ওমিক্রন ঠেকাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নতুন ক্লিনিক্যাল গাইডলাইন তৈরি করেছে, যা ইতোমধ্যে বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল ও সব স্বাস্থ্য বুলেটিনে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার দুপুরে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে দেশের এসব তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ওমিক্রন দেশে ছড়িয়ে গেছে এমন তথ্যই পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরাও বলেছেন ওমিক্রনের কারণে দেশে এত পরিমাণ করোনা রোগী পাওয়া যাচ্ছে।
নাজমুল ইসলাম বলেন, ওমিক্রন
হ
রোধে ক্লিনিক্যাল গাইডলাইন ইতোমধ্যে তৈরি হয়েছে এবং সেটি চূড়ান্তও হয়ে গেছে। আমরা অল্প সময়ের মধ্যেই যেসব স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান, হাসপাতালগুলো আছে, সবগুলোয় গাইডলাইনটি পাঠানো হয়েছে। ওমিক্রন নিয়ে নতুন নতুন যেসব তথ্য রয়েছে, সেগুলোর আলোকেই গাইড লাইনটি সাজানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র বলেন, গত সাত দিনে বাংলাদেশেও রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। জানুয়ারি মাসের ১৯ তারিখে আমরা নয় হাজার ৫০০ জন রোগীকে আমরা শনাক্ত করেছিলাম, তখন শতকরা হিসেবে শনাক্তের হার ছিল ২৫ শতাংশের কিছুটা বেশি। কিন্তু ২৫ জানুয়ারিতে এসে সেই শনাক্তের হার ৩২ দশমিক ৪০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। রোগীর সংখ্যা নয় হাজার থেকে বেড়ে ১৬ হাজারে এসেছে।
তিনি আরও বলেন, ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসের এ সময় আমরা মোট রোগী পেয়েছিলাম ২১ হাজার ৬২৯ জন, কিন্তু ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে এসে এক লাখ ত্রিশ হাজারের বেশি পেয়েছি।
ডা. নাজমুল বলেন, রোগ নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাই হলো করোনা সংক্রমণ রোধের বিজ্ঞানভিত্তিক সঠিক পন্থা। এজন্য আমাদের সঠিকভাবে মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে ও টিকা নিতে হবে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টিকার সংকট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই টিকার সংকট নেই। আমাদের হাতে পর্যাপ্ত টিকা আছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আমাদের কাছে যদি চাহিদা পাঠিয়ে দেওয়া হয়, আমরা সে অনুযায়ী টিকা পাঠিয়ে দেব। আমাদের টিকার কোনো সংকট নেই।
Copyright JaiJaiDin ©2022
Design and developed by Orangebd