধের জন্য এখন ঘরবন্দি জীবনযাপন এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলার নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। যে কোনো ধরনের মহামারি মোকাবিলার জন্য এমন দূরত্বের কথা আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে ২৫০০ বছর আগেই উলেস্নখ করা হয়েছে।

আয়ুর্বেদ চিকিৎসা বিজ্ঞানী চরক-সুশ্রম্নত আড়াই হাজার বছর আগে রোগজীবাণু মোকাবিলার যে পথ প্রদর্শন করে গিয়েছেন, আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান তাই বলছে এখন। তারা স্পষ্ট জানিয়েছেন, জীবাণু হামলায় যখন সভ্যতা বিপন্ন, তখন প্রতিটি রোগী ও তার সংস্পর্শে আসা মানুষকে সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা ছাডা বাঁচার উপায় নেই। অর্থাৎ আইসোলেশেন ও সোশাল ডিসট্যান্সিং। করোনা রুখতে যে দুই অস্ত্রর ওপর সবাই এই মুহূর্তে সর্বাধকি গুরুত্বারোপ করছেন। গৃহবন্দি থাকার মেয়াদ সম্পর্কেও আয়ুর্বেদের স্পষ্ট বিধান রয়েছে এবং বিস্ময়করভাবে আধুনিক চিকিৎসাশাস্ত্রের সঙ্গে তার অদ্ভুত মিল রয়েছে।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা যায়, চীন করোনা সংক্রমণ মোকাবিলার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ভেষজ দ্রব্যাদি ব্যবহার করে সাফল্য অর্জন করেছে। করোনা মোকাবিলার ক্ষেত্রে আমাদের দেশে এই বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে।

আয়ুর্বেদ পৃথিবীর প্রাচীন ঐতিহ্যগত চিকিৎসা পদ্ধতি। এর মূল লক্ষ্য হচ্ছে, দেহ ও মন তথা সার্বিক সুস্বাস্থ্য রক্ষা। আয়ুর্বেদ এখন আধুনিক বৈজ্ঞানিক গবেষণার দ্বারা প্রমাণিত একটি চিকিৎসা পদ্ধতিও বটে। সারা বিশ্বে প্রতিনিয়ত এই চিকিৎসা পদ্ধতির প্রসার হচ্ছে। জটিল ও কঠিন রোগ তথা এ শতাব্দীর বড় চ্যালেঞ্জ অসংক্রামক ব্যাধিসমূহের চিকিৎসায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা উপকৃত হচ্ছেন এই পদ্ধতির মাধ্যমে।

আয়ুর্বেদের লক্ষ্য হচ্ছে খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাপন পদ্ধতির বিষয়ে নির্দেশনা দান করা, যাতে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী ব্যক্তিরা তাদের সুস্বাস্থ্য রক্ষা করে চলতে পারেন এবং যারা স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন তারা তাদের স্বাস্থ্যের উন্নতি সাধন করতে পারেন। প্রাকৃতিক এই চিকিৎসা পদ্ধতি আমাদের সার্বিক ব্যবস্থার একটি ধারণা দেয়- যা আমরা স্বাস্থ্যকর খাদ্য, ওষুধ ও ব্যায়ামের মাধ্যমে রোগব্যাধি থেকে মুক্ত থাকতে পারি। আমরা হয়তো অনেকেই জানি না যে, অনেক আধুনিক ওষুধ প্রাকৃতিক এই ঐতিহ্যগত চিকিৎসা পদ্ধতিকে অনুসরণ করে তৈরি করা হয়েছে।

উন্নয়নশীল দেশসমুহের প্রায় ৮০ ভাগ মানুষ তাদের প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যার জন্য এই ভেষজভিত্তিক ঐতিহ্যগত চিকিৎসা পদ্ধতির ওপর নির্ভরশীল। এখনো পর্যন্ত প্রায় ৫০০ ধরনের উদ্ভিদ ঔষধি গুণসম্পূর্ণ বলে প্রমাণিত হয়েছে।

ঐতিহ্যগত এই চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহারের একটি সুবিধা হলো এই যে, ব্যয়বহুল বিদেশি ওষুধ আমদানির ওপর আমরা নির্ভরশীলতা কমিয়ে ফেলতে পারি, তার পরিবর্তে আমরা স্থানীয় সম্পদ ব্যবহারের মাধ্যমে নিজেরাই কম খরচের ওষুধ তৈরি করতে পারি।

আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান এটাকে উলেস্নখযোগ্য চিকিৎসা পদ্ধতি হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করেছে। এই চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে যে বিভিন্ন রোগ আরোগ্য করা সম্ভব সে বিষয়ে পশ্চিমা বিজ্ঞানীরা স্বীকার করেছেন।

ভারত ও চীনের দিকে তাকালে দেখতে পাই, এই দুটো দেশ তাদের স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে ঐতিহ্যগত পদ্ধতি অনুসরণ করে ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছে। শ্রীলংকা, ভুটান, নেপাল ও পাকিস্তানেও এই চিকিৎসা পদ্ধতির প্রতি জনপ্রিয়তা বাড়ছে।

ভারত তার কমিউনিটি স্বাস্থ্য সমস্যার মোকাবিলায় এই পদ্ধতি ব্যবহার করেছে। শ্রীলংকাতে বিকল্প চিকিৎসা বিষয়ে আলাদা একটি মন্ত্রণালয় রয়েছে। বাংলাদেশ যে সমস্ত স্বাস্থ্য সমস্যাসমূহ মোকাবিলা করছে এক্ষেত্রে বলা যায়, আমাদের সব চিকিৎসা ব্যবস্থার অন্বেষণ ও উন্নয়ন করা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।

প্রাকৃতিক এই চিকিৎসা ব্যবস্থা আমাদের কাছে অধিকতর গ্রহণযোগ্য ব্যবস্থা হিসেবে চিহ্নিত হতে পারে এ অর্থে যে, এটা আমরা সহজেই পেতে পারি এবং এটা আমাদের ক্রয় ক্ষমতার ভেতরেই আছে। আমাদের জন্য এখন সময় এসেছে প্রাকৃতিক এই চিকিৎসা পদ্ধতির সক্ষমতাকে মূলধারায় অধিকতর সুযোগ দেওয়া এবং এই ক্ষেত্রে কর্মরত জনশক্তিকে ইতিবাচকভাবে ব্যবহার করা।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে শতভাগ কার্যকরী এখনো কোনো প্রতিষেধক নেই। আক্রান্তদের কীভাবে চিকিৎসা হবে, তারও কোনো নির্ভরযোগ্য, সর্বজনগ্রাহ্য পদ্ধতি বলতে গেলে নেই। আতঙ্কিত মানুষ সুস্থ থাকার উপায় খুঁজে বেড়াচ্ছেন। এই খোঁজ থেকেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে কাঁচা হলুদ, কাঁচা রসুন, লবঙ্গ, দারুচিনি, তুলসীপাতা, পাতিলেবু, আমলকী বা টক জাতীয় ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ খাবারসমূহ। বাজারে হঠাৎই বেড়ে গেছে শাক-সবজিরও চাহিদা- যা কিনা প্রাকৃতিকভাবে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। অনেকে সুস্থও আছেন এসব ভেষজ প্রাকৃতিক উপাদান গ্রহণ করে।

অজানা এ কোভিড ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আয়ুর্বেদ তথা ভেষজ ওষুধ, প্রাকৃতিক উপাদানসমূহ গ্রহণযোগ্য হতো যদি তার স্বপক্ষে প্রথাসিদ্ধ উপায়ে গবেষণালব্ধ বৈজ্ঞানিক তথ্য থাকতো।

যদিও ভারতীয় উপমহাদেশে হাজার হাজার বছর ধরেই ঐতিহ্যবাহী ভেষজ চিকিৎসা প্রচলিত আছে কিন্তু সেভাবে গবেষণা হয়নি, যা হওয়া উচিত ছিল। সে কারণে হয়তো অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসকরা আয়ুর্বেদ, ইউনানী বা হোমিওপ্যাথিক ওষুধকে কোনো গুরুত্বই দিতে চান না। কোষের অণুবীক্ষণিক পর্যবেক্ষণে তারাও যে মানবদেহে রোগ প্রতিরোধী ক্ষমতাকে উৎসাহিত করে, এমন লক্ষণ দেখা গেছে। কাজেই সঠিক পথে গবেষণা হলে এমনো হতে পারতো যে, আয়ুর্বেদ তথা ভেষজ উপাদানগুলোই কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারতো। কিন্তু সেই গবেষণার উদ্যোগের বরাবরই অভাবই থেকে গেছে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে।

আয়ুর্বেদ অ্যান্ড ন্যাচারোপ্যাথি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আয়ুন্স) ঐতিহ্যগত চিকিৎসা পদ্ধতির উন্নয়নে প্রায় একযুগ ধরে কাজ করে আসছে। আয়ুন্স মনে করে, এই খাতে উন্নয়ন সাধন করা গেলে আমরা স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপক উন্নতি অর্জন করতে পারব। এই জন্য আয়ুন্স এই চিকিৎসা পদ্ধতির ওপর আমাদের দেশে ব্যাপকভাবে গবেষণা চালানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে।

কিন্তু এই সেক্টরে আমাদের দেশে বেশ কিছু সমস্যা আছে যেগুলো দূরীভূত করতে পারলে আমরা এই সেক্টরে উন্নতি অর্জন করতে পারব। সরকারের অধিক পৃষ্ঠপোষকতা, ইউনানী ও আয়ুর্বেদ গ্র্যাজুয়েট ও ডিপেস্নামা চিকিৎসকদের বিভিন্ন হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে নিয়োগদানের ব্যবস্থা করা। উচ্চ শিক্ষার ব্যবস্থা করা। দেশের প্রতিটি বিভাগে ১টি করে আয়ুর্বেদ ও ইউনানী মেডিকেল কলেজ স্থাপন ও প্রতিটি জেলায় ভেষজ বাগান তৈরি করতে হবে। ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক ওষুধ যাতে মানসম্মতভাবে তৈরি করা হয় সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

বিশুদ্ধ আয়ুর্বেদ-ইউনানী চিকিৎসা, ওষুধ এখন সময়ের দাবি। দেশের জনগণ বিশেষ করে শিক্ষিত সচেতন ব্যক্তিদের এখন চাহিদা ভেজাল ও কেমিক্যালমুক্ত বিশুদ্ধ ভেষজ ওষুধ। সঠিক ও কার্যকরী নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা না থাকার কারণে মুনাফা লোভী চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসাকারীদের দৌরাত্ম্যের কারণে সত্যিকারের চিকিৎসকরা অবহেলিত, নিগৃহীত। তাই অনতিবিলম্বে এই সিস্টেমকে মনিটর করার জন্য বিএমডিসির মতো স্বতন্ত্র একটি কাউন্সিল গঠন কর জরুরি দরকার হয়ে পড়েছে।

আমাদের দেশের অধিকাংশ জনগণ নিন্ম ও নিন্মমধ্য আয়ের। জটিল ও কঠিন রোগের জন্য আমাদের এ জনগোষ্ঠীর অনেকের পক্ষেই বিপুল অর্থ ব্যয় করে চিকিৎসা কাজ চালানো দুরূহ ব্যাপার। অথচ ঐতিহ্যগত চিকিৎসা পদ্ধতিতে একজন মানুষ অল্প খরচেই জটিল ও কঠিন রোগের চিকিৎসা সুবিধা গ্রহণ করতে পারে। প্রাকৃতিক পদ্ধতি হওয়ায় এই পদ্ধতিতে চিকিৎসার কোনো বিশেষ নেতিবাচক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই- যা অ্যালোপ্যাথির আধুনিক পদ্ধতিতে লক্ষ্য করা যায়।

সংশ্লিষ্ট সবাই যদি সচেতন ও আন্তরিকতা নিয়ে এগিয়ে আসেন এবং ইতিবাচক ভূমিকা পালন করেন, তাহলে প্রাকৃতিক চিকিৎসা পদ্ধতিতে করোনা মোকাবিলাসহ আমাদের স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে একটি উলেস্নখযোগ্য ভূমিকা পালন করতে পারে। তাই প্রাকৃতিক চিকিৎসা তথা আয়ুর্বেদ ও ইউনানী চিকিৎসা বিষয়ে জনগণের মাঝে সচেতনতা তৈরি করা দরকার এবং এই চিকিৎসা পদ্ধতির গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোর জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।

ডা. সমীর কুমার সাহা : পাবলিক হেল্‌থ ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশের ভাইস চেয়ারম্যান

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে