সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

জাল টাকার বিস্তার রোধে কঠোর পদক্ষেপ নিন

নতুনধারা
  ০৪ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০

কিছুতেই জাল টাকার বিস্তার রোধ করা যাচ্ছে না। বিশেষ করে ঈদকে কেন্দ্র করে প্রতি বছরই জাল টাকার বিস্তার ঘটে। এক প্রতিবেদনে প্রকাশ, রাজধানীর রমনা মডেল থানা এলাকা থেকে এক লাখ টাকার জাল নোটসহ ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. মামুন শেখ ও মো. মেশকাত চৌধুরী। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে রমনা মডেল থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে বলেও তিনি জানান

জাল টাকার বিষয়ে এর আগে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। ঘরেই টাকা তৈরির কারখানা বানিয়েছিলেন জীবন ও তার দলের সদস্যরা। এই দলের দুজন আবার ডিপেস্নামা ইঞ্জিনিয়ার। একটি খ্যাতনামা ফোন কোম্পানিতে নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কাজ করতেন তাদের একজন। এক নারীসহ দলের চার সদস্যকে আটক করে পুলিশের গোয়েন্দা (গুলশান) বিভাগ (ডিবি)। দলনেতা জীবনের আগেও জাল টাকা তৈরির দায়ে দুইবার গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। বেরিয়ে আবার জাল টাকা বানাতে শুরু করেছেন। জীবনকে বেশ কিছুদিন ধরে পুলিশ অনুসরণ করছিল। অবশেষে তিনি ধরা পড়েন। আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে জাল ৪৬ লাখ টাকা ও জাল টাকা তৈরির সামগ্রীও জব্দ করেছে পুলিশ। খাটের তলায়, জাজিমের নিচে, আলমারিতে কাপড়চোপড়ের ভেতর থেকে পুলিশ ওই জাল টাকা বের করে আনে।

মুদ্রা জালিয়াতির সঙ্গে জড়িতরা এই কাজে বেশ 'অভিজ্ঞ' এবং তারা গ্রেপ্তার হলে আইনের ফাঁকফোকরে জামিন নিয়ে বেরিয়ে একই কাজে ফের সম্পৃক্ত হয়। তাদের স্বপ্ন রাতারাতি বিশাল বিত্ত বৈভবের মালিক হওয়া। তারা আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে বের হয়ে পুনরায় একই কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যায়। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যাদের আমরা গ্রেপ্তার করছি, তাদের অতীত ইতিহাস ঘেঁটে দেখা গেছে আগেও বিভিন্ন সময় গ্রেপ্তার হয়েছে, তারপর জামিনে রেবিয়ে তারা পুনরায় একই কাজে সম্পৃক্ত হচ্ছে।

মুদ্রা জাল করার সঙ্গে জড়িত অধিকাংশই জামিন বেরিয়ে আসার বিষটি উদ্বেগজনক। জাল মুদ্রার কারবারিদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে মামলা হলেও অপরাধীদের অধিকাংশই খালাস পেয়ে যায়। যে এলাকা থেকে জাল নোটের কারবারিকে ধরা হলো সেই এলাকায় স্থানীয় কাউকে সাক্ষী করা হলো। সেই সাক্ষী দুই-একবার আদালতে সাক্ষ্য দিতে আসার পর পরবর্তী সময়ে আর আসেন না। তো দেখা গেল সাক্ষীর অভাবে আসামি খালাস পেয়ে গেল। মুদ্রা জালকরণ, প্রস্তুত, ক্রয়-বিক্রয়সহ সংশ্লিষ্ট কাজে জড়িতদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইন ও দন্ডবিধি কয়েকটি ধারায় মামলা করা হলেও পুরনো আইনের 'দুর্বল ধারার' কারণে অপরাধীরা বেরিয়ে যায়।

\হআশার কথা, জাল মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে দেশে প্রথমবারের মতো একটি নতুন ও পূর্ণাঙ্গ আইন করা হচ্ছে। এতে অপরাধীদের কঠিন শাস্তির পাশাপাশি গ্রাহক হয়রানি বন্ধে রাখা হচ্ছে বেশ কিছু বিধান। আমরা মনে করি, এখন নতুন যে আইন হচ্ছে সেই আইনে বিচারের পদ্ধতি যেন সহজ হয়। তিন মাসের মধ্যে এসব অপরাধের বিচার সম্পন্ন করতে পারলে অপরাধীরা সাজা পাবে এবং এই অপরাধ কমে আসবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে