ভৌগোলিক অবস্থানসহ অন্যান্য কারণে কুমিলস্না বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) বরাবরই গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকায় থাকে। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতোই এখানে বিজ্ঞান অনুষদের ফার্মেসি বিষয় সবার কাছে পছন্দের শীর্ষ স্থনে। ওষুধ খাত বিবেচনায় ও চাকরির বাজারে উচ্চ চাহিদা সম্পন্ন এই বিষয়ের গুরুত্ব থাকলেও পড়াশোনায় প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে না শিক্ষার্থীরা। কুবিতে এই বিভাগ প্রতিষ্ঠার ১০ বছরের অধিক সময় অতিক্রম করলেও কাটেনি শিক্ষকসহ অন্যান্য শিক্ষা উপকরণের সংকট। বর্তমানে বিভাগটিতে পাঁচটি ব্যাচের কার্যক্রম চলমান আছে এবং নতুন আরেকটি ব্যাচ প্রবেশ করলে মোট ছয়টি ব্যাচ হবে। বিভাগে মোট ১৩ জন শিক্ষক থাকলেও বর্তমানে ছয়জন শিক্ষা ছুটি ও একজন অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে যাওয়ায় মাত্র ছয়জন শিক্ষকের ওপরই বিভাগের সব ব্যাচের পাঠদান কার্যক্রম নির্ভর করছে। বেশি বিড়ম্বনা পোহাতে হচ্ছে শিক্ষকদের, একজন শিক্ষক একাধিক কোর্স করাতে বাধ্য হচ্ছেন। ফলে তাদের পক্ষে পর্যাপ্ত ক্লাস নেওয়ার সুযোগ হচ্ছে না, ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার মান। মাত্র ছয়জন শিক্ষক নিয়েই চলছে শ্রেণি কার্যক্রম, পরীক্ষা, ল্যাব ও অফিস কার্যক্রম। এ ছাড়াও এতে শ্রেণিকক্ষ রয়েছে তিনটি যার ফলে ক্লাসরুমের সংকটে ভুগছে বিভাগটি। এতে যেমন বেগ পোহাতে হচ্ছে শিক্ষকদের, তেমনি শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা অনুযায়ী শ্রেণি কার্যক্রম না চলায় অসন্তোষও তৈরি হয়েছে। প্রয়োজনীয় শিক্ষক ও শ্রেণিকক্ষের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং প্রয়োজনীয় শিক্ষা উপকরণ নিশ্চিত করে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ কমাতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
আল মাসুম হোসেন
শিক্ষার্থী
কুমিলস্না বিশ্ববিদ্যালয়
প্রসঙ্গ :আত্মহত্যা
আত্মহত্যা নিছক একটি ঘটনা নয়। এটি দীর্ঘমেয়াদি মানসিক অবক্ষয়ের চূড়ান্ত প্রকাশ। এটি এমন একটি সংকট যা এক মুহূর্তের আবেগের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে দেখা দিলেও, আসলে এর শিকড় দীর্ঘ সময় ধরে মনের গভীরে দানা বাঁধে। হতাশা, অবসাদ, ব্যর্থতা, বিচ্ছিন্নতা- এসব অনুভূতি ধীরে ধীরে মানুষের মনকে এমন এক অবস্থায় নিয়ে যায়, যেখানে বেঁচে থাকার চেয়ে মৃতু্যই অধিকতর মুক্তির পথ বলে মনে হয়। প্রায়ই আত্মহত্যার পেছনে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা থাকে, যা সমাজে এখনো ঠিকমতো গুরুত্ব পায় না। পারিবারিক, সামাজিক বা পেশাগত চাপ, প্রিয়জনের কাছ থেকে প্রত্যাশার ভার এবং ব্যর্থতার তীব্র অনুভূতি একজন মানুষকে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত করতে পারে। আর এই বিধ্বস্ত অবস্থার চূড়ান্ত ফলাফল হলো আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়া। যদিও এটি কোনো সমস্যার সমাধান নয়, কিন্তু ব্যক্তি সেই মুহূর্তে আত্মহত্যাতেই মুক্তির অনুভূতি খুঁজে পান। সমাজে আত্মহত্যাকে ঘিরে প্রচুর ভুল ধারণা এবং অজ্ঞতা বিদ্যমান। আমরা প্রায়ই আত্মহত্যার পর ঘটনা নিয়ে আলোচনা করি, কিন্তু এর পেছনের কারণগুলোর দিকে নজর দেওয়া হয় না। যেসব মানুষ মানসিক কষ্টে ভুগছে, তাদের জন্য সহানুভূতি, সহায়তা এবং মানসিক স্বাস্থ্যসেবার গুরুত্ব অপরিসীম। সমাজকে আত্মহত্যা প্রতিরোধে আরও সচেতন এবং সহানুভূতিশীল হতে হবে।
হৃদয় পান্ডে
শিক্ষার্থী মনোবিজ্ঞান বিভাগ
ঢাকা কলেজ