মাত্র কয়েক মাস আগেই দেশে ঘটে যায় ঐতিহাসিক ছাত্রজনতা বিপস্নব। ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট সরকার শেখ হাসিনা। বৈষম্যবিরোধী সে আন্দোলনে শহিদ হয়েছেন দুই হাজারের অধিক ছাত্র-জনতা। আন্দোলনে ছাত্রদের বিরোধিতা করা রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সঙ্গে একাত্ম হয়ে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পক্ষে কাজ করেছেন শোবিজের অনেক শিল্পী। আন্দোলন দমাতে ছিল তাদের নানা কর্মসূচি। এখনও তারা তাদের ষড়যন্ত্র অব্যহত রেখেছে। ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বর্তমান ড. ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক স্ট্যাটাস দিয়ে যাচ্ছে। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় সোহানা সাবা, রওনক হাসান।
রওনক হাসান অভিনেতার পাশাপাশি তিনি নাটকের শিল্পীদের সংগঠন 'অভিনয় শিল্পী সংঘ'র সাধারণ সম্পাদক। সংগঠনের আড়ালে হাসিনার তেল মর্দন করাই ছিল তার কাজ। সহযোগী হিসেবে ছিলেন এ সংগঠনের সভাপতি আহসান হাবিব নাসিম। দুজনই ফ্যাসিস্ট হাসিনার কট্টর সমর্থক। মানব সভ্যতার দুশমন। শিল্প-সংস্কৃতির মতো জায়গায় তাদের ঠাঁই পাওয়াই উচিত নয়। শিল্পীদের আসরে দেখা মাত্রই এদের বয়কট করা উচিত।
আওয়ামী সব কর্মসূচি বাস্তবায়নে শিল্পীদের নিয়ে নানা কার্যক্রমে অংশ নিতেন। আন্দোলনের প্রকাশ্য বিরোধিতা সত্ত্বেও তারা এখনো সরব, যা নিয়ে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তাদের পদত্যাগের দাবি করেছিলেন সংস্কারপন্থি শিল্পীরা। কিন্তু কূটকৌশলে সংস্কারের নামে পুনর্বাসন করে কমিটিতে রয়ে গেলেন তারা।
এদিকে ৬ ডিসেম্বর মুক্তি পেতে যাচ্ছে দেশের প্রেক্ষাগৃহে রওনক হাসান অভিনীত সিনেমা 'নয়া মানুষ'। এটি পরিচালনা করেছেন সোহেল রানা বয়াতি। স্বৈরাচারের দোসর একজন অভিনেতার সিনেমা নিয়ে এরই মধ্যে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। রওনক তার সিনেমা বয়কটের ডাক দিয়েছেন নেটিজেনরা।