সোমবার, ০২ অক্টোবর ২০২৩, ১৭ আশ্বিন ১৪৩০
walton

বঙ্গবন্ধুর বিশ্ব শান্তি পরিষদের সর্বোচ্চ সম্মান 'জুলিও কুরি' পুরস্কারে ভূষিত হওয়ার ৫০ বছর

বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে তারই সুযোগ্য কন্যার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ২৩ মে ছিল, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি শান্তি পুরস্কার প্রাপ্তির সুবর্ণজয়ন্তী। জাতির পিতার প্রতি রইল বিনম্র শ্রদ্ধা।
ড. ফোরকান উদ্দিন আহাম্মদ
  ৩১ মে ২০২৩, ০০:০০

সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলো ক্রমে ক্রমে হিংস্র হচ্ছে একক আধিপত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে। পৃথিবীর মানুষ আজ একটি নতুন মানবিক বিশ্ব ব্যবস্থা প্রত্যাশা করলেও মানুষকে কিছুতেই মানবিক করা যাচ্ছে না। এই মুহূর্তে শান্তির বাণী আরো বেশি করে উচ্চারণ করা দরকার। একবিংশ শতকের এই চরম উৎকর্ষের কালেও জুলিও কুরি শান্তি পদকের প্রয়োজনীয়তা বিশ্বব্যাপী অনুভূত হচ্ছে। জুলিও কুরি বিশ্ব শান্তির ক্ষেত্রে এমনই একটি গৌরবদীপ্ত পদক- যার মাধ্যমে দেশ, জাতি, সমাজ, সম্মান ও মর্যাদার ক্ষেত্রে বিশ্বজনীনতা লাভ করতে সক্ষম হয়। বাংলাদেশ বিশ্ব শান্তি পরিষদের সদস্য হিসেবে বঙ্গবন্ধু বিশ্ব শান্তিপদক বিষয়টিতে আগামী দিনে আমাদের ভবিষ্যৎ গবেষণাধর্মী কার্যক্রমের মাধ্যমে তাকে প্রাতিষ্ঠানিকতার দ্বারপ্রান্তে উপনীত করা যায়।

১০ অক্টোবর, ১৯৭২ সালে বিশ্ব শান্তি পরিষদের প্রেসিডেন্সিয়াল কমিটির সভায় পৃথিবীর ১৪০টি দেশের এই পরিষদের ২০০ প্রতিনিধির উপস্থিতিতে বঙ্গবন্ধুকে জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। শোষিত ও বঞ্চিত জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে তথা বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর অসাধারণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে বিশ্ব শান্তি পরিষদের সর্বোচ্চ সম্মান 'জুলিও কুরি' পুরস্কারে ভূষিত করা ছিল তৎকালীন বিশ্ব পরিস্থিতিতে অসামান্য একটি ঘটনা। পরের বছর ১৯৭৩ সালের ২৩ মে বিশ্ব শান্তি পরিষদের উদ্যোগে ঢাকায় অনুষ্ঠিত এশীয় শান্তি সম্মেলনে বঙ্গবন্ধুকে 'জুলিও কুরি' পদক প্রদান করেন ওই পরিষদের সেক্রেটারি জেনারেল রমেশ চন্দ্র। সেসময় এশিয়ান পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি কনফারেন্স অনুষ্ঠান উপলক্ষে বিশ্ব শান্তি পরিষদ ঢাকায় দুই দিনব্যাপী এক সম্মেলনের আয়োজন করে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে বিশ্ব শান্তি পরিষদের শাখাগুলোর নেতারা এই সভায় মিলিত হন। বিশিষ্ট ব্যক্তিরা ছাড়াও আপসো, পিএলও, এএমসি সোয়াপো ইত্যাদি সংস্থার অনেক প্রতিনিধি সে সময় উপস্থিত হয়েছিলেন। অনুষ্ঠানে ভারতের ৩৫ জন প্রতিনিধির নেতা কৃষ্ণমেনেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শান্তি আন্দোলনের প্রখ্যাত নেতা জন রিডও উপস্থিত ছিলেন। সেদিন ঢাকায় অনুষ্ঠিত ওই এশীয় শান্তি সম্মেলনের ঘোষণায় উপমহাদেশে শান্তি ও প্রগতির শক্তিগুলোর অগ্রগতি নিশ্চিত করে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭১ সালের ফ্যাসিবাদ বিরোধী, সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী সংগ্রামের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়। ফ্যাসিবাদবিরোধী, সাম্রাজ্যবাদবিরোধী সংগ্রামকে বিশ্ব মানবতার ইতিহাসে চির অম্স্নান করে রাখার লক্ষ্যে বিশ্ব শান্তি পরিষদর ১৯৭৩ সালের ২৩ মে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জুলিও কুরি শান্তি পদকে ভূষিত করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জুলিও কুরি পদক প্রদানের পেছনে কাজ করেছে বহু গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি ফ্যাসিবাদ ও বর্ণবাদবিরোধী সংগ্রামে অসামান্য ভূমিকা রেখেছেন। সন্ত্রাস ও সাম্রাজ্যবাদবিরোধী আন্দোলনের জন্য তিনি অবিস্মরণীয় হয়ে আছেন। বিশ্বের নির্যাতিত, নিপীড়িত ও অসহায় মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি ছিলেন নিবেদিতপ্রাণ। তার ছিল শিশুদের প্রতি অগাধ ভালোবাসা। বাংলা ভাষাও বাঙালি জাতির সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি নিরলস পরিশ্রম করে গেছেন। তিনি ছিলেন একজন অসাম্প্রদায়িক নেতা। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের জন্য তিনি আমাদের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন। বঙ্গবন্ধু কর্তৃক জুলিও কুরি পদক প্রাপ্তি ছিল এক বিরল সম্মানের বিষয়। এই অর্জন ছিল এক ঐতিহাসিক অর্জন। এই অর্জনের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্বে এক সম্মানের কাতারে আসীন হয়েছে। এই পদক অর্জনের বিষয়কে শুধু তালিকাভুক্ত একটি পদক হিসেবে দেখাই আমাদের কর্তব্য হবে না। আমাদের কর্তব্য হবে এই পদকের তাৎপর্যগত দিক নিয়ে আলোচনা করা। সেমিনার ও কর্মশালার আয়োজন করা। তবে শুধু আলোচনার মাধ্যমে থাকাই আমাদের দায়িত্ব হবে না। এই পদক অর্জনের কার্যক্রমকে গবেষণা কার্যক্রমের আওতাভুক্ত করে তাকে সুদৃঢ়করণ ও প্রাতিষ্ঠানিকতা দেওয়ার জন্য আমাদের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।

জুলিও কুরি শান্তি পদকের মর্যাদা ও সম্মানকে কোনো খন্ডিতভাবে দেখার অবকাশ নেই। এই বিষয়ে আমাদের সবাইকে আন্তরিক হয়ে কাজ করা উচিত। তা হলেই ভবিষ্যতে বাংলাদেশ হবে শান্তিময়, সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। জুলিও কুরি শান্তি পদকের গৌরব ও অহংকারকে আমাদের হৃদয় লালন করতে হবে। এই গৌরব ও অহংকারের শক্তিতে শক্তিমান হওয়ার মাধ্যমেই আগামী দুই হাজার একচলিস্নশ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত হয়ে একটি উন্নত দেশ হিসেবে পরিগণিত হবে এবং সে আশা করাও ভুল হবে না যে, নতুন প্রজন্মের মধ্য থেকে বঙ্গবন্ধুর আর্দশকে লালন করে জুলিও কুরি পদক অর্জনের মতো অনেক নতুন মুখের সৃষ্টি হবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শপুষ্ট ও অনুসারীদের মধ্য থেকে এ প্রত্যাশা পূরণে আগামী প্রজন্মকে স্বপ্নমুখী হতে হবে এবং স্বপ্ন পূরণের জন্য ঐকান্তিকভাবে কর্মপ্রয়াস চালাতে হবে। তা হলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মা সুখ পাবে এবং তিনি অমরত্ব লাভ করবেন। এতে লোকান্তরিত মুজিব অনেক বেশি সম্মানিত হবে। ক্রমে ক্রমে তা এক অবিনশ্বর শক্তির প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হয়ে পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ স্থায়ী শান্তির নিবাসে পরিণত হবে। সর্বোপরি বঙ্গবন্ধুর এ ঐতিহাসিক অর্জন বিশ্ব শান্তিতে অগ্রণী ভূমিকায় এক অবিস্মরণীয় মাইলফলক- যা আগামী প্রজন্মকে বিশ্ব শান্তিতে ভূমিকা রাখার ক্ষেত্রে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের ক্ষেত্রে সর্বদা প্রেরণা যুগিয়ে যাবে।

১৯৭৩ সালের ২৩ মে ঢাকায় আয়োজিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে বিশ্ব শান্তি পরিষদের প্রতিনিধিরা যোগদান করেন। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের বিশ্ব শান্তি পরিষদ আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশ্ব শান্তি পরিষদের তৎকালীন মহাসচিব রমেশ চন্দ্র বঙ্গবন্ধুকে জুলিও কুরি পদক প্রদান করেন এবং বলেন, 'বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শুধু বঙ্গবন্ধু নন, আজ থেকে তিনি বিশ্ববন্ধুও বটে।' সেদিন থেকেই বাঙালি বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে স্বীকৃত বিশ্ববন্ধু শেখ মুজিব। অনুষ্ঠানে বিশ্ববন্ধু সম্মান পেয়ে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, 'এ সম্মান কোনো ব্যক্তিবিশেষের জন্য নয়। এ সম্মান বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে আত্মদানকারী শহীদদের, স্বাধীনতা সংগ্রামের বীরসেনানীদের। জুলিও কুরি শান্তি পদক সমগ্র বাঙালি জাতির।' বিশ্বের শান্তির জন্য সর্বোচ্চ পদক হলো 'জুলিও কুরি' পদক। বিশ্বের অনেক বরেণ্য ব্যক্তিই এ পুরস্কার পেয়েছেন। বঙ্গবন্ধু ছাড়াও এ বিরল সম্মান অর্জন করেছেন ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতা প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু, কিউবার ফিদেল কাস্ট্রো, চিলির সার্ভে আলেন্দে, ফিলিস্তিনের ইয়াসির আরাফাত, ভিয়েতনামের হো চি মিন, দক্ষিণ আফ্রিকার নেলসন ম্যান্ডেলা, ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী, কবি ও রাজনীতিবিদ পাবলো নেরুদা, মার্টিন লুথার কিংসহ বরেণ্য ব্যক্তিবর্গ। বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথেই তার সুযোগ্য উত্তরাধিকারী দেশরত্ন শেখ হাসিনা বাংলাদেশসহ বিশ্বের শান্তি প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে তারই সুযোগ্য কন্যার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ২৩ মে ছিল, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি শান্তি পুরস্কার প্রাপ্তির সুবর্ণজয়ন্তী। জাতির পিতার প্রতি রইল বিনম্র শ্রদ্ধা।

আমাদের তরুণ সমাজকে '৫২-এর ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস বুঝতে হবে, '৬৬-এর ৬-দফা আন্দোলনের মর্মকথা বুঝতে হবে। '৬৯-এর গণআন্দোলনকে বুঝতে হবে, '৭১-এর স্বাধীনতা যুদ্ধকে বুঝতে হবে। '৭৫-এর নির্মম হত্যাকান্ড সম্পর্কে জানতে হবে। প্রতিবেশী দেশসমূহের আচার-আচারণকে বুঝতে হবে। এছাড়া তথ্য ও প্রযুক্তি জ্ঞানের অধিকারী হয়ে আধুনিক বিশ্বকে বুঝতে হবে। সর্বোপরি সন্ত্রাস ও দুর্নীতি মুক্ত সমাজ গঠনের প্রবক্তা হয়ে সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন নিয়ে কাজ করতে হবে। তা হলেই বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হবে এবং জাতির পিতার পাওনা জুলিও কুরির পদকের মর্যাদাগত দিক অক্ষুণ্ন্ন থাকবে। আমরা বর্তমান স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের নাগরিক। আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব হবে দেশকে ভালোবাসা। আর দেশকে ভালোবাসতে হলে তার ইতিহাস, ঐতিহ্যকে জানতে হবে এবং বুঝতে হবে। আমাদের আগামী প্রজন্মকে সে ভাবধারায় লালিত-পালিত ও পরিপুষ্ট হতে হবে। আগামী প্রজন্মকে সে লক্ষ্যে তৈরি করার জন্য তাদের বিশেষ মনোযোগী হতে হবে।

বাংলাদেশের জুলিও কুরি শান্তি অভিধায়ে আখ্যায়িত বঙ্গবন্ধু সংসদ নামীয় এই গবেষণাধর্মী প্রতিষ্ঠানটির আত্মপ্রকাশ লাভ করার পর জাতীয়ভাবে ২০১৬ সালে বঙ্গবন্ধু শান্তিপদক প্রবর্তন করেছে। পদক প্রবর্তিত হওয়ার পর থেকে এ সংগঠনটি প্রতি বছর জাতির দেশ প্রেমিক গুণীজনদের শান্তি ও মানবতায় অগ্রণী ভূমিকা রাখার জন্য বঙ্গবন্ধু শান্তি পদক প্রদান করে যাচ্ছে। প্রসঙ্গত উলেস্নখ্য যে, বঙ্গবন্ধু জুলিও কুরি সংসদ 'আমাদের জুলিও কুরি বঙ্গবন্ধু' শীর্ষক একটি পত্রিকা নিয়মিতভাবে প্রকাশনা করে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টদের অভিজ্ঞতার আলোতে আমি এ অভিমত পোষণ করছি যে, জাতীয়ভাবে এ পদক প্রবর্তনের মাধ্যমে একটি চারাগাছ রোপণ করা হলো। এ সংগঠন যদি নিরলস ও নিঃস্বার্থভাবে মানবতার জন্য কাজ করে যায়, তাহলে জাতীয়ভাবে সেবা সংহতির বন্ধন অটুট হবে। হাঁটি হাঁটি পা পা করা এ সংগঠনটির দিগন্ত একদিন প্রসারিত হবে। সম্ভাবনা ও মহিমার উজ্জ্বল আলোয় আলোকিত হবে বাংলাদেশ। সম্মানিত হবে এ দেশ, দেশের সাধারণ গরিব-দুঃখী মানুষ। দূর হবে অনাচার, শাসন, শোষণ, নির্যাতন। প্রতিষ্ঠা পাবে মূল্যবোধ আর মানবতা। মানুষ হবে মানুষের জন্য। সভ্যতার ভিত্তিভূমিতে মজবুত সমাজ বিনির্মাণ লাভ করবে। মানুষের মধ্যে মুক্তচিন্তা ও শুভবুদ্ধির উদয় হবে। প্রগতির বাণীতে শুদ্ধাচার লালন করে মাতৃভূমিতে ফলাবে নির্ভেজাল ফল ও ফসল। আজকের এ বঙ্গবন্ধুর শান্তি পদক থেকে বঙ্গবন্ধু বিশ্ব শান্তি পদক প্রবর্তিত হলে বাঙালির শ্রেষ্ঠত্ব অমরত্ব লাভ করবে এবং বিশ্বসভায় বাংলাদেশের সম্মান ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হবে। পরিশেষে বলতে পারি যে, আজকের বিশ্ব শান্তি পরিষদ এবং সচেতন বিশ্ব মানব সমাজকে সোচ্চার হতে হবে যেন বিশ্ব শান্তি পদক নামে আরেকটি শান্তি পদকের ঘোষণা আসে। বঙ্গবন্ধু বিশ্ব শান্তি পদক নামের আরেকটি পদক তালিকায় পুরস্কারের ক্ষেত্র প্রস্তুত করে বিশ্ব মানবতাকে সমুন্নত করার সময় এসেছে। ইতিহাস যদি শাশ্বত ও চিরকালের হয়ে থাকে তাহলে বিশ্ব শান্তি পরিষদ নিশ্চয়ই বঙ্গবন্ধুর নামে বিশ্ব শান্তি পদকের প্রবর্তন করে শান্তির জন্য বঙ্গবন্ধুর সমর্পিত জীবনকে চিরকালের মানুষের জন্য একটি স্বীকৃত ব্যবস্থার দ্বার উন্মোচন করে যাবেন। বিশ্ব শান্তি পরিষদের কাছে আজ আমাদের এ আহ্বান।

ড. ফোরকান উদ্দিন আহাম্মদ :সাবেক উপ-মহাপরিচালক, বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি, কলামিস্ট ও গবেষক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
X
shwapno

উপরে