শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

দেশে অন্তত এক ডোজ টিকা পেয়েছেন সোয়া ৯ কোটি মানুষ

ম যাযাদি রিপোর্ট
  ২২ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০

বর্তমানে দেশের মোট জনসংখ্যা ১৭ কোটি ৩ লাখ ১৭ হাজারের বেশি। করোনা মোকাবিলায় জনসংখ্যার ৭০ শতাংশকে টিকার আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে সরকার। সেই হিসাবে ১১ কোটি ৯২ লাখ ২১ হাজারের বেশি মানুষকে দেওয়া হবে করোনার টিকা। সেই লক্ষ্য পূরণের কাছাকাছি পৌঁছানোর কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

শুক্রবার অধিদপ্তর জানায়, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত করোনা টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন ৯ কোটি ২৪ লাখ ২৬ হাজার ২৩৩ জন, যা লক্ষ্যমাত্রার ৭৭.৫৩ শতাংশ। আর দুই ডোজ পেয়েছেন ৫ কোটি ৮০ লাখ ৫ হাজার ২৫৯ জন, যা লক্ষ্যমাত্রার ৪৮.৬৫ শতাংশ। এছাড়া ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সি এক কোটি ২৮ লাখ ৯৭ হাজার ৯০৯ জন টিকা পেয়েছে। এক কোটি ২৯ লাখ কিশোর-কিশোরীকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা শিগগিরই পূরণ হবে বলে আশাবাদী স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

এছাড়া ষাটোর্ধ্ব, সম্মুখ সারির কর্মী এবং স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীকে দেওয়া হচ্ছে কোভিডস টিকার তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ।

এদিকে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। ওই বছর ডিসেম্বরে শেষ দিকে সরকার যে পরিকল্পনা করেছিল, তাতে ৮০ শতাংশ বা ১৩ কোটি ৮২ লাখ ৪৭ হাজারের বেশি মানুষকে টিকা দেওয়ার কথা ছিল।

শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, 'আমাদের টার্গেট ৭০ শতাংশ মানুষকে টিকা দেওয়া। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা ছিল সাড়ে ১২ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া। সেটা আমাদের দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৭০ শতাংশ। আমাদের দেশের প্রায় এক কোটি মানুষ দেশের বাইরে আছেন। তাদের কেউ কেউ আমাদের এখান থেকে টিকা নিয়ে যায়, আবার বিদেশ থেকে কেউ কেউ টিকা নিয়ে আসেন। সে হিসাবে আমরা যে লক্ষ্যের কথা বলেছি তা ঠিক আছে।'

তিনি আরও বলেন, 'সেই সংখ্যা ধরে এখন পর্যন্ত আমরা ১৫ কোটি ১০ লাখ ডোজ টিকা দিয়েছি। প্রথম ডোজ দিয়েছি ৯ কোটি ২৪ লাখ ডোজ, দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে পাঁচ কোটি ৮০ লাখ ডোজ। আমাদের হাতে আরও প্রায় ৯ কোটি ডোজ টিকা রয়েছে। সবাই (লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী) টিকা পাবেন এমন টিকা মজুত রয়েছে।'

কোভিড-১৯ টিকাদান কমিটির সদস্য সচিব ডা. শামসুল হক বলেন, 'আমরা যখন জাতীয়ভাবে টিকাদান পরিকল্পনা করি তখন ৭০ ভাগ লোককে টিকা দিতে হবে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার এমন সুপারিশ ছিল না। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ৭০ শতাংশের লক্ষ্য ঠিক করে দেওয়ার পর আমরাও এই হিসাবে টিকা দিচ্ছি।'

এদিকে, টিকাদানের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হতে চললেও স্বাস্থ্যবিধি না মানার প্রবণতারে কারণে পরিস্থিতি নাজুক হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করে আসছেন জনস্বাস্থ্যবিদরা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে