রোববার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ২২ আষাঢ় ১৪৩২

যাত্রীদের কোয়ারেন্টিনসহ ১৫ নির্দেশনা

ম যাযাদি রিপোর্ট
  ৩০ নভেম্বর ২০২১, ০০:০০
যাত্রীদের কোয়ারেন্টিনসহ ১৫ নির্দেশনা

সারাবিশ্বে এখন আতঙ্কের নাম করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন। আর এটি প্রতিরোধে ওমিক্রন আক্রান্ত দেশ থেকে আসা যাত্রীকে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনসহ ১৫ নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। নির্দেশনাটি জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা।

রোববার রাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ১৫ দফা নির্দেশনায় এসব তথ্য দেওয়া হয়।

নির্দেশনায় বলা হয়, সাউথ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্ট

ওমিক্রন (বি.১.১৫২৯) সংক্রমণ দেখা দেওয়ায় সবাইকে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ ভ্যারিয়েন্ট সম্পর্কে সতর্ক থাকার কথা বলেছে। ইতোমধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা, নামিবিয়া, জিম্বাবুয়ে, বতসোয়ানা এবং লেসোথোরার সঙ্গে আকাশ পথে যোগাযোগ বন্ধ ঘোঘণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

তাই কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে ১৫ নির্দেশনা দেশব্যাপী মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সাউথ আফ্রিকা, নামিবিয়া, জিম্বাবুয়েসহ যেসব দেশে ইতোমধ্যে করোনাভাইরাসের এই ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়েছে সেসব দেশের যাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও স্ক্রিনিং জোরদার করতে হবে।

সব ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও অন্য জনসমাগম নিরুৎসাহিত করতে হবে।

বাসার বাইরে গেলে প্রত্যেক ব্যক্তিকে মুখ-নাখ ঢেকে চলাফেরা করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাস্ক পরতে হবে।

হোটেল ও রেস্তরাঁয় ধারণক্ষমতার অর্ধেক বা তার কম লোকের বসে খাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

সব ধরনের জনসমাগম, পর্যটন স্থান, বিনোদন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার, সিনেমা হল/থিয়েটার হল ও সামাজিক অনুষ্ঠানে ধারণক্ষমতার অর্ধেক লোক অংশগ্রহণ করতে পারবে।

মসজিদ ও উপাসনালয়ে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।

যেসব দেশে করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট চিহ্নিত হয়েছে সেসব দেশের যাত্রী ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে হবে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টারে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে হবে।

সব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে সেবাদাতা, গ্রহীতা ও স্বাস্থ্যকর্মীদের মাস্ক পরতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।

ভ্যাকসিন কার্যক্রম স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

করোনা পজিটিভ রোগীর সংস্পর্শে আসাদের কোয়ারেন্টাইন করতে হবে। করোনা উপসর্গ ও লক্ষণ থাকলে আইসোলেশন করতে হবে।

কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তিকে আইসোলেশন ও নমুনা পরীক্ষার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের বা কর্তৃপক্ষের সহায়তা নেওয়া যেতে পারে।

অফিসে প্রবেশ ও অফিস চলাকালে মাস্ক পরে থাকতে হবে।

কোভিড-১৯ সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য মসজিদের মাইক ও নিজস্ব মাইক দিয়ে প্রচারণা চালানো যাবে। ওয়ার্ড কাউন্সিলর বা স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যসহ জনপ্রতিনিধিকে সম্পৃক্ত করা যেতে পারে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে