নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো।
ক) ১৯৪৭ সালে কী কী ঘটেছিল? চারটি বাক্যে লেখো।
উত্তর : ১৯৪৭ সালে যা যা ঘটেছিল-
১) প্রায় দুইশ বছরব্যাপী চলা ব্রিটিশ শাসনের অবসান ঘটে।
২) পাকিস্তান নামক নতুন একটি রাষ্ট্র গঠিত হয়।
৩) সে রাষ্ট্রের একটি অংশ করা হয় আমাদের এই ভূখন্ডটিকে।
৪) এই ভূখন্ডের নাম হয় পূর্ব পাকিস্তান।
খ) মুক্তিযুদ্ধের আগে আমরা কীভাবে পাকিস্তানি স্বৈরশাসকদের নির্যাতনের শিকার হই? চারটি বাক্যে লেখো।
উত্তর : মুক্তিযুদ্ধের আগে আমরা পাকিস্তানিদের বিভিন্ন ধরনের অত্যাচার, নির্যাতনের শিকার হই।
১) পাকিস্তান নামক স্বাধীন রাষ্ট্রের অংশ হলেও পশ্চিম পাকিস্তানের স্বৈরশাসকদের হাতে পরাধীন অবস্থাতেই থেকে যায় পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ।
২) তাদের সব ধরনের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়।
৩) নানাভাবে নিষ্পেষণের শিকার হয় তারা।
৪) এমনকি মাতৃভাষা বাংলায় কথা বলার অধিকারও কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়।
গ) মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে যা জানো পাঁচটি বাক্যে লেখো।
উত্তর :মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে যা জানি তা নিচে পাঁচটি বাক্যে লেখা হলো-
১) পশ্চিম পাকিস্তানিদের শোষণ-নির্যাতনের প্রতিবাদে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছিল।
২) বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে এদেশবাসী মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।
৩) দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধারা দেশকে শত্রম্নমুক্ত করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন।
৪) মুক্তিযুদ্ধ চলেছে নয় মাস ধরে।
৫) ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আমরা চূড়ান্ত বিজয় লাভ করি।
ঘ) ১৬ ডিসেম্বর আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কেন?
উত্তর : ১৬ ডিসেম্বর আমাদের জন্য অত্যন্ত গৌরবপূর্ণ একটি দিন। কেননা এ দিনেই পাক-হানাদার বাহিনীর কবল থেকে এ দেশ শত্রম্নমুক্ত হয়। অর্থাৎ এ দিনেই আমরা চূড়ান্ত বিজয় ও স্বাধীনতা লাভ করি।
যুক্তবর্ণ বিভাজন ও বাক্যে প্রয়োগ
নিচের শব্দগুলো থেকে যুক্তবর্ণ আলাদা করে ভেঙে দেখাও এবং তা দিয়ে একটি করে শব্দ গঠন করে বাক্যে প্রয়োগ দেখাও।
ঙ্গ, ন্দ, দ্র, ষ্ঠ, স্ত।
উত্তর :
ঙ্গ = ঙ্ + গ - হাঙ্গামা -হাঙ্গামা দেখে স্যার ক্লাসে ঢুকলেন।
ন্দ = ন্ + দ-ছন্দ -ছড়াটির ছন্দ খুব মজার।
দ্র = দ্ + র-ফলা ( ্র ) - দ্রব্য - দিন দিন পণ্যদ্রব্যের দাম বাড়ছে।
ষ্ঠ = ষ্ + ঠ-ষষ্ঠ - সেলিম ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র।
স্ত = স্ + ত -ব্যস্ত- বাবা আজ সারা দিন ব্যস্ত থাকবেন।
এককথায় প্রকাশ/ক্রিয়াপদের চলিতরূপ লিখন
এককথায় প্রকাশ করো :
ক) মুক্তির জন্য যে সেনা লড়াই করে = মুক্তিসেনা
খ) শ্যামবর্ণ বিশিষ্ট = শ্যামল
গ) মুক্তির জন্য যে যুদ্ধ = মুক্তিযুদ্ধ
ঘ) হানা দিয়ে আক্রমণ করে যারা = হানাদার
ঙ) ভাগ্য খারাপ যার = দুর্ভাগা।
ক্রিয়াপদের চলিত রূপ লেখো।
করিয়াছিল, ভুলিবে, লইতে, হইয়াছে, মারিল।
উত্তর :
ক্রিয়াপদ চলিতরূপ
করিয়াছিল করেছিল
ভুলিবে ভুলবে
লইতে নিতে
হইয়াছে হয়েছে
মারিল মারল
বিপরীত/সমার্থক শব্দ লিখন
নিচের শব্দগুলোর বিপরীত শব্দ লেখো।
যুদ্ধ, বীর, ভাগ্যহীন, শহর, আজ।
উত্তর :
মূল শব্দ বিপরীত শব্দ
যুদ্ধ শান্ত
বীর ভীতু
ভাগ্যহীন ভাগ্যবান
শহর গ্রাম
আজ কাল
নিচের শব্দগুলোর সমার্থক শব্দ লেখো।
যুদ্ধ, খাজনা, জয়, আঁধার, আলো, মা।
উত্তর :
মূল শব্দ সমার্থক শব্দ
যুদ্ধ সংগ্রাম, লড়াই।
খাজনা ট্যাক্স, কর।
জয় বিজয়, জিত।
আঁধার অন্ধকার, তমসা
আলো জ্যোতি, কিরণ।
মা মাতা, জননী।
দুই তীরে
নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো :
১) কখন, কোথায় কাশফুল ফোটে?
উত্তর :শরৎকালে নদীতীরের চারপাশে কাশফুল ফোটে।
২) নদীর বালুচরে কোন কোন প্রাণীর দেখা পাওয়া যায়?
উত্তর : নদীর বালুচরে চকাচকি, বিদেশি হাঁস, কচ্ছপ ইত্যাদি প্রাণীর দেখা পাওয়া যায়।
৩) বাঁকা গলির দুই ধারে বেণুবন কেমন করে থাকে?
উত্তর : বাঁকা গলির দুই ধারে বেণুবন নিবিড়ভাবে পরস্পর জড়াজড়ি করে থাকে।
৪) সকাল-সন্ধ্যায় নদীর ঘাটে কী ঘটে?
উত্তর : সকাল-সন্ধ্যা নদীর ঘাটে গ্রামের বধূরা ভিড় করে। ছেলের দল নদীতে ভেলা ভাসিয়ে ভেসে বেড়ায়।
৫) কোন কালে কচ্ছপেরা রৌদ্র পোহায়?
উত্তর : শীতকালে কচ্ছপেরা রৌদ্র পোহায়।
৬) ঘাটে বধূর মেলা বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর : নদীর ঘাটে গ্রামের বধূরা সারাদিনই নানা কাজে আসে। কেউ পানি নেয়, কেউ কাপড় ধোয়। তারা পরস্পর কথা বলে, আনন্দ করে। দেখে মনে হয় ঘাটে যেন বধূদের মেলা বসেছে।
৭) দুই তীরে কবিতায় ওই পারের বনটি কেমন?
\হউত্তর : দুই তীরে কবিতায় নদীর ওই পারের বনটি গাছের পাতার ঘন ছায়ায় ঘেরা। বন থেকে ছোট একটি রাস্তা এসে মিশেছে নদীতে। সে রাস্তার দুই ধারে বাঁশবাগান পরস্পর জড়াজড়ি করে অবস্থান করছে।
৮) সকাল-সন্ধ্যায় ছেলের দল কী করে?
উত্তর : সকাল-সন্ধ্যায় ছেলের দল নদীতে ভেলা ভাসিয়ে ভেসে বেড়ায়।
৯) তটের চারপাশে কী ফোটে?
উত্তর : তটের চারপাশে কাশফুল ফোটে।
১০) ওই পারের বনটি কীসে ঘেরা? বনের রাস্তাটি কেমন?
উত্তর :নদীর ওই পারের বনটি গাছের পাতার ঘন ছায়ায় ঘেরা। বন থেকে ছোট একটি রাস্তা এসে মিশেছে নদীতে। সে রাস্তার দুই ধারে বাঁশবাগান পরস্পর জড়াজড়ি করে অবস্থান করছে।
১১) নদীর বালুচরে কখন কোন পাখি দেখা যায়?
উত্তর : নদীর বালুচরে শরৎকালে নীড় বাঁধে চকাচকিরা। আর শীতকালে দেখা মেলে নানা রকম বিদেশি হাঁসের।
হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়