শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
বিশেষ সাক্ষাৎকারে রিচি সোলায়মান

দেশে এসেছি মূলত বেড়াতে

রিচি সোলায়মান- এক সময়ের ছোট পর্দায় পুরোদস্তুর ব্যস্ত অভিনেত্রী। অভিনয়ের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি নাটকও নির্মাণ করেছেন প্রযোজক হিসেবে। নব্বই দশক থেকে দর্শকদের মনে মুগ্ধতা ছড়িয়ে আসা এই অভিনেত্রী বিয়ের পর থেকে স্বামীর সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে প্রবাস জীবন কাটাচ্ছেন। তবে প্রতি বছর একবার হলেও দেশে আসেন। সম্প্রতি দেশে ফিরে নতুন নাটকে অভিনয় করছেন। এই অভিনেত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন মাতিয়ার রাফায়েল
নতুনধারা
  ১০ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০

দেশে ফিরলেন কবে? থাকছেন কতদিন?

এইতো কয়েকদিন আগে। থাকছি শীতকালীন সময়টা পর্যন্ত। তারপরেই আবার চলে যাব। সন্তানদের নিয়ে এ সময়টায় আমি দেশে এসেছি মূলত পারিবারিক কাজে বেড়াতে। এজন্যই প্রতি বছর একবার হলেও আমার দেশে আসা।

এর মধ্যে নতুন নাটকে অভিনয়

করা হয়েছে?

অনেক প্রস্তাবই আসছে। তবে আমার সন্তানদের রেখে বাইরে অভিনয়ের জন্য সময় বের করা কঠিন। কারণ তাতে তারা খুব লোনলি ফিল করে। তারপরেও এর মধ্যে একটি নাটকে অভিনয় করেছি। মাহমুদ নিয়াজ চন্দ্রদ্বীপের 'মৎস্য কন্যা'। একদিকে নাটকটিতে অভিনয় করতে পরিচালক তো খুব করে বলেছেনই অন্যদিকে দেখলাম গল্পটি খুবই অসাধারণ। সমুদ্র উপকূলে জীবন-জীবিকার তাগিদে সংগ্রাম করা এক মেয়ের গল্প নিয়ে নাটকটি। তাই আর না করতে পারলাম না। তবে এ অবসর সময়ের মধ্যে কয়েকটি নাটকে অভিনয় করার ইচ্ছে আছে।

চাইলেই তো অভিনয়ে আবার নিয়মিত

হতে পারেন?

আমি কখনোই অভিনয়ে নিয়মিত হতে চেষ্টা করিনি। যখন নিয়মিত কাজ করেছি প্রচুর নাটক করেছি। এরপর আমার ঘরসংসার হয়েছে, তখন তো আমাকে এটাকেই প্রায়োরিটি দিতে হবে- তাই না! আসলে হয়েছে কি, মানুষের- বিশেষ করে মেয়েদের জীবনে একেক সময়ে একেকটি প্রায়োরিটি আসে। এক সময়ে তো শুটিংয়ের জন্য বহু জায়গায় ছুটাছুটি করেছি। তার পরে চলে গেলাম আমেরিকায়। দুটো সন্তান হলো- সংসার দেখাশোনার কাজ বাড়ল, এখন তো আমার এইগুলোই প্রায়োরিটি।

অনেকে তো সংসার সামলেও অভিনয়ে নিয়মিত থাকেন?

আমি এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্তকেই ছোট-বড় করে দেখতে চাই না। এ নিয়ে আমি সিদ্ধান্ত দেয়ারও কেউ না। তবে আমি মনে করি আমার হাজব্যান্ড অনেক ঝুঁকিপূর্ণ একটা প্রফেশনে কাজ করে। অপরাধী ধরা, ব্যাংক রিকোভারি, এটা ওটা নিয়ে দৌড়ানো- ও কিন্তু দেশের মানুষকে সেবা দেয়। ওর কিন্তু দায়িত্ব অনেক বেশি। এখন আমিও যদি শুটিং নিয়ে পড়ে থাকি তখন আমার সন্তানদের কে দেখবে? একজনকে না একজনকে তো ছাড় দিতে হবে। আমি তো আমার ক্যারিয়ার করেছিই। আবার অনেকে আছেন বলতে পারেন, 'আমি অনেক কষ্ট করে আমার ক্যারিয়ার করেছি আমি কেন এটা হুট করে ছেড়ে দিব!' এটাও কিন্তু খারাপ না। আমি তাদের সিদ্ধান্তকেও রেসপেক্ট করি। এটা একেবারেই যার যার ব্যক্তিগত অভিমত।

\হ

সম্প্রতি যেসব নাটক হচ্ছে কেমন

মনে করেন?

সত্যি কথা বলতে কি, আমার একদমই নাটক দেখা হয় না। আমাকে আমার ঘর-সংসার নিয়েই পড়ে থাকতে হয়। সারাক্ষণ সন্তানদের দেখাশোনা, খেলাধুলার জন্য এর বাস্কেটবল ওর এটা-ওটাসহ এভরিথিং আমাকে করতে হয়। আবার আমার নিজের ব্যক্তিগত কাজও থাকে। তখন আমি এত টায়ার্ড হয়ে যাই তখন নাটক দেখার মনমানসিকতাও থাকে না। তাই এখনকার নাটক কেমন হচ্ছে বা না হচ্ছে এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্যও করতে পারব না।

নাটক সম্পর্কে ধারণা না থাকলে কীভাবে ভালো-মন্দ বুঝে অভিনয় করবেন?

এটা তো নির্ভর করবে আমার স্ক্রিপ্টের ওপর। অন্যসব নাটক দেখে আমার লাভ কি, আমি তো আমার স্ক্রিপ্টের ওপর কাজ করব। আমি আমার ক্যারেক্টার অনুযায়ী কাজ করব। আমার ডিরেক্টরের সঙ্গে কথা বলব। হোমওয়ার্ক করব। আমার হোমওয়ার্কই আমার পরিপ্রেক্ষিত। নাটকের চলমান ধারা দেখার তো দরকার নেই। ফরমেট তো সব একই।

কিন্তু চিত্রনাট্য ভালো হলেও নির্মাতা সম্পর্কে যদি ধারণা না থাকে?

এটা ঠিক নির্মাতার ওপরই সব ডিপেন্ড করে। একটা স্ক্রিপ্ট খারাপ হলেও নির্মাতা সেটা ঘষে-মেঝে ভালোভাবে প্রেজেন্ট করতে পারেন। কারণ একজন ডিরেক্টরই হচ্ছেন ক্যাপ্টেন অব অ্যাক্টিং অথরিটি। তখন স্ক্রিপ্ট খুব ভালো হলেও নির্মাতা ভালো না হলে সেটা ভালো নাও হতে পারে। এটাও ঠিক, কোনো স্ক্রিপ্ট দেখাতে রাইটার আমাকে ফোন দেন না। নির্মাতাই আমাকে ফোন দেন। তখন অবশ্য নির্মাতা সম্পর্কে পূর্ব ধারণা থাকা দরকার। সেদিক থেকে অবশ্য নির্মাতাই গুরুত্বপূর্ণ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে