মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

ভোটের উৎসবে তারকারা

বিনোদন রিপোর্ট
  ০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
আঁখি আলমগীর

শেষ হলো দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। বরাবরের মতো পাঁচ বছর পর (৭ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত হলো জাতীয় সংসদ নির্বাচন। গতকাল সকাল থেকেই ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন ভোটাররা। এই নির্বাচন ঘিরে বিনোদন জগতের তারকাদের মধ্যেও ছিল বাড়তি উচ্ছ্বাস। অনেকেই নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন। তারকাঙ্গন থেকে এবারের নির্বাচনে প্রার্থী হন আসাদুজ্জামান নূর, মমতাজ বেগম, নায়ক ফেরদৌস আহমেদ, মাহিয়া মাহী ও ডলি সায়ন্তনী।

নানা আলোচনা-সমালোচনা পেরিয়ে শেষ পর্যন্ত এতে অংশগ্রহণ করেছে ২৮টি দল। ৩০০ আসনের বিপরীতে দলীয় প্রার্থী হয়েছেন এক হাজার ৫৩৪ জন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন- ৪৩৬ জন। নির্বাচনে সাধারণ মানুষের মতো তারকারাও ভোট দেন এবং দিয়েছেনও। সেই তারকাদের কে কোন আসনের ভোটার, কে কোথায় ভোট দিলেন, তাদের সঙ্গে কথা বলে যা জানা গেল, এর সংক্ষেপ এখানে প্রকাশ করা হলো-

'মনপুরা'খ্যাত গুণী নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিম ধানমন্ডির বাসিন্দা। অর্থাৎ ঢাকা-১০ আসনের ভোটার। ভোট নিয়ে ছোট বার্তা, 'ভোট দিয়ে এসেছি। আগেও ভোট দিয়েছি, অভিজ্ঞতা বেশ ভালো। কারণ, প্রতিনিধি নির্বাচন করতে ভালোই লাগে আমার।'

'আয়নাবাজি' নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরী উত্তরার বাসিন্দা। সে হিসেবে ঢাকা-১৮ আসনের ভোটার তিনি। তার ছোট্ট মন্তব্য, 'ভোট দিয়ে এসেছি। আগেও প্রতিবার ভোট দিয়েছি।'

একই আসনের ভোটার গায়িকা আঁখি আলমগীর। ভোটের দিন অর্থাৎ ৭ জানুয়ারি আবার তার জন্মদিন। তিনি বললেন, 'প্রতিবারই আমি ভোট দেই। এবারও দিয়েছি। ভোট দেওয়ার বিষয়টি আসলে আমার কাছে ঈদের আনন্দের মতো লাগে।'

'মহানগর' খ্যাত নির্মাতা আশফাক নিপুণ জানালেন, তিনি চট্টগ্রাম-৯ আসনের ভোটার। অতীতে ভোট দিলেও এবার তিনি ব্যালট পেপার হাতে তুলছেন না। অতীতে ভোট দেওয়া প্রসঙ্গে তার মন্তব্য, 'অভিজ্ঞতা ভালো। ভোট দেওয়ার পরের অভিজ্ঞতা মৃদুমন্দ।'

এবার প্রথম ভোট দেওয়ার কথা ছিল হালের হিট নির্মাতা রায়হান রাফীর। কিন্তু ঢাকায় না থাকার কারণে সেটা সম্ভব হচ্ছে না। তবে তিনি জানালেন, 'আমি গুলশান ১ এলাকার ভোটার। ঢাকা-১৭ সম্ভবত।'

অভিনেত্রী তমা মির্জা ঢাকা-১১ আসনের ভোটার। তিনি বলেছেন, 'আমি বাড্ডার নাগরিক। এটা ঢাকা-১১ আসনের মধ্যে পড়েছে। আগে একবার ভোট দিতে গিয়েছিলাম। কিন্তু কোনো কারণে দেওয়া হয়নি। এবার ভোট দেওয়ার ইচ্ছা আছে। এখন দেখা যাক।'

অভিনেতা সাজু খাদেম জানালেন, তিনি ঢাকা-১৩ আসনের ভোটার। ভোট কেন্দ্রে গিয়ে আমার ভোট আমিই দিয়েছি।'

ঢাকা-১০ আসনের ভোটার অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনা। ভোট দেওয়া প্রসঙ্গে দৃঢ় কণ্ঠে বললেন, আমি মনে করি, প্রতিটি ভোটারেরই ভোট দেওয়া উচিত। ৫ বছর আগে প্রথম ভোটার হই। তখনো ভোট দিতে গিয়েছি আমি। এবারও ভোট দিয়েছি।'

একই আসনের ভোটার চিত্রনায়িকা অধরা খান। এই আসনে প্রার্থীর তালিকায় আছেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস। ফলে একটু বেশিই উচ্ছ্বসিত অধরা। তিনি বললেন, 'আমি নিউমার্কেট এলাকায় থাকি। ঢাকা-১০ আসনের ভোটার। আগে ভোট দেওয়া হয়নি। এবার প্রথম ভোট দিলাম।'

চিত্রনায়ক ইমন ঢাকা-১৮ আসনের ভোটার। থাকেন বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায়। তিনি বলেছেন, আগেও দিয়েছি। ভোট দিতে আমার ভালো লাগে। এ ছাড়া এটা তো আমার অধিকার।'

অভিনেত্রী মৌসুমী হামিদ সাতক্ষীরা-১ আসনের ভোটার। ভোট দেওয়ার জন্য তিনি কাজ থেকে ছুটি নিয়ে গ্রামে এসেছেন। তার ভাষ্য, 'ভোট দিতেই তো গ্রামে আসা। আমি প্রথম ভোট দিয়েছিলাম ২০০৮ সালে। এবারও ভোট দিলাম।

এদিকে ঢাকা-৮ আসনের ভোটার অভিনেত্রী-নির্মাতা হৃদি হক। ভোট দেওয়া প্রসঙ্গে তার প্রতিক্রিয়া এমন, 'ভোট হচ্ছে নাগরিক অধিকার। যোগ্য নেতাকে নির্বাচিত করে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়ার অধিকার। তাই ভোটের অধিকার অবশ্য পালনীয়। আমি নিয়মিত ভোটকেন্দ্রে যাওয়া মানুষ। এবারও ভোট দিয়েছি।'

জনপ্রিয় সঞ্চালক শ্রাবণ্য তৌহিদা ঢাকা-১১ আসনের ভোটার। ভোট প্রসঙ্গে তার মন্তব্য এমন, এবার ভোট দেওয়ার জন্য কোনো কাজ রাখিনি।' তবে ভোটগ্রহণ শেষে জানা গেছে, মাহিয়া মাহী ও ডলি সায়ন্তনী ভোট দেননি। রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) থেকে ট্রাক মার্কায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন চিত্রনায়িকা মাহী। তিনি বলেন, আমি ঢাকার উত্তরার ভোটার। আমি আমার ভোট সেখানেই দিয়ে থাকি। কিন্তু এবার নিজে আমার এলাকা থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কারণে ঢাকায় নিজের ভোট দিতে পারিনি।

অন্যদিকে ডলি সায়ন্তনী পাবনা-২ (সুজানগর-আমিনপুর) আসন থেকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) থেকে নোঙর প্রতীকে প্রার্থী হন। তিনি বলেন, ক্যান্টনমেন্ট এলাকার ভোটার আমি। বারিধারায় ভোট দেই আমি। তবে পাবনায় নিজের নির্বাচন নিয়ে তৎপর থাকায় ঢাকায় আমার ভোটটা দিতে পারিনি। কারণ, আমার নির্বাচনী এলাকা পাবনা-২ এ প্রতিটি কেন্দ্রে কেন্দ্রে আমাকে সারাদিন ঘুরতে হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে