শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
সা ক্ষা ৎ কা র

সব কাজই কম করতে পছন্দ করি

একাধারে মডেল, অভিনেত্রী এবং কণ্ঠশিল্পী শেহতাজ মুনিরা হাশেম। অনর্গল ইংরেজি স্পিকিংসহ জীবন-যাপনে বেশ স্টাইলিশ এ অভিনেত্রীর বর্তমান কাজসহ নানা বিষয়ে কথা বলেছেন মাতিয়ার রাফায়েল
নতুনধারা
  ১২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০

নতুন কী কাজ করছেন এখন?

এর মধ্যে আমার মোটামুটি এক-দু'টি নাটকের কাজ করা হয়েছে। বরাবরই তো আমার কম কাজ করা হয়। সর্বশেষ সাজ্জাদ ভাইয়ের সঙ্গে একটা নাটকে অভিনয় করেছি। এর মধ্যে আমার আম্মু মারা যান। এরপর থেকে আমার আর কাজ করা হয়নি। তবে গান নিয়ে আমার চর্চা চলছে। এখন আমি গানের প্রতিই একটু বেশি মনোযোগ দিতে চেষ্টা করছি। একটা মিউজিক ভিডিও তৈরি করে রেখেছি। অবশ্য আমি সুনির্দিষ্টভাবে কোনো কাজেই স্থির থাকি না।

গানের শিল্পীরা অবশ্য দীর্ঘস্থায়ী থাকেন- যদি তেমন গান থাকে- কী বলেন?

কন্সটেনটেসি থাকলে অবশ্য যে কোনো জায়গাতেই এটা হতে পারে। দুঃখজনক হলো আমার এই কন্সটেনটেসি নেই। এজন্য কন্সটেনটেসি থাকতে হয়। যেমন এটা আমার হাজব্যান্ড প্রীতমের আছে। কিন্তু আমি একেবারেই তার উল্টো। আমি খুব দ্রম্নত জায়গা বদল করি। এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় চলে যাই। কারণ আমার সবই ভালো লাগে। একটি কাজ স্থায়ীভাবে কন্টিনিউ না করে সব কাজের মধ্যে থাকতেই ভালোবাসি আমি। সংসারের সাধারণ কাজও আমি উপভোগ করি। তবে সব কাজই আমি কম করতে পছন্দ করি।

গানের মানুষকে বিয়ে করাতেই কি এখন গানে সময় দিচ্ছেন?

না, ও রকম কিছু না। আমি আগে থেকেই টুকটাক গান করতাম। একটা ব্যান্ডের সঙ্গেও ছিলাম। অবশ্য ওকে গানের জন্য মানুষের সবাই চিনে আমি সেরকম নই। তবে ওর সঙ্গে আমার ক্যারিয়ারের কোনো রিলেশন নেই। ওর সঙ্গে আমার যে রিলেশনটা হলো এটাও গানের কারণে নয়।

ক্রীড়াবিদদের স্ত্রীরা খেলা দেখতে স্টেডিয়ামে থাকেন আপনি স্টেজে যান?

না, ওর স্টেজ শো দেখার জন্য আমার যাওয়া হয় না। কোলাহলপূর্ণ মানুষ আমার পছন্দ হয় না। আমি অন্যদের মতো না। একটু স্বাধীনচেতা মানুষ। এমনকি আমার যে একটা নিজস্ব বিজনেস আছে সেখানেও আমি নিয়মিত টাইম করে বসি না। সেখানে আমার অফিসের জন্য যেসব কাজের লোক আছে তাদের ওপরই আস্থা রেখে বিজনেসটা ছেড়ে দিই। মাঝেমধ্যে খোঁজখবর নিই।

তার মানে প্রচলিত জীবন-যাপনেও অভ্যস্ত থাকতে চান?

আমি আসলে চেঞ্জিংটা পছন্দ করি। কারণ আমার ফিলিংসটা নেওয়া দরকার। আজকে গান গাইলাম আবার পরের দিন মডেল হলাম বা অভিনয় করলাম। আবার হয়ত কোথাও থেকে ঘুরে আসার জন্য ভ্রমণে বের হয়ে গেলাম। আমি নরম্যাল মানুষদের মতো না। আমি অনেক এদিক-ওদিক করি।

অনেকের ভ্রমণে থাকে ঐতিহাসিক নিদর্শনাদি কারও শুধু ন্যাচার- আপনার কি?

আমার প্রিয় শুধু ন্যাচার। কারণ আমি প্রকৃতিকে খুব ভালোবাসি। বছরে অন্তত এক থেকে দু'বার আমি এই প্রকৃতিকে দেখার জন্য কোথাও না কোথাও বেরিয়ে পড়ি। দেশের ভেতরেই হোক বা দেশের বাইরেই হোক। এর মধ্যে সামনেও কয়েক দিন পরে নতুন জায়গায় ভ্রমণে বের হব। নতুন নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া, নতুন নতুন কালচার খুঁজতে যাওয়া- এগুলো আমার খুব পছন্দের।

শোবিজটা কি তাহলে উপভোগ করতে পারছেন না?

সেরকম নয়। আসলে সুনির্দিষ্টভাবে আমার কোনো রিকোয়ারমেন্ট নেই। আমি সারা জীবনই এমনই ছিলাম। আমার যখন যেটা মন চায় তখন সেটা করি। আমি মনে করি, এ নিয়ে মাঝে-মধ্যে ব্রেক নেওয়া উচিত। কারণ লাইফ অনেক দিনের ব্যাপার।

দীর্ঘ পাঁচ বছর পরস্পরের মন বিনিময় শেষে- এখন বৈবাহিক জীবন কেমন যাচ্ছে?

খুবই ভালো। ওয়ান্ডারফুল। ভেরি নাইস। অ্যাকর্ডিং টু পস্ন্যান অ্যা ট্রুলি লাইফ অব আমাদের পরস্পরের মধ্যে একটা অবিশ্বাস্য রকমের আস্থা থাকাতে আমরা আমাদের ফ্যামিলি লাইফ নিয়ে উভয়েই খুব সুখী।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে