বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১
বিজ্ঞান

পঞ্চম শ্রেণির পড়াশোনা

নতুনধারা
  ৩১ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
পঞ্চম শ্রেণির পড়াশোনা

প্রশ্ন :সম্ভাবনাময় বিকল্প জ্বালানি হিসেবে বায়ুশক্তির ব্যবহার পাঁচটি বাক্যে বর্ণনা করো।

উত্তর :বায়ুশক্তির ব্যবহার :

১. বায়ুপ্রবাহকে ব্যবহার করে অনেক কাজ করা যায়, যেমন- ঘুড়ি ওড়ানো, পাল তুলে নৌকা চালানো, গাড়ির চাকায় হাওয়া দেওয়া ইত্যাদি।

২. এখন অনেক দেশ বায়ুশক্তি কাজে লাগিয়ে বিদু্যৎ উৎপাদন করছে।

৩. অনেক দেশে কলকারখানা চালানো হয় বায়ুপ্রবাহের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে।

৪. শক্তি উৎপাদন ও সেচ কাজে বায়ুকল বা উইন্ডমিল ব্যবহার করা হয়।

৫. বিকল্প জ্বালানির উৎস হিসেবে বায়ুশক্তিকে অগ্রাধিকার দিতে হবে, কেননা বায়ুশক্তি আহরণে অবকাঠামোগত খরচ ছাড়া অন্য কোনো খরচ লাগে না এবং পরিবেশ দূষণ হয় না বলে এ শক্তি সবুজ শক্তি ও ভবিষ্যৎ জ্বালানির উৎস।

প্রশ্ন :নবায়নযোগ্য সম্পদের ৫টি ব্যবহার লেখ।

উত্তর :নবায়নযোগ্য সম্পদের ৫টি ব্যবহার হলো-

১. সূর্যের আলো ব্যবহার করে সৌর প্যানেলের মাধ্যমে বিদু্যৎ উৎপাদন করা যায়।

২. বায়ুপ্রবাহ দ্বারা উইন্ডমিলের পাখা ঘুরিয়ে বিদু্যৎ উৎপাদন করা যায়।

৩. বায়ুপ্রবাহের দ্বারা জাহাজ, নৌকা ইত্যাদি চালানো যায়।

৪. পানির স্রোত ব্যবহার করে জলজ যানবাহন চালানো সম্ভব।

৫. বিদু্যৎ উৎপাদনের জন্যও পানির স্রোতকে কাজে লাগানো যায়।

প্রশ্ন :প্রাকৃতিক সম্পদের যথাযথ ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা ৫টি বাক্যে লেখ।

উত্তর :প্রাকৃতিক সম্পদের যথাযথ ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা হলো-

১. শক্তি উৎপাদন এবং নতুন কিছু তৈরি করার জন্য আমরা প্রাকৃতিক সম্পদের উপর নির্ভরশীল।

২. জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে প্রাকৃতিক সম্পদের চাহিদাও বাড়ছে।

৩. তেল, কয়লা, প্রাকৃতিক গ্যাসের মতো কিছু সম্পদ সীমিত।

৪. অনবায়নযোগ্য সম্পদের বিকল্প আমাদের খুঁজে বের করা উচিত।

৫. বিকল্প সম্পদ খোঁজার পাশাপাশি প্রাকৃতিক সম্পদের যথাযথ ব্যবহার না করলে খুব দ্রম্নতই এসব সম্পদ পৃথিবী থেকে ফুরিয়ে যাবে।

জনসংখ্যা ও প্রাকৃতিক পরিবেশ

প্রশ্ন :পরিবেশের ওপর জনসংখ্যা বৃদ্ধির ৩টি ক্ষতিকর প্রভাব লেখ।

উত্তর :পরিবেশের ওপর জনসংখ্যা বৃদ্ধির ৩টি ক্ষতিকর প্রভাব হলো-

র. জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে বর্ধিত জনসংখ্যার জন্য বাড়িঘর, রাস্তাঘাট নির্মাণ করার জন্য বন ও ফসলের জমি ধ্বংস করা হচ্ছে, যা পরিবেশের জন্য হুমকি।

রর. জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে অধিক শস্য উৎপাদনের জন্য রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে মাটি ও পানি দূষিত হচ্ছে।

ররর. যাতায়াত ও পণ্যের চাহিদা মেটানোর জন্য কলকারখানা ও যানবাহনে জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানো হচ্ছে। ফলে বায়ু দূষিত হচ্ছে।

প্রশ্ন :অধিক খাদ্য উৎপাদনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কীভাবে অবদান রাখছে?

উত্তর : বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উন্নত ধরনের কৃষি যন্ত্রপাতি তৈরিতে সাহায্য করছে। এই উন্নত কৃষি যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে অল্প

সময় বাড়তি মানুষের চাহিদা পূরণে অধিক ফসল উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে। এ ছাড়া বর্তমানে জৈবপ্রযুক্তি ব্যবহার করে অধিক পুষ্টিসম্পন্ন ও রোগ-প্রতিরোধী উদ্ভিদ উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে। এর ফলে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এভাবেই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অধিক খাদ্য উৎপাদনে অবদান রাখছে।

প্রশ্ন : মানুষ কেন কৃষি কাজে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করছে?

উত্তর : অতিরিক্ত জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে খাদ্যের যে অতিরিক্ত চাহিদা দেখা দেয়, তা পূরণের জন্য অধিক ফসল উৎপাদন আবশ্যক। এই অধিক ফসল উৎপাদনের উদ্দেশে কৃষক জমিতে রাসায়নিক সার ব্যবহার করে থাকে। অন্যদিকে কীটপতঙ্গ অনেক সময় ফসলের ক্ষতিসাধন করে বলে ফসলের ফলন কমে যায়। এই কীটপতঙ্গ দমনের জন্য কৃষক জমিতে কীটনাশক ব্যবহার করে ফসলের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে।

সুতরাং কীটনাশক ব্যবহার করছে।

প্রশ্ন : আমরা কেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিখছি?

উত্তর : জনসংখ্যা বৃদ্ধি-সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এ ছাড়া বিজ্ঞান শিক্ষা আমাদের আচরণ পরিবর্তন এবং বিজ্ঞানের জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে জনসংখ্যা বৃদ্ধিজনিত সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই আমরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিখছি।

প্রশ্ন :জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মানুষের কী কী চাহিদা বাড়ে? বাড়তি ঘরবাড়ি তৈরি ও বাড়তি খাদ্য উৎপাদনে মাটির কী ক্ষতি হয়? ৩টি বাক্যে লেখ।

উত্তর :জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে মানুষের প্রধান চাহিদা বাড়ে খাদ্যের। এরপর কাপড়-চোপড়, থাকার জায়গা, খেলার জায়গা, চিকিৎসা ইত্যাদি। এগুলোই হচ্ছে মানুষের মৌলিক চাহিদা। আবার বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যোগ হবে পড়াশোনা, যাতায়াত, ঘর ও বাইরে খেলার চাহিদা।

বাড়তি ঘরবাড়ি তৈরি ও বাড়তি খাদ্য উৎপাদনে মাটির যে ক্ষতি হয়, তা নিচে বর্ণনা করা হলো-

১. বাড়তি ঘরবাড়ি তৈরি করতে মাটি কেটে বসতভিটা তৈরি করায় মাটি আলগা হয় এবং বৃষ্টির পানির সঙ্গে নদী বা খাল-বিলে গিয়ে পড়ে মাটির ক্ষয় হয়।

২. বাড়তি বাড়িঘর তৈরিতে গাছপালা কেটে ফেললে মাটির ক্ষয় বৃদ্ধি পায়।

৩. বাড়তি খাদ্য উৎপাদনে জমিতে অধিক পরিমাণ রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করায় মাটির উর্বরতা কমে যায়।

প্রশ্ন :বনভূমি ধ্বংসের ফলে পরিবেশের ওপর কী প্রভাব পড়ছে?

উত্তর :বনভূমি ধ্বংসের ফলে পরিবেশের ওপর বিভিন্ন ধরনের প্রভাব পড়ে থাকে। যেমন-

ক. গাছপালা কমে যাওয়ায় পরিবেশে কার্বন ডাইঅক্সাইড বেড়ে যায়। ফলে পরিবেশের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়।

খ. বনভূমি ধ্বংসের কারণে জীবের আবাসস্থল বিনষ্ট হয়। ফলে ধীরে ধীরে জীবের বিলুপ্তি ঘটে।

গ. বনভূমি ধ্বংসের কারণে বাস্তুসংস্থানের পরিবর্তন ঘটে।

ঘ. বনভূমি ধ্বংসের ফলে প্রকৃতিতে ভূমিক্ষয় ও ভূমিধস দেখা দেয়।

ঙ. বায়ুমন্ডলে অক্সিজেন ও কার্বন ডাইঅক্সাইডের ভারসাম্য বিনষ্ট হয়, যা জীবজগতের জন্য হুমকিস্বরূপ।

চ. গ্রিন হাউস প্রভাবের কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পায়, যা পৃথিবীর নিচু এলাকাগুলোর ব্যাপক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে