শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশের ওষুধ শিল্প

ওষুধ শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের মতে, বিশ্ববাজারে দেশীয় ওষুধের রপ্তানির আকার বছর বছর বাড়লেও প্রায় ৯০ শতাংশ ওষুধের কাঁচামাল বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। এতে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা খরচ হয়ে যায়। এই পরনির্ভরশীলতা কমিয়ে আনা উচিত।
ডা. লকিয়ত উল্যা
  ০৪ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
বাংলাদেশের ওষুধ শিল্প

ওষুধ একটি জীবনরক্ষাকারী সফিস্টিকেটেড পণ্য। বাংলাদেশ আজ এই ওষুধে প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ। দেশের চাহিদার প্রায় ৯৮ শতাংশ ওষুধ বর্তমানে দেশেই তৈরি হচ্ছে। অল্প পরিমাণ ওষুধ- যা এ দেশের ফার্মাসিউটিক্যালস্‌ কোম্পানিগুলোতে তৈরি হয় না, বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। আমদানিনির্ভরতা দিন দিন কমছে, কারণ দেশীয় কোম্পানিগুলো নিজেদের সক্ষমতা বাড়াচ্ছে প্রতিযোগিতামূলক বাজার অর্থনীতির সুফল ঘরে তোলার লক্ষ্যে। এর ফলশ্রম্নতিতে এ দেশের বিশাল জনগোষ্ঠীর ওষুধের চাহিদা মিটিয়ে বৈশ্বিক বাজারেও একটি ভালো অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে এ দেশের ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলো। পৃথিবীর স্বল্পোন্নত দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশেরই বিশ্ববাজারের অন্যান্য ওষুধ কোম্পানিগুলির মধ্যে প্রতিযোগিতা করার সক্ষমতা আছে- যা ওষুধ রপ্তানির ক্ষেত্রে বিরাট সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।

বাংলাদেশে এখন বিশ্বমানের ওষুধ উৎপাদিত হচ্ছে- যার প্রমাণ স্বরূপ প্রতি বছরই ওষুধ রপ্তানি বাড়ছে। মানের দিক থেকে উচ্চমান এবং দামের দিক থেকে সাশ্রয়ী বিধায় বিদেশে বাংলাদেশে তৈরি ওষুধের বিশেষ চাহিদা রয়েছে- যা ওষুধ রপ্তানিতে বড় নিয়ামক শক্তি হিসেবে কাজ করছে। ওষুধ শিল্পে এই অর্জন নিঃসন্দেহে একটি বড় অগ্রগতি- যার শুভ সূচনা হয়েছে মূলত আশির দশকে, স্বাধীনতাপরবর্তী সময়ে।

সে সময়টায় বাংলাদেশের ওষুধ শিল্পটা ছিল মূলত বিদেশি কোম্পানিগুলোর হাতে জিম্মি, দেশীয় কোম্পানিগুলো তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে অনেকটা মাটি কামড়ে পড়ে ছিল। শতকরা ৮০ ভাগ ওষুধ সরবরাহ করত বিদেশি কোম্পানিগুলো, আর ২০ ভাগ দেশীয় কোম্পানিগুলো। এরপর তৎকালীন সরকার ১৯৭৪ সালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ঔষধ প্রশাসন পরিদপ্তর গঠন করে। এরপূর্বে ১৯৭৩ সালে দেশের জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ আমদানির লক্ষ্যে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের অধীনে একটি সেল গঠন করা হয়। কিন্তু বহুজাতিক কোম্পানির দৌরাত্ম্য এবং আধিপত্য বিস্তার নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাদের ছত্রছায়ায় এক শ্রেণির ব্যবসায়ী অধিক মুনাফা এবং অনৈতিক ব্যবসা করার সুযোগ নিতে শুরু করে। তাদের রুখতে তৎকালীন সরকার ১৯৮২ সালে ড্রাগ কন্ট্রোল অর্ডিন্যান্স বা ওষুধ নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ প্রণয়ন করে, যেখানে দেশীয় ওষুধ শিল্পের বিকাশে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়। মূলত এই পদক্ষেপটি বাংলাদেশের ওষুধ শিল্পের বিকাশে যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করেছে। সেখানে জীবন রক্ষাকারী এন্টিবায়োটিক ওষুধ, ইনজেকশনসহ সব ধরনের ওষুধের মূল্য নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করা হয়। একই সঙ্গে তালিকা করে ১৫০০-টিরও অধিক ওষুধ এ দেশে নিষিদ্ধ করা হয় এবং জাতীয় ওষুধ নীতিতে এভাবে পরিবর্তন আনা হয় যে, যেসব ওষুধ দেশীয় কোম্পানিগুলো তৈরি করতে পারে, সেগুলো আমদানি করা যাবে না। ১৫০-টির ওষুধকে অত্যাবশ্যকীয় হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়। এসব পদক্ষেপ যখন বাস্তবায়ন করা শুরু হয়ে যায়, তখন বিদেশি কোম্পানিগুলোর দৌরাত্ম্য কমতে শুরু করে আর সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ পর্যায়ক্রমে ওষুধ শিল্পে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে শুরু করে।

ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের তথ্যমতে, বাংলাদেশে বর্তমানে ২৯৫টি অ্যালোপ্যাথিক ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান আছে- যারা ৪৬ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকার ওষুধ ও কাঁচামাল তৈরি করছে। এছাড়া দেশের ২৮৪টি ইউনানি ও ২০৫টি আয়ুর্বেদিক, ৭১টি হোমিওপ্যাথিক ও ৩১টি হার্বাল ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান প্রায় ১০০০ কোটি টাকার ওষুধ উৎপাদন করছে।

তৎকালীন সরকারের এই ওষুধ নীতির ফলে বিদেশি ওষুধ কোম্পানিগুলোর একচেটিয়া বাণিজ্য থেকে দেশীয় ওষুধ শিল্প মুক্তি পায় এবং ধীরে ধীরে দেশের বাজার সম্প্রসারণ হতে শুরু করে। দেশের চাহিদা মিটিয়ে ১৯৮৫ সাল থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ওষুধ রপ্তানি শুরু করে বাংলাদেশের ফার্মাসিউটিক্যালস্‌ কোম্পানিগুলো।

ক্রমবর্ধমান এই ওষুধ শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে ১৯৮২ সালে গঠিত ড্রাগ অর্ডিন্যান্স ও জাতীয় ওষুধ নীতি পর্যালোচনা করে ২০০৫ সালে এবং সর্বশেষ ২০১৬ সালে জাতীয় ওষুধ নীতি প্রণয়ন করা হয়। ২০১০ সালে ওষুধ পরিদপ্তরকে অধিদপ্তরে উন্নীত করা হয়। এই অধিদপ্তর বর্তমানে দেশের ওষুধ নিয়ন্ত্রণের একমাত্র লাইসেন্সিং ও নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ। ওষুধ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে এসব অর্ডিন্যান্স ও নীতি ছাড়াও দ্য ড্রাগ অ্যাক্ট-১৯৪০, দ্য ড্রাগ রুলস-১৯৪৫ ও দ্য বাংলা ড্রাগ রুলস-১৯৪৬ এবং সরকারের বিভিন্ন সময়ে দেয়া নির্দেশনা অনুসরণ করা হয়।

বর্তমানে দেশে ৩০ হাজার ৫৯ কোটি টাকার ওষুধের বাজার রয়েছে- যা বছরে ২.০৪% হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে আইকিউভিআইএ-এর ৪র্থ কোয়ার্টারের ২০২৩-এর রিপোর্টে উঠে এসেছে। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায় দেশীয় ফার্মাসিউটিক্যালস্‌ কোম্পানিগুলো স্থানীয় চাহিদার ৯৮ শতাংশ পূরণ করে বিশ্বের অন্তত ১৫৭টি দেশে ওষুধ রপ্তানি করছে। বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও নীতির ফলে ওষুধ রপ্তানি ও দেশীয় বাজারের আকার প্রতিনিয়তই বড় হচ্ছে। দেশের ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলোর মধ্যে অন্তত ৫০টি কোম্পানি বড় অংকের রপ্তানি কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত। এশিয়ার ৪৩টি, দক্ষিণ আমেরিকার ২৬টি, উত্তর আমেরিকার ৬টি, আফ্রিকার ৩৯টি, ইউরোপের ৩৮টি ও অস্ট্র্রেলিয়ার ৫টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে বাংলাদেশের ওষুধ।

ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর সূত্রমতে গত ১০ বছরের রপ্তানির খতিয়ান বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৩২ হাজার ৩৩৬ কোটি টাকার ওষুধ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হয়েছে।

বাংলাদেশে তৈরি ওষুধের রপ্তানি ক্রমান্বয়ে বাড়লেও সবচেয়ে বেশি ইতিবাচক প্রভাব পড়ে করোনা মহামারিতে। এ সময় করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহৃত এন্টিভাইরাল ওষুধ রেমডিসিভির ও ফ্যাভিপিরাভির-এর রপ্তানি বেড়ে যায়। বিভিন্ন দেশের সরকারও বাংলাদেশ থেকে এসব ওষুধ ক্রয়ের চাহিদাপত্র পাঠায় ও আগ্রহ প্রকাশ করে। এ সময় এককভাবে রেমডিসিভির ওষুধ রপ্তানি হয়েছে অনেক বেশি। করোনা মোকাবিলায় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর জরুরি প্রয়োজনে বিভিন্ন প্রকার ওষুধ প্রস্তুত ও রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে। উন্নত মান ও কম দামের পাশাপাশি দ্রম্নত ওষুধ উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে বাংলাদেশের সুনাম বিশ্বজুড়ে।

তৈরি পোশাক শিল্পের পরেই ওষুধ শিল্পের অবস্থান এবং অতীব সম্ভাবনাময় একটি সফিস্টিকেটেড শিল্প। বিভিন্ন ধরনের ভ্যাকসিন উৎপাদন, দেশীয় চাহিদা পূরণ, আন্তর্জাতিক মানসম্মত ওষুধ উৎপাদন, বাংলাদেশে উৎপাদিত বিভিন্ন ওষুধ বিদেশে রপ্তানি- সবখানেই এই খাতের সাফল্য এখন আকাশ ছোঁয়া। এসবই সম্ভব হয়েছে এই খাতের মেধাবী উদ্যোক্তা, ফার্মাসিস্ট, কেমিস্ট, বায়োকেমিস্ট, বায়োটেকনোলস্টি, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ারদের নিরলস পরিশ্রম এবং সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর ধারাবাহিক সহযোগিতার কারণে। এক সময় কারো কল্পনাতেও ছিল না যে, ইউরোপ, আমেরিকার মতো উন্নত দেশ বাংলাদেশে তৈরি ওষুধ কিনে খাবে। অথচ সে কল্পনা আজ বাস্তবে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশে তৈরি ওষুধ এখন আমেরিকা, ইউরোপে বিক্রি হচ্ছে। ওষুধ শিল্পের জন্য এটি নিঃসন্দেহে একটি ঈর্ষণীয় সাফল্য।

ওষুধ শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের মতে, বিশ্ববাজারে দেশীয় ওষুধের রপ্তানির আকার বছর বছর বাড়লেও প্রায় ৯০ শতাংশ ওষুধের কাঁচামাল বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। এতে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা খরচ হয়ে যায়। এই পরনির্ভরশীলতা কমিয়ে আনা উচিত।

ফিনিসড প্রোডাক্টে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন নিঃসন্দেহে একটি বড় অর্জন, ঠিক তেমনি কাঁচামালের দিক দিয়েও স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করা সমানভাবে জরুরি। তা না হলে এই ওষুধ শিল্প হুমকির মুখে পড়তে পারে।

পাশাপাশি দেশীয় ওষুধ শিল্পের বিকাশে পর্যাপ্ত গবেষণা নেই, নতুন মলিকুল বা নতুন ওষুধ আবিষ্কারে কিংবা এনালগ বা সহযোগী যৌগ নিয়ে গবেষণা হচ্ছে না- যা ভারত ও চীনে হচ্ছে। এই মৌলিক গবেষণায় বাংলাদেশ বেশ পিছিয়ে আছে। এসব বিষয় বিবেচনায় এনে সরকার মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ২১৬ একর জমিতে এক্টিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্টস বা এপিআই উৎপাদনের লক্ষ্যে এপিআই পার্ক করার উদ্যোগ নিয়েছেন- যা বাস্তবায়ন হলে এই দেশে ওষুধের কাঁচামাল উৎপাদন হবে এবং আমদানি নির্ভরতা কমবে।

এছাড়া বাংলাদেশ ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হতে যাচ্ছে। এর ফলে বাংলাদেশ এতদিন স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে ওষুধ উৎপাদনের ক্ষেত্রে যে বিশেষ সুবিধা পেয়ে আসছিল, তা রহিত হয়ে যাবে। তখন বাংলাদেশের ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলো আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী পেটেন্টকৃত ওষুধগুলো আর উৎপাদন করতে পারবে না এবং স্বল্পমূল্যে মানুষের কাছে বিক্রি করতেও পারবে না। আর যদি সেগুলো উৎপাদন করতে চায় তাহলে পেটেন্টের যথাযথ মূল্য বা রয়্যালটি পরিশোধ সাপেক্ষে উৎপাদন করতে হবে, তখন পেটেন্টকৃত ওষুধগুলোর দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাবে- যা সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাবে এবং পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ওষুধের ঘাটতি দেখা দেবে বলে কেউ কেউ মত প্রকাশ করেছেন। বিষয়টি নিয়ে সর্বমহলে ও সরকারি পর্যায়ে আলোচনা পর্যালোচনা চলছে এবং তা থেকে উত্তরণের উপায় খোঁজা হচ্ছে। কারণ, এই বিশেষ সুবিধাটি বাংলাদেশের ওষুধ শিল্প বিকাশের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

উলেস্নখ্য যে, বিশ্বের ৪৯টি স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) মধ্যে একমাত্র দেশ বাংলাদেশ, যার সক্ষমতা আছে যে কোনো ওষুধ উৎপাদন করার। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার ট্রিপস চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ ২০৩৪ সাল পর্যন্ত বিনা বাধায় অন্য দেশের যে কোনো পেটেন্ট ওষুধ উৎপাদন, বিপণন ও রপ্তানি করতে পারবে। তবে ২০২৬ সালের পর এই ট্রিপস চুক্তি অব্যাহতির পর এই সুবিধা আর পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পরেও ২০৩৪ সাল পর্যন্ত ট্রিপস চুক্তির শর্ত পরিপালনের আবশ্যকতা থেকে ছাড় পাওয়ার সুবিধা যাতে অব্যাহত থাকে, সে বিষয়ে বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রাখতে হবে।

এদিকে আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় বাংলাদেশে ওষুধের দাম এখন পর্যন্ত ৩০ শতাংশ কম বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতি। বর্তমান সময়ে ডলারের দাম বাড়ায়, তার সঙ্গে পালস্না দিয়ে অন্যান্য জিনিসের দাম বেড়ে গিয়েছে। এর ফলে ওষুধের উৎপাদন খরচ ৩০-৪৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ওষুধের গুণগত মান বজায় রেখে আগের দামে ওষুধ উৎপাদন ও বিপণন করা কঠিন হয়ে পড়েছে বলে ওষুধ শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা মত দিয়েছেন।

ওষুধ শিল্প খাত মূলত বেসরকারি পর্যায়ে একটি দ্রম্নত বর্ধনশীল শিল্প খাত- যা দেশের জাতীয় উৎপাদন (জিডিপি) ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনেও ব্যাপক ভূমিকা পালন করেছে। দেশের অভ্যন্তরে ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে চলেছে অবিরত- যা দেশের বেকারত্ব মোচনে প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখছে। এই শিল্প খাত বিশ্ববাজারে আরো সফলতা অর্জন করুক, দেশে ও বিদেশে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল হোক- এই প্রত্যাশা সবার।

ডা. লকিয়ত উল্যা : ব্যবস্থাপনা পরিচালক বায়োফার্মা লিমিটেড

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে