রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

১০ জেলায় ১৬ জনের প্রাণহানি সড়ক নিরাপদ করতে হবে

নতুনধারা
  ০১ মে ২০২৩, ০০:০০

যাতায়াতজনিত দুর্ঘটনা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। দেশের কোনো না কোনো অঞ্চলে দুর্ঘটনায় মানুষ মারা যায়। বিশেষ করে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃতু্যর বিভীষিকা থেকে কিছুতেই যেন রক্ষা নেই এ দেশের মানুষের। কিন্তু ভয়াবহ এ দুর্ঘটনাগুলো কেন হচ্ছে কারা এর জন্য দায়ী তা শনাক্ত করে দায়ীদের শাস্তি নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মনোযোগ ও তৎপরতা চোখে পড়ছে না। দুর্ঘটনা প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করার কারণেই এর পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। যথাযথ পদক্ষেপ না নেওয়ার কারণেই এ দেশের মানুষ আপনজন হারিয়ে চোখের পানি ঝরাচ্ছে আর নিঃস্ব হচ্ছে অসংখ্য পরিবার। অথচ কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কার্যকর উদ্যোগ নিলে দুর্ঘটনা রোধ করা সম্ভব।

এক প্রতিবেদনে প্রকাশ, দেশের ১০ জেলায় সড়কে প্রাণ হারিয়েছেন ১৬ জন। এর মধ্যে গোপালগঞ্জে ৪ জন, সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে ২ জন, বগুড়ার আদমদীঘিতে ২ জন, ময়মনসিংহের ভালুকায় ২ জন, গাজীপুরের শ্রীপুর, ঢাকার কেরানিগঞ্জ, দিনাজপুরের ফুলবাড়ী, নাটোরের গুরুদাসপুর, জয়পুরহাটের আক্কেলপুর ও বাগেরহাটের ফকিরহাটে একজন করে নিহত হয়েছেন।

এ দেশের সড়ক নিরাপদ হওয়া খুব জরুরি। খুনখারাবির চেয়ে সড়কেই মানুষ মরছে বেশি। প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষ মরছে, আহত হয়ে পঙ্গু হচ্ছে শত শত মানুষ। যখন দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটছে, লাশের মিছিল ভারী হচ্ছে- তখন সামগ্রিক পরিস্থিতি আমলে নেওয়া এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ অপরিহার্য। বিপজ্জনক অভারটেকিংও সড়ক দুর্ঘটনার জন্য দায়ী। এ ছাড়াও রেলক্রসিং ও মহাসড়কে হঠাৎ যানবাহন উঠে আসা, ছোট যানবাহন ক্রমেই বৃদ্ধি, বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে সার্ভিস লেন না থাকায় ইজিবাইক, রিকশা, অটোরিকশা মহাসড়কে নেমে আসা, গুরুত্বপূর্ণ জংশনে, রাস্তার মোড় ও বাস স্টপেজগুলোতে যানজট তৈরি করায় দুর্ঘটনার ঝুঁকি অনেকাংশ বাড়িয়ে দিচ্ছে। সঙ্গত কারণেই, এই বিষয়গুলোকে আমলে নিয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে। যাত্রী ও পথচারীদের অসতর্কতা, চালকের অদক্ষতা, চালকের বেপরোয়া মনোভাব, চলন্ত অবস্থায় মোবাইল বা হেডফোন ব্যবহার, মাদক সেবন করে যানবাহন চালানো, ট্রাফিক আইনের দুর্বল প্রয়োগ ও ট্রাফিক আইন অমান্য করা, সড়কে চাঁদাবাজি ও রাস্তার পাশে হাটবাজারও বাড়িয়েছে দুর্ঘটনার পরিমাণ- এমনটিও আলোচনায় এসেছে বারবার। এর আগে নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেছে। নানা প্রতিশ্রম্নতি সত্ত্বেও সড়ক নিরাপদ হয়নি। অন্যদিকে, ট্রেন ও নৌ দুর্ঘটনাও ঘটছে। সঙ্গত কারণেই সামগ্রিক পরিস্থিতি আমলে নিয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে। একের পর এক ভয়াবহ দুর্ঘটনা কেন ঘটছে, তা আমলে নিতে হবে এবং দুর্ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দোষীদের শনাক্ত করে শাস্তিও নিশ্চিত করতে হবে। দুর্ঘটনার প্রধান কারণগুলো চিহ্নিত করে যত দ্রম্নত সম্ভব সর্বাত্মক উদ্যোগ গ্রহণ করা জরুরি এবং এর কোনো বিকল্প নেই।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে